অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র দফতরের শতাধিক অফিস বন্ধ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে দফতরটির প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি মাথায় রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ শতাংশ কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১০০টি দফতর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি গোপন নথি দেখেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স ও এপি। বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকে অবহিত করার জন্য নথিটি তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হচ্ছে, ৭৩৪টি অফিসের মধ্যে ১৩২টি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপর ১৩৭টি দফতরকে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলেও ওই নথিতে বলা হয়েছে।
রুবিও জানান, “এখন মন্ত্রণালয়টি সার্বিকভাবে ছন্নছাড়া হয়ে আছে। অতি কূটনৈতিক ফাঁসে জর্জরিত। ক্ষমতার এই প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে এভাবে কূটনৈতিক মিশন চালানো কঠিন, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক মিশন সমস্ত বিষয়েই এই পদক্ষেপ সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রুবিও। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, আপাতত ওয়াকফ আইন সংশোধন কার্যকর করা যাবে না। বর্তমানে যে সব সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে, তা আগের মতোই বহাল থাকবে।
১৬ এপ্রিল বুধবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বাতিল করা যাবে না এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ডও বহাল থাকবে।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানায়, যেকোনো সম্পত্তি যদি আদালতে ওয়াকফ হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকে, তাহলে সংশোধিত আইন নিয়ে শুনানি চলাকালে তা পরিবর্তন করা যাবে না। দান বা চুক্তির মাধ্যমে ওয়াকফ ঘোষিত যেকোনো সম্পত্তির ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
আদালত আরও জানায়, কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ নাকি সরকারি, সেই বিষয়ে তদন্ত চলাকালীন কালেক্টরের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেটিকে ওয়াকফ হিসেবে ধরা হবে না—যদিও সংশোধিত আইনে এমন উল্লেখ রয়েছে, তবে আপাতত সেই ধারা বলবৎ থাকবে না।
এছাড়া, ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে, আদালত তা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা বা কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে যারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোর্ডে জায়গা পান, তারা এই নিয়মের বাইরে থাকবেন। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্টে মুসলিমদের সদস্যপদ দেওয়া হয় কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ওয়াকফ আইন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, সহিংসতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়। বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে এবং এ নিয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।
এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অন্যদিকে, বিরোধীদের পক্ষ থেকে কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি অংশগ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সলিড কোকেনের চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আফ্রিকান দেশে মালাউইর এক নারী ৮ কেজি ৩০০ গ্রামের এই কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে নিয়ে আসনে। বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালাউইর নাগরিক নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোকে (৩৫) কোকেনের এই চালানসহ গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা কোকেনের মূল্য ১০০ কোটি টাকা।
ডিএনসি জানায়, কোকেনের এই চালানটি আফ্রিকার দেশ মালাউই অথবা ইথোপিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল চালানটি পাচার করার জন্য। কারণ এই পরিমাণ কোকেন চাহিদা বাংলাদেশে নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ।
তিনি বলেন, কোকেন চোরাচালানের আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের দেশি ও বিদেশি সক্রিয় কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোকেনের একটি বৃহৎ চালান আফ্রিকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আফ্রিকান একজন নাগরিকের মাধ্যমে ঢাকায় আসবে এমন তথ্য পাই আমরা।
‘এর পর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়। এপিবিএনকে সঙ্গে নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম গঠন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেওয়া হয়। ফ্লাইটি থেকে নামা সব বিদেশি যাত্রীকে আমরা ফলো করি।’
