মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আসাদুল ইসলাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত আসাদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম ইটনা সীমান্ত দিয়ে পারাপারের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ১২০ গজ ভিতরে থেকে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একটি গুলি তার বাম চোখের পাশে লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে সুলতানপুর বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনাটি ভারতীয় সীমান্তের ১২০গজ ভেতরে একটি ছোট নদীর ধারে ঘটেছে। আহত যুবক নদী পার হওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। গুলিটি তার চোখের কাছে লাগে এবং প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিস্তারিত জানতে আহত ব্যক্তির সাথে কথা বলা হচ্ছে এবং বিএসএফের সাথেও যোগাযোগ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া প্রায় এক হাজার রিজার্ভ সেনাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়াল জামির বৃহস্পতিবার তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর (আইএএফ) কয়েকশ’ সদস্যসহ বরখাস্তকৃতদের অনেকে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
চিঠিতে তারা গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত’ বলে উল্লেখ করেন।
তারা আরো লেখেন, যুদ্ধ চালিয়ে বন্দিদের মুক্ত করা সম্ভব নয়, বরং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই কেবল এর সমাধান হতে পারে।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল জামির ‘গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, যারা এই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে, তারা সেনাবাহিনীতে ফিরে আসার যোগ্য নয়।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও সেনাদের স্বাক্ষরিত এই চিঠির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি যুদ্ধের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম অনুসারে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারী উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড্যান হালুৎস, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) নিমরড শেফার এবং সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান কর্নেল (অব.) নেরি ইয়ারকোনির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
চিঠিতে তারা যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চাপ সৃষ্টি করতে সব ইসরায়েলি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ এখনও সক্রিয় রিজার্ভ ডিউটিতে রয়েছেন, বাকিরা সাবেক বা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে সনাতনীরা ধ্বজ নিয়ে অবরোধ করবে বলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন। এমনকি কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ করা হবে বলেও তিনি জানান। ২৫ নভেম্বর রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এমনকী বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূস সরকার গ্রেফতার করেছে।
শুভেন্দু বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।
শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে ‘দমন-পীড়ন’ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।
স্টাফ রিপোর্টার:
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ৮-৯ জানুয়ারি রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ একে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুৎ বিতরণ (খুচরা) ট্যারিফ প্রবিধানমালা, ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বিদ্যুতের খুচরা ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের জন্য কমিশনে প্রস্তাব/আবেদন দাখিল করেছে। ওই প্রস্তাব/আবেদনসমূহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিশনের মাধ্যমে গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে। শুনানিতে আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি-পূর্ব লিখিত বক্তব্য/মতামত কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য কমিশনে নাম তালিকাভুক্তির জন্যও অনুরোধ করেছে বিইআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা উল্লিখিত তারিখে অনুষ্ঠেয় শুনানিতে অংশগ্রহণপূর্বক বাবিউবো, বাপবিবো, ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো এবং নেসকোর বিদ্যুতের খুচরা ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের প্রস্তাব/আবেদন বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্ট দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারবেন।
গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণার ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। এর পরই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান নান্নুকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে উত্তর ইউনিয়নের কৌড়াতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার গোলাম আলীর ছেলে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি বিস্ফোরক মামলায় মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌর এলাকায় ১০ বছর আগে হাদিস মিয়া নামে একজন গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিহত হাদিসের ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা বাহার মিয়া এই অভিযোগ দায়ের করেন।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। এতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনের কথা অভিযোগে বলা হয়।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদের ভোট চলাকালে বিকেলে গুলিবিদ্ধ হন হাদিস। পরে তিনি মারা যান। বিজিবির পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, ভোটকেন্দ্র দখলে বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা হয়। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হন। তবে হাদিসের পরিবার জানায়, বিনা কারণেই হাদিসের ওপর গুলি চালানো হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ সোহেল জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছেন। শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।