মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. এএইচ মামুন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
আজ ২২এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নবাসির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি মোগড়াবাজার থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভকারিরা মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। এতে সুশীল সমাজ, দিনমজুরসহ ব্যবসায়ীরাও অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রতিবাদ সভায় ইউনিয়নবাসির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আমান মোল্লা, কাশেম ভূঁইয়া,সহিদ মেম্বার, কাইয়ুম ভূঁইয়া, মো. এরশাদ মিয়া, সালাউদ্দিন জমদ্দার, মামুন মৃধা, আবু সিদ্দীক মেম্বার,ফেরদৌস আহমেদ ভূঁইয়া, মো. হাণিফ মিয়া, হারুন মিয়া হেবজু মিয়া।
বক্তরা বলেন, প্রশাসক ডা. এ এইচ মামুন ভূঁইয়া মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পাওযার পর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেন। পাশাপাশি দেনদরবারে সর্দারি প্রথা ভেঙে দিয়ে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। এতে একটি স্বার্থনেষী মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। এমনকি তাকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করতে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসময় বক্তারা তাদেরকে হুশিযারি দিয়ে বলেন নির্বাচনের আগে মামুনকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করা হলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর আখাউড়া প্রতিবন্ধি কল্যাণ কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. এ এইচ মামুন ভূঁইয়াকে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। মামুন আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলমের ছেলে।
সম্প্রতি, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ইউনিয়নের প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ দাবি করা হয়। এমনকি ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনসহ সভা সমাবেশ করেন।
এ ব্যাপারে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. এ এইচ মামুন সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই আওয়ামীলীগের এক ফ্যাসিবাদী নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন কূচক্রি লোক আমাকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে শাহিদ (১৫) নামে এক কিশোর কেড়ির বড়ি (ইঁদুর মারা ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরের দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম। এর আগে আখাউড়া পৌরসভার মসজিদপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়ার মো. নিজাম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের অজান্তে কেড়ির বড়ি খেয়ে ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করে। সেখানে ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও গাজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৯ এপ্রিল শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার অভিযানে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গণমাধ্যমকে দেয়া পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া বাইপাস সড়কের খড়মপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুই কেজি গাজাসহ মো: আল আমিন (৩৫) ও মো: সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে দুই মাদক ব্যবসায়িকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মাদক মামলা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মো: দেলোয়ার হোসেন রানাকে গ্রেফতার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তন্তুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আখাউড়াকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলেও তিনি জানান ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা অফিস।
আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
এসময় তৈরি পোষাকের দোকান, কসমেটিক্স ও মাংসের দোকান অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে রং ফর্সাকারী নিষিদ্ধ ক্রীম বিক্রির অপরাধে কসমেটিক্স ব্যবসায়ী ঝমঝম ষ্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা করা হয়। তাছাড়া এক দরের দোকান ব্যতীত তৈরি পোষাকে মূল্য ট্যাগ না লাগাতে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা হয়। মাংসের দোকান মালিককদেরকে মাংসে কৃত্রিম রং ব্যবহার না করতে বলা হয় এবং মূল্য তালিকা টানানোর জন্য সচেতন কনে অভিযানকারী দল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক বাজারের অধিকাংশ কাপড়ের দোকানে কাপড়ের গায়ে মূল্য ট্যাগ লাগানো আছে। ক্রেতারা দরদাম করে ক্রয় করছেন। এক দরের দোকান না হলে এটা করা যাবে না এ ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেছি। রং ফর্সাকারী নিষিদ্ধ ক্রীম বিক্রিয় করায় এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখে আমাদের অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবির।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার বাস স্ট্যান্ডে বন্যা পরবর্তী পুনবার্সন পরিকল্পনা বিষয়ে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কসবা-আখাউড়া আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কবির আহমেদ ভূইয়া।
দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, বিএনপি নেতা বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, সদস্য সচিব মোঃ আক্তার খান, কসবা উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব শরীফুল হক স্বপন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মহসীন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মাছুম ভূইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন রাজু, বিএনপি নেতা কামাল ভূইয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক জাবেদ আহমেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, স্বেরাচার আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। নির্যাতন করেছে, গুম করেছে। বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমরা কথা বলতে পারিনি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেলে পালিয়েছে। ৎৎগত ১৫ বছরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের বহু নেতাকর্মীর ত্যাগের বিনিময়ে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাজারো ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। কবির আহমেদ ভূইয়া নিজেও গুমের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান। কিন্তু মিডিয়ায় দ্রুত তার গুমের খবর ছড়িয়ে পড়ায় তিনি তাকে ছেড়ে গুমকারীরা।