তানভীর মমতাজ বলেন, এ সময় দেখা যায়, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো (৩৫) নামে এক বিদেশি নারী বিমানবন্দরের নিচতলায় ভিসা অন এ্যারাইভাল ডেক্সে দীর্ঘক্ষণ ধরে অবস্থান করছেন। তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন লাগেজে কোকেন আছে। পরবর্তী সময়ে লাগেজের ভেতরে বিশেষভাবে রাখা ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো আফ্রিকান দেশ মালাউইর নাগরিক। তিনি প্রথমে মালাউই থেকে ইথোপিয়া যান। পরে তিনি ইথোপিয়া থেকে যান দোহাতে। পরে তিনি দোহা থেকে কাতারের এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ থেকে আবারও মালাইউতে যাওয়ার কথা ছিল। কোকেনের এই চালানটি বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করার কথা ছিল। পরে বাংলাদেশ থেকে কোকেনের চালানটি অন্য কোনো দেশে চলে যেত। আমাদের ধারণা তাওয়েরা সোকো কোকেনের এই চালানটি মালাইউ থেকে নয়তো ইথোপিয়া থেকে সংগ্রহ করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সোকো জানান, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন। গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে তিনি ওই বছর বাংলাদেশে আসেন। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন এ্যারাইভাল ভিসা নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢুকার চেষ্টা করছিলেন। সোকো মালাইউতে পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এই চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে তিনি আরেক জন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশে সোকো কার কাছে কোকেন হস্তান্তর করতেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তবে বাংলাদেশ অবস্থারত কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই কোকেন যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব।
২০২৩ সালে সোকো বাংলাদেশে কোকেনের চালান নিয়ে এসেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তানভীর মমতাজ বলেন, তখনো তিনি গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে এসেছিলেন। তিনি আসলে কিসের জন্য এসেছিল সেই বিষয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।
কোকেনের এই আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোকেনের চালানের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি চক্র জড়িত আছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে কোনো দেশে যাওয়ার কথা ছিল, এমন প্রশ্নে মাদকের এই কর্মকর্তা বলেন, এগুলো আমরা আমাদের তদন্ত শেষে বলতে পারব। তবে এটা বলতে চাই- কোকেনের চালানটি বাংলাদেশের জন্য ছিল না। কারণ বাংলাদেশে এই পরিমাণ কোকেন কনজিউম করার মার্কেট নেই।
এই কোকেনের আনুমানিক বাজার দর ১০০ কোটির ওপরে। দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের এইটিই বড় চালান বলে জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও নতুন ট্রাম প্রশাসনের সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাস্কের অভিযোগ, সংস্থাটি মার্কিন জনগণের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে এবং বিভিন্ন প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা পৃথক তিনটি পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, আপনারা জানেন কি, ইউএসএআইডি আপনাদের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে? এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন। অপর এক পোস্টে অভিযোগ করেন, ইউএসএআইডি তাদের প্রচারণা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। ইউএসএআইডির মরে যাওয়াই ভালো।
গোপন নথি নিয়ে বিতর্ক, কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
ইউএসএআইডিকে ঘিরে বিতর্ক তখন আরো ঘনীভূত হয়, যখন সংস্থাটির দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা মাস্কের প্রতিনিধিদের গোপন নথি দেখাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিওজিই-এর কর্মীদের নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকায় তাঁদের ইউএসএআইডির সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশে গঠিত এই বিভাগটি সরকারি সংস্থার মতোই ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং তারা প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া ও ওয়েবসাইট বন্ধ
এ ঘটনায় হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং দাবি করেছেন, ডিওজিই-এর কর্মীরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেননি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে, ইউএসএআইডির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সংস্থাটিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত শনিবার থেকে ইউএসএআইডির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যবহারকারীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ইউএসএআইডি?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে আনতে চাচ্ছে। এর ফলে সংস্থাটির ৪২.৮ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকতে পারে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরো জানায়, ইউএসএআইডির সব সিলমোহরও কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউএসএআইডি পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে চলে গেলে এটি আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না এবং মূলত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির হাতিয়ারে পরিণত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউএসএআইডি কর্মকর্তা বলেন, এর ফলে মার্কিন সরকার এমন এক অবস্থানে চলে যাবে, যেখানে মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত কণ্ঠস্বর উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী আলোচনায় গুরুত্ব পাবে না।
নতুন মার্কিন কূটনৈতিক নীতির ইঙ্গিত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আগের প্রশাসনগুলো বৈশ্বিক ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, যা চীনের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা এখন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হব।
এদিকে, হোয়াইট হাউস এখন এমন আইনি উপায় খুঁজছে, যার মাধ্যমে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করে ইউএসএআইডির স্বাধীনতা বাতিল করতে পারেন। তবে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না, এখনও তা স্পষ্ট নয়।
সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কী?
