অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা ইকরাম চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ঘটনাটি ঘটে। ইকরাম চৌধুরী স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালন করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুতই তাকে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে বিসিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ইকরাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে বিসিবির নিরাপত্তা কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছে মরক্কো। সবশেষ ম্যাচে নাইজারকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। টানা ছয় জয়ে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন আশরাফ হাকিমি, ব্রাহিম দিয়াসরা। ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে নাইজারের জালে গোল উৎসব করে মরক্কো। একপেশে লড়াইয়ে ৫-০ গোলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। শতভাগ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে মরক্কো। ৬ ম্যাচে ৩ জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তানজানিয়া। আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের ৯ গ্রুপের মধ্যে মরক্কো একমাত্র দল, যারা এখন পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচই জিতেছে।
এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে মরক্কো। বৈশ্বিক আসরে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছে ২০২২ আসরে। কাতারে অনুষ্ঠিত সেই আসরে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে খেলে দলটি। গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে এবং ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয় মরক্কো। পরে সেখানে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারায় উত্তর আফ্রিকার দেশটি। কোয়ার্টার-ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে মরক্কো। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা, হেরে যায় ২-০ গোলে। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ হয়ে আসর শেষ করে দলটি।
আফ্রিকা অঞ্চলের ৯ গ্রুপের শীর্ষ দলগুলো সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপ। আর সেরা চার গ্রুপ রানার্স-আপ খেলবে প্লে-অফে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় আগামী বছরের ১১ জুন শুরু হয়ে ১৯ জুলাই শেষ হবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ।
স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। আর বাছাই পর্ব থেকে এখন পর্যন্ত মরক্কো ছাড়া জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, একুয়েডর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, উজবেকিস্তান, জর্ডান, নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলায় পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দুই অর্ধে প্রতিপক্ষের জালে সমান ৪টি করে গোল দিয়েছেন আফঈদারা। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা। ম্যাচের ২০ মিনিটে আসে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য। স্বপ্না রানীর কর্ণার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন সিনহা জাহান শিখা। ৩২ মিনিটে কর্ণার থেকে অবিশ্বাস্য এক অলিম্পিক গোল করেন শান্তি মার্ডি। কর্নার থেকে সরাসরি করা গোলকেই বলা হয় অলিম্পিক গোল। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে শান্তির কর্ণার থেকে গোল করেন ফরোয়ার্ড নবিরন খাতুন। প্রথমার্ধের শেষদিকে তৃষ্ণা রানীর গোলে ৪-০ হয় বাংলাদেশের স্কোর।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণাত্মক খেলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এই অর্ধেও গুনে গুনে ৪টি গোল দেন তারা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তৃষ্ণা রানী। ৭৩ মিনিটে তিমুরের এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ এক গোল করেন সাগরিকা। ৮৩ মিনিটে সাগরিকার পাসে হ্যাটট্রিক করেন তৃষ্ণা রানী। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে স্কোর ৮-০ করেন মুনকি আক্তার।
দুই জয়ে বাংলাদেশ পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের শীর্ষে আছে। সন্ধ্যায় গ্রুপের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া খেলবে লাওসের বিপক্ষে। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। ওই ম্যাচের ফলই নির্ধারণ করবে ‘এইচ’ গ্রুপের ভাগ্য।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল উঠবে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৬ আসরের চূড়ান্ত পর্বে। রানার্সআপ ৮ দলের মধ্যে সেরা তিনটিও পাবে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই টুর্ণামেন্টের টিকিট। এর আগে টুর্ণামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ১-৩ গোলে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টির সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটে হারিয়েও জুনিয়র টাইগ্রেসদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো। কারণ সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে ভারতের কাছে হার।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি নেমে আসে ১৩ ওভারে। যেখানে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীরা। ক্যারিবীয়দের হয়ে অমৃতা রামতাহলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান, নাইজান্নি কাম্বারব্যাচ করেন ১৩ এবং আসাবি কলেন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এই তিন ব্যাটসম্যান বাদে কেউই দু’অংকের রান করতে পারেননি। ১৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৪ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা।
টাইগ্রেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন নিশিতা আক্তার নিশি। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। এক সময় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তিনি। আনিসা আক্তার সোবা ৩ ওভারে ১৩ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। এক উইকেট পান জান্নাতুল মাউয়া।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। ফাহোমিদা ছোয়া এবং জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ৮.৫ ওভারে তুলে ফেলে এই রান। ফেরদৌস ২৫ এবং ছোয়া ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সুপার সিক্সে তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুলাল মিয়া :
১৬ জুলাই বিকালে ১ম সেমিফাইনাল আশুগঞ্জ উপজেলা একাদশ বনাম সরাইল উপজেলা একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় সরাইল উপজেলা একাদশ ১-০ গোলে জয়লাভ করে। অন্যদিকে ১৭ জুলাই বিকালে ২য় সেমিফাইনাল ভৈরব উপজেলা একাদশ বনাম টেংকের পাড় ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া একাদশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় টেংকেরপাড় একাদশ ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে খেলা দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভুইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দ।
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, মাঠ কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম পাভেল।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোঃ খাদিম মিয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেন জানু (শিক্ষক), মোঃ আব্দুস সালাম (শিক্ষক), মোঃ আঃ মতিন আক্কাছ, মোঃ মিজানুর রহমান (শিক্ষক), মোঃ ওসমান গণি, সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, মোঃ ফারুক আহমেদ (শিক্ষক), মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ এনামুল হক বকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, নাজির হোসেন, নুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের গাজী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল সরকার, তোফায়েল সরকার, আক্তার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ার, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ বোরহান উদ্দিন (প্রভাষক), ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ জামির হোসেন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ইউসুফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক ও ধারাভাষ্যকার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, কার্যকরী সদস্য মোঃ আবুল কালাম, এনামুল হক সেলিম, ব্যবসায়ী মোঃ শাকিল আহমেদ, প্রবাসী আব্দুল মন্নাফ, প্রবাসী মোঃ শাহ আলম, মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবু আলী, মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সফর আলী, জালাল মিয়া, আব্দুল হালিম, সার্ভেয়ার মোঃ শফিকুল ইসলাম।
আগামী ২ আগস্ট ২০২৫ বিকালে টেংকেরপাড় একাদশ বনাম সরাইল উপজেলা একাদশ এর মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
মাঠে উপস্থিত থেকে ফাইনাল খেলা উপভোগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হল।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ ৩ মে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।
ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।
পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।
এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।
তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।
জিম্বাবুয়ের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই অধারাবাহিক ওপেনার লিটন দাস শুরুটা করেন বাজেভাবে। ব্লেসিং মুজারাবানির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড তিনি। গুড লেংথে ফেলা বলটি লিটনের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এতে ৩ বলে মাত্র ১ রানেই থামল সর্বশেষ ১৯ ইনিংস আগে ফিফটির দেখা পাওয়া লিটন। যা বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্যও বড় চিন্তার কারণ!
শান্ত ভালো খেলতে থাকলেও কাটা পড়েছেন দলের ৫৭ রানের মাথায়। ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা এই ওপেনার দৃষ্টিনন্দন সব শটে হাঁকাচ্ছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
চারে নেমে দারুণ কিছু শট খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। দুজনে মিলে হতে দেননি কোনো বিপদ। হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। অন্যদিকে হৃদয় ১৮ বলে ৩৩ রান করে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ-হৃদয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি।