অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল। তীব্র তাপ এবং প্রবল বাতাসের কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাডহক কমান্ড সেন্টারে জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায় হঠাৎই ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। বিমান, হেলিকপ্টার মোতায়েন করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, বেইত শেমেশ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে এশতাওল, বেইত মেইর এবং মেসিলাত জিওন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা (রুট ৩৮) বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, আগুন প্রথমে শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে মোশাভ তারুমের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় প্রবল বাতাসের কারণে তা আরও বেড়ে যায়।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এ আগুনে ৯ জন সামান্য আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী এবং দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর জন্য ছয়টি জেলা থেকে অগ্নিনির্বাপকদের তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও যোগ দিয়েছে আগুন নেভানোর কাজে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানি নারীকে বিয়ের কথা গোপন করার অভিযোগে এক জওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলো ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। মুনির আহমেদ নামে ওই জওয়ানকে বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়ের কথা গোপন করার পাশাপাশি ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও স্ত্রীকে জেনেবুঝে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সিআরপিএফ-এর একটি বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জওয়ানের কাজকর্ম বাহিনীতে কাজের আচরণবিধির পরিপন্থি। এছাড়া দেশের নিরাপত্তার জন্যও তা ক্ষতিকর বলে মনে করছে সিআরপিএফ। সেই কারণে অবিলম্বে তাকে আধাসেনা বাহিনী থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এবং কূটনৈতিক ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর নয়। স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসা পাকিস্তানিদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাদের মেডিক্যাল ভিসা রয়েছে, তাদের জন্য আরও দু’দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ান মুনিরের বিবাহ-বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে। স্ত্রীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। মুনিরের স্ত্রী মিনাল খান অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফেরার আগে আদালত থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মেলে। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছে আদালত।
আদালতে যখন মামলার শুনানি চলছিল, ততক্ষণে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে অন্য পাকিস্তানি নাগরিকদের সাথে বাসে উঠে বসেছিলেন মিনাল। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। সীমান্তে যখন পৌঁছালেন, ঠিক তখনই তার কাছে একটা ফোন আসে। আইনজীবীর ওই ফোনেই তিনি জানতে পারেন স্থগিতাদেশের কথা।
ওই বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পরেই জওয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে আধাসেনা বাহিনী। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিআরপিএফের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে আসে, বিয়ের কথা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসায় স্ত্রীর ভারতে থাকার বিষয়টি গোপন করেছিলেন তিনি। এর পরেই ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় আধাসেনা বাহিনী।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মুনিরের স্ত্রী মিনালের বাবার বাড়ি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সিয়ালকোট শহরে। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে জওয়ানের সাথে অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনলাইনেই তাদের বিয়ে (নিকাহ্) হয়। ভিসার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পরে শেষে একটি স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসেন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ ওই স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়।
জানা যায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে একটি ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত কোনও বিদেশির ভিসার মেয়াদ শেষের পর দেশ ছাড়ার সময় কিংবা ভিসার মেয়াদ বর্ধিত করার আবেদন বিবেচনাধীন থাকাকালীন এই ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়। দম্পতির আইনজীবীর বক্তব্য, সেটি এখন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অনলাইন ডেস্ক
পবিত্র কোরআন অবমাননার দায়ে প্রথমবারের মতো মামলা হয়েছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশ ডেনমার্কে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি আদালতে দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলাটি হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত জুনে কোপেনহেগেনে একটি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পবিত্র কোরআনের অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। যেখানে তারা এ কাজটি করেছিলেন, সেখানে বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন ছিলেন। অভিযুক্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তাদের ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ডেনমার্কের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে এই সংবাদ। তবে কোপেনহেগেনের কোন আদালতে মামলা হয়েছে তা জানানো হয়নি। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও গোপন রেখেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
কোপেনহেগেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর লাইস-লোটে নিলাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ ঘটনা ঘটেছিল একদম প্রকাশ্যে এবং বহুসংখ্যক মানুষের সামনে। পাশাপাশি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ঘটনার লাইভ সম্প্রচারও হয়েছিল। মামলার মূল কারণ এটিই।”
তবে কোন আদালতে এ মামলা হয়েছে, তা তিনিও নিশ্চিত করেননি।
২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে ডেনমার্কে একাধিক কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। তবে দেশটির প্রচলিত আইনে এ ধরনের তৎপরতা অপরাধের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা সে সময় সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এ ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা শুরুর করার পর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় ডেনমার্ক সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি আইন পাস ডেনমার্কের পার্লামেন্ট। সেই আইনে প্রকাশ্যে ও জনসমক্ষে কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা কোনও ধরনের অবমাননা করা এবং তার ভিডিওধারণকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ব্যারন’স, দ্য ট্রুথ ইন্টারন্যাশনাল, এএফপি, ডন
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে দায়িত্ব ছাড়তে বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত দুই আমেরিকান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুদিন পরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহরে ব্যাপক ওলটপালট ঘটাবেন এই নির্দেশনায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম যে তিন কর্মকর্তাকে পদ ছাড়তে বলেছে, তারা হলেন- ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট ও আলেইনা তেপলিৎজ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণত নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত দায়িত্ব চালিয়েই যান। যে তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ট্রাম্পের টিম পদ ছাড়তে বলেছে তারা ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান সব প্রশাসনের আমলেই রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে বার্নিকাট ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়ে তিনি ‘ডিপ স্টেটকে মুছে ফেলতে’ অনুগত নয় এমন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করবেন বলে নির্বাচনী প্রচারেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বার্নিকাটসহ তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব ছাড়তে বলা তারই শুরু, বলছেন অনেকে।
ট্রাম্প টিমের নির্দেশনার সঙ্গে পরিচিত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘এটি যে আরও খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগও আছে’’।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য চাইলে ট্রাম্পের ট্রাঞ্জিশন টিমের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের দেশ ও কর্মঠ মার্কিন নারী-পুরুষকে সবার আগে রাখা নিয়ে ট্রাম্পের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণকারী কর্মকর্তা খুঁজে বের করাই প্রশাসনে পরিবর্তন আনার দায়িত্বে থাকা দলের জন্য উপযুক্ত কাজ। আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে, সেগুলো ঠিক করতে হবে এবং এজন্য একই লক্ষ্যে মনোনিবেশকারী একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দল প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে দেওয়ার মতো ঘোষণা তার কাছে নেই।
মন্ত্রণালয়টির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেরেক হোগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরো ও হোয়াইট হাউজের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ দেখভাল করা।
বার্নিকাট এখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক এবং ব্যুরো অব গ্লোবাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক, এই দপ্তর মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের নিয়োগ, দায়িত্ব বন্টন ও ক্যারিয়ার উন্নতি দেখভাল করে।
আর সহকারী সেক্রেটারি তেপলিৎজ তিন দশক ধরে দেশে-বিদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন।
পদত্যাগের নির্দেশনা নিয়ে এ তিনজনের কেউই রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এবারের প্রশাসন আরও বেশি সংঘাতমূলক পররাষ্ট্র নীতি বেছে নেবে।
২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাওয়া রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট অবশ্য এরই মধ্যে ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রভুক্ত করার চেষ্টা ও নেটো মিত্রদেরকে প্রতিরক্ষায় আরও বেশি অর্থ ব্যয়ে তাগাদার মতো কিছু অপ্রচলিত নীতির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।তার এসব লক্ষ্য অর্জনে বিরোধিতার বদলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে এমন কূটনীতিক কর্মীবাহিনীই মূল চালিকাশক্তি হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রশাসনে রদবদল ছিল নিয়মিত ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদই হয়ে উঠেছিল মিউজিকাল চেয়ার। তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলে ট্রাম্পের টিম যেন আগের ওই মেয়াদের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত পৃথক দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নতুন প্রশাসন এসিসটেন্ট সেক্রেটারির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী। মার্কিন প্রশাসনের এ পদগুলোতে সাধারণত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মিশ্রণ দেখা যায়।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যেসব নীতি নিয়েছিলেন তার অনেকগুলোই দীর্ঘদিন ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের কারণে ‘লাইনচ্যুত’ হয়ে পড়েছিল, ট্রাম্পের সহযোগীদের এমন মনোভাবের কারণে এবার মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদেও ট্রাম্পের টিম আরও রাজনৈতিক নিয়োগে আগ্রহী, বলছে সূত্রগুলো।
এজেন্সি রিভিউ টিম এরই মধ্যে এ পদগুলোতে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়াও শুরু করেছে, বলেছে দুটি সূত্র।
অনলাইন ডেস্ক :
রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ ৭ মে বুধবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমানযোগে তারা মিয়ানমারে রওনা দেন।
এর আগে আজ সকালে বিজিবির তত্ত্বাবধানে তাদের কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
বিজিবির কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, রাখাইনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ৪০ জন ব্যক্তি বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে সেনা ও বিজিপি সদস্য ছাড়াও কিছু সাধারণ নাগরিকও আছেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মর্তুজা হোসেন জানান, মিয়ানমার থেকে একটি বিশেষ বিমান দুপুর দেড়টা নাগাদ কক্সবাজারে অবতরণ করে। যেহেতু বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয় না, তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। বিমানটি ২টা ৪৫ মিনিটে ৪০ জনকে নিয়ে কক্সবাজার ত্যাগ করে।
এর আগেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭৫২ জনকে তিন ধাপে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একইভাবে মিয়ানমারে আটক থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও তাদের দণ্ড শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে টানা ৫ দিন। এরপরেই রয়েছে লক্ষ্মীপুজা। দুর্গাপুজা ও লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বন্ধ থাকবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে দু’টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ খলিফা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি সকল সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানী-রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুজা উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবার মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ২৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে বুধবার ও বৃস্পতিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে যথারীতি আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।