ইউএসএআইডি অতীতে এমন দেশগুলোকেও সহায়তা করেছে যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, যেমন ইরান। কিন্তু নতুন এই পরিবর্তন সংস্থাটির কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আল জাজিরা, এক্স, রয়টার্স, ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল
অনলাইন ডেস্ক :
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উদযাপিত হলো থ্যাংকস গিভিং ডে। প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর এই উৎসব উদযাপন করা হয়। এ দিনে দেশ ও জাতির প্রতিটি সাফল্যের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান সর্বস্তরের নাগরিক। কয়েক শতাব্দী ধরেই মূলত মার্কিনদের উৎসব হলেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উত্তর আমেরিকাজুড়ে উদ্যাপন হয়ে আসছে থ্যাংস গিভিং ডে।
সর্বজনীন সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয় এ দিন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিউইয়র্ক এর ম্যাসির উদ্যোগে ম্যানহাটনে এদিন অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণিল শোভাযাত্রা। বিশাল বর্ণাঢ্য প্যারেডে অংশ নেন হাজার হাজার নারী পুরুষ।
আমেরিকানদের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটিও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে থ্যাংকস গিভিং ডে উদযাপন করে।
ইতিহাসবিদরা জানান, ১৬২১ সালের ২৬ নভেম্বর ছিল প্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে। ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একটি জাতীয় ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা দিবস উদ্যাপন করার আহ্বান জানান। তিনি নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাংস গিভিং ডে’ হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বন্ধুত্ব ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবারেই উৎসবটি পালনের প্রথা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা উত্তর আমেরিকাতেই ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের ভাষ্যমতে, ৯০ শতাংশ আমেরিকান এই দিনে টার্কি দিয়েই সারা দিনের ভোজনপর্ব সম্পন্ন করে। তবে রীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন থেকে প্রাপ্ত একটি টার্কিকে জীবন ভিক্ষা দিয়ে সাধারণ ক্ষমা করেন প্রেসিডেন্ট। এটি ‘হোয়াইট হাউজ টার্কি পার্ডন’ নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সাল থেকে হোয়াইট হাউজে এ রীতি প্রচলিত রয়েছে।
থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরের দিন শুক্রবার। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামে পরিচিত এই শুক্রবার ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য কোনো কালো দিন নয়। বরং বছরের সেরা মূল্য হ্রাসের দিনটি ক্রেতাদের কাছে যেমন রঙিন তেমনি পণ্য বিক্রি করে লাভবান ব্যবসায়ীদের কাছেও আনন্দঘন। কম দামে ভালো একটা কিছু কেনার জন্য দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন ক্রেতারা। সে হিসাবে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিপনী বিতানগুলোতে।
ইউএসএ ৯৭-৯৯ : গত ১ ডিসেম্বর রোববার হয়ে গেল জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ইউএসএ ৯৭-৯৯ এর থাংকস গিভিং পার্টি। গ্রুপটির অন্যতম অ্যাডমিন জামিল সারোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর মঞ্চে আসেন অ্যাডমিন তানভীর আতাহারী। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে গ্রুপটি কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটা নতুন মেম্বারদের কাছে তুলে ধরেন।
এরপরে মঞ্চে আসেন আরেক অ্যাডমিন সাম শাহরিয়ার, তিনি তার বক্তব্যে গ্রুপটির বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে নতুন বন্ধুদের চাকরি পেতে সহযোগিতা, বিভিন্ন ধরনের গ্রুপভিত্তিক অনুষ্ঠান, বাংলাদেশে এবং প্রবাসে যখন বন্ধুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এই অনুষ্ঠানে এক শতাধিক লোকের সমাগম হয় এখানে গ্রুপের সদস্যরা ছাড়াও তাদের পরিবার পরিজন ছিল এবং অন্যান্য স্টেট থেকেও বন্ধুরা আসেন। গ্রুপটির অ্যাডমিন জামিল সরোয়ার বলেন, তারা গ্রুপের শুরু থেকেই যেভাবে নতুন বন্ধুদের চাকরিসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে সাহায্য করে আসছেন, এভাবেই তারা তা অব্যাহত রাখবেন আগামী দিনগুলোতে এবং সবার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে এই আশা করেন। বর্তমানে চার শতাধিক সদস্য রয়েছে এই সংগঠনে। অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হলেও সময় গড়িয়ে রাত একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী প্রতীক হাসানসহ প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত কণ্ঠশিল্পী আফতাব জনি, খন্দকার সোহাগ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল রাফেল ড্র।
আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব : নিউইয়র্কে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে থ্যাংকসগিভিং ডে উদযাপন করেছে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব। গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার।
তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার আদায়ের পথ সুগম করার। সামনের বছর নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার হিসেবে আমি ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নের দৌঁড়ে রয়েছি। আশা করছি অতীতের মত সামনের নির্বাচনেও বাংলাদেশিদের সমর্থন পাবো।
প্রধান অতিথি শাহনেওয়াজ বলেন, সংবাদকর্মীরা বিশাল এই কমিউনিটির পথপ্রদর্শক। তারা বিগত দিনের মত অনাগত দিনেও সার্বিক কল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুলাল বেহেদু, নুরুল আজিম ও আহসান হাবিব।
স্বাগত বক্তব্য দেন এবিপিসিরি সাবেক সভাপতি লাবলু আনসার। সংগঠনের সভাপতি রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক রহমান ও রেজওয়ানা এলভিস।
অতিথির মধ্যে আরও ছিলেন ব্রঙ্কস কমিউনিটি বোর্ডে ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন শাহজাহান শেখ এবং শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম। উপস্থিত ছিলেন, এবিপিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলিম খান আকাশ, কোষাধ্যক্ষ জামান তপন, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত, নুরুন্নাহার খান নিশা ও অনিক রাজ।
কুইন্স প্যালেসে ফ্যামিলি নাইট পার্টি : প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশে সোসাইটির নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে থ্যাংকস গিভিং ফ্যামিলি নাইট পার্টির আয়োজন করেছে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ইশতিয়াক রুমি, এজাজুল ইসলাম নাঈম ও ন্যান্সি।
২৭ নভেম্বর উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়।অনুষ্ঠানে সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ, স্কুল সম্পাদক হাসান জিলানীসহ সবাইকে বরণ করে নেয়া হয়।সঞ্চালনায় শো টাইমে মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলমের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট, সিইও এবং সেলিম আলী পরিষদের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটর আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন নাসির আলী খান পল, নুরুল আজিম, রায়হান জামান, কাজী আজম, আহসান হাবীব, মহিউদ্দিন দেওয়ান, কামরুজ্জামান কামরুল, অনিক রাজ, সেজাদ রহমান, বদরুদ্দোজা সাগর, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শাহনেওয়াজ সবাইকে থ্যাংস গিভিংস-এর শুভেচ্ছা জানিয়ে নবনির্বাচিত কমিটির সবাইকে একইসাথে মঞ্চে আহ্বান জানান এবং কমিউনিটি বিনির্মাণে সোসাইটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন। নতুন সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। এজন্য সব বাংলাদেশিকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। নতুন সাধারণ সম্পাদক মো. আলী সোসাইটির কল্যাণে কাজ করার জন্য সবাইকে এগিযে আসার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে একে একে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা এক মিনিট করে বক্তব্য দেন এবং শুভেচ্ছা জানান।
সংগীত পরিবেশন করেন রানো নেওয়াজ, কৃষ্ণা তিথি, বিন্দু কণা ও অংকন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রথমবারের মত থ্যাংক গিভিংস ডে উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী গেট টুগেদারের আয়োজন করে। এ গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমন্বয়ক ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদার।
