চলারপথে রিপোর্ট :
যুব ও ক্রীড় মন্ত্রনালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপনায় আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার সদর উপজেলার সিও অফিস পুকুরে (অনুর্ধ্