অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা ইকরাম চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। আজ ২৩ এপ্রিল বুধবার ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ঘটনাটি ঘটে। ইকরাম চৌধুরী স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালন করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুতই তাকে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে বিসিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ইকরাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে বিসিবির নিরাপত্তা কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল।
স্পোটর্স ডেস্ক :
উগান্ডা এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। জিম্বাবুয়ের মতো দলকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে বড় ব্যবধানে। পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয় পেয়েছে দলটি। তবে এবার ফের হেরে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আকিল হোসেনের স্পিনে উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় সি গ্রুপের ম্যাচে আজ ৯ জুন রবিবার ১৩৪ রানে জিতেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২ ওভারে উগান্ডাকে ৩৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডা আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৫৮ রান। যা ছিল এই বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। লজ্জার সেই রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলো আফ্রিকা অঞ্চলের দলটি। ৩৯ রানে সব উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম রানে আলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লো উগান্ডা। বিশ্বকাপে এর আগে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের।
২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল ডাচরা। দ্বিতীয় রেকর্ডটিও তাদেরই দখলে। সেবারও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ আসরে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল ডাচরা। আর আজ ডাচদের সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে উগান্ডা। ডাচদের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য ডাচদের চেয়ে ৯ বল বেশি খেলেছে উগান্ডা। ডাচরা যেখানে ১০.৩ ওভার খেরেছে সেখানে উগান্ডা খেলেছে ১২ ওভার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং এবং জনসন চার্লস দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। উগান্ডাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আলপেস রামজানি। ৪.৩ ওভারে ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। দলীয় ৪১ এবং ব্যাক্তিগত ১৩ রানে ফেরেন তিনি। চার্লসকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন নিকোলাস পুরান। আজ তার সামনে ছিল টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার সুযোগ। কিন্তু অল্পের জন্য রেকর্ড গড়া হয়নি তারা। ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। রেকর্ড গড়ার পথে বেশ ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ২২ রানে মাসাবার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফির যান পুরান।
প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে দলটি। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার খুব একটা সুযোগ দেননি উগান্ডার বোলাররা। জনসন চার্লস (৪৪), রোভম্যান পাওয়েল (২৩) ও শেরফান রাদারফোর্ড (২২) কাউকেই খোলসের বাইরে বের হতে দেয়নি ব্রায়ান মাসাবার দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয় ঝড় আটকে দেয় তারা। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। শুরুতে ধীরেগতিতে রান করলেও পরে রানের চাকায় গতি আনেন এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাসেলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৬টি চারের মার। উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আলপেশ রামজানি, কসমস কেউয়াটা ও দীনেশ নাকরানি।
উগান্ডার সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭৪। তবে সেই টার্গেটকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরে থাক, উগান্ডার ব্যাটিং লাইনআপ মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি পুরো ম্যাচজুড়ে। উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক স্পিনার আকিল। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুকাসাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আকিল। সেই শুরু, এরপর একে একে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনিই। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল।
৪ ওভার বল করে ১১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আকিল। উগান্ডার ইনিংসের মাত্র একজন ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংক। ২৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে তখন বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের। এক জুমা মিয়াগি শেষের দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন লজ্জার রেকর্ড এড়াতে। তার ১৩ রানেও অবশ্য লজ্জা এড়াতে পারেনি উগান্ডা। ৩৯ রানে অলআউট হয়ে নেদারল্যান্ডসের সাথে যৌথভাবে টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। ১২ ওভারের মাঝেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে ১৩৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভার ১৭৩/৫
উগান্ডা: ১২ ওভার ৩৯/১০
ফল : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
কোপা দেল রে’র রোমাঞ্চকর ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিলো বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ের জুলস কুন্দের অসাধারণ গোলে কাতালানদের জয় নিশ্চিত হয়। ২৬ এপ্রিল শনিবার রাতে স্পেনের এস্তাদিও দে লা কার্তুজায় অনুষ্ঠিত হয় কোপা দেল রে’র ফাইনাল। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে জুলস কুন্দের দুর্দান্ত গোলে জয় নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বার্সেলোনা। ১২ মিনিটে পেদ্রির দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় তারা। রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে ফিরে আসে। ৭০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান। এরপর ৭৪ মিনিটে আর্দা গুলেরর কর্নার থেকে চুয়োমেনি গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন।
৮৩ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ফেরান তরেস গোল করে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান। এই গোলটি রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়া ও রুডিগার এর ভুলে সম্ভব হয়।
১১৫ মিনিটে রিয়ালের অর্ধে মদ্রিচের পাসপেতে গিয়ে ব্রাহিম দিয়াজ হোঁচটখান। এই সুযোগে দ্রুত বল দখল করে জুলস কুন্দে ছুটে এসে নেয় এক জোরালো শট— যা ঠেকাতে ব্যর্থ হন কোর্তোয়া। গোল লাইনের বল জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে বার্সা শিবির।
এটি চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার দ্বিতীয় শিরোপা, এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও রিয়ালকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল তারা।
এ জয়ে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে বার্সার শিরোপার সংখ্যা দাঁড়াল ৩২-এ, যা সর্বোচ্চ।
১১৮ মিনিটে বার্সেলোনার ডি-বক্সে এমবাপ্পে পড়ে যান। কিন্তু অফসাইড হওয়ায় পেনাল্টি পায়নি রিয়াল। ম্যাচের শেষদিকে উত্তেজনা ছড়ায়। রেফারির সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে সাইডলাইনের ওপার থেকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারায় লাল কার্ড দেখেন রুডিগার ও লুকাস ভাসকেস।
অনলাইন ডেস্ক :
একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আল-ওয়াসলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন সিআর সেভেন। তার দলও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল-ওয়াসলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০তম জয় এটি রোনালদোর। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংয়ের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় রোনালদোর। তিনি সেখানে ১৩ জয় পান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই দফায় খেলে ২১৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে রোনালদো। পর্তুগিজ এই তারকার সবচেয়ে সফলতম ক্লাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি ১০ মৌসুমে সেখানে ৩১৫ জয় পেয়েছেন। আর জুভেন্টাসে রোনালদোর জয় ৯২ ম্যাচে।
রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়াও বাকি দুই গোল এসেছে আল ফাতিল ও আল হাসানের পা থেকে। এই ম্যাচেই আল নাসরের হয়ে অভিষেক হয় কিছুদিন আগেই অ্যাস্টন ভিলা থেকে দলে ভেড়ানো কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার জন ডুরানের। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আল নাসর। সিমাকানের পাস থেকে গোল করেন আলী আল হাসান। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। আর দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয় হাফে। ৭৮তম মিনিটে সাদিও মানের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন সিআরসেভেন। যা ক্যারিয়ারে তার ৯২৩তম গোল।
আল নাসরের হয়ে শেষ গোলটি করেন আল ফাতিল। ৮৮তম মিনিটে ব্রোজোভিচের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন তিনি। এ জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় স্থানটা আরো মজবুত করল আল নাসর।
অনলাইন ডেস্ক :
ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিল জয়সূচক গোলটি পেয়েছে ম্যাচের ৩০ মিনিটে। প্রথমার্ধে গোল হজমের পর ইকুয়েডর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই গোলকে পুঁজি করেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার পর এটাই ছিল ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠল ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে দরিভালের দল। সমান ম্যাচ খেলে তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় উরুগুয়ে। তৃতীয় কলম্বিয়ার সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।