পরিচালনায় ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ক মোতাহার হোসেন। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুস সবুর, বিএনপি নেতা ডা. শাহজাহান মিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাহিত্যিক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মুরাদ হাছান রেজা, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা পারভেজ সাজ্জাদ ,জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি নাছিম আহম্মেদ, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতা বাচ্চু মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৌদি বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল বাতেন, বিএনপি নেতা জাফর ছাদিক, বরিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেত্রী নীরা রাব্বানী, বরিশাল ফোরাম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, হোসেন মোল্লা, মনি আক্তার, জাহিদ ইসলাম, আসাদুজ্জামান মিয়া ,তারেক ইব্রাহিম, সাইদ ইসলাম জয়,তামিম আহসান, জিসান হোসেন, নাজিম উদ্দিন, রায়হান রকিব, সাইদুর রহমান, বেলালুর রহমান. ফারুক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক ফৈজি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জন্য দোয়া করা হয়। আরও দোয়া করা হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ মজিবুর রহমানের মজুমদারের সুস্থতার জন্য।
এদিকে ‘৯৪ ইউএসএ’ গ্রুফ কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার আয়োজন করে ‘ফ্রেন্ডস গিভিং ডিনার’ অনুষ্ঠানের। এতে এসএসসি ৯৪ ব্যাচের বন্ধু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। অন্যদিকে সোস্যাল মিডিয়া পার্সনাল মাকসুদা আহমদও এদিবসটি পালন করেছেন ।
অনলাইন ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুল থেকে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। ওই স্কুলটির একজন শিক্ষক ও একজন স্থানীয় অধিবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। এটি নাইজেরিয়ায় গণঅপহরণের সর্বশেষ ঘটনা।
গণঅপহরণ আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটির একটি সাধারণ ঘটনা হলেও স¤প্রতি তা কমে এসেছিল। নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য স্কুল ও কলেজগুলোকে লক্ষ্য করে প্রায়ই হামরা চালায়। আর এমন ঘটনা বেশি ঘটে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
কাদুনা রাজ্যের কুরিগা স্কুলে সংঘটিত অপহরণের এই ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন কর্মকর্তা। তবে কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য জানাতে চাননি। তিনি জানান, কতজন স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
চিকুন জেলার জিএসএস কুরিগা স্কুলের একজন শিক্ষক সানি আব্দুল্লাহি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) রাতে অস্ত্রধারীরা যখন শূন্যে গুলি ছুড়তে থাকে তখন অনেক শিক্ষার্থীসহ স্কুলটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘ঠিক কতজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে, আমরা এখন সে সংখ্যাটি নির্ধারণ করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
সানি আব্দুল্লাহি আরো বলেন, ‘জিএসএস কুরিগার প্রাথমিক শ্রেণিগুলো থেকে ১৮৭ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া আরও ১২৫ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এদের মধ্যে ২৫ জন ফিরে এসেছে।’
স্থানীয় একজন অধিবাসী মোহাম্মদ আদম বলেন, ‘২৮০ জনেরও বেশি বাচ্চাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এই সংখ্যা ২০০ হবে, তবে সাবধানে হিসাব করে দেখা গেছে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছে।’
তবে অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন বা পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার কাদুনা রাজ্যর গভর্নর উবা সানি ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘ঠিক কতজন শিশু বা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসলেও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে জিহাদি বিদ্রোহ দমনে কাজ করছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।
গত সপ্তাহেও দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে সংঘাতের কারণে বাড়িঘর হারানো লোকজনের একটি ক্যাম্প থেকে ১০০ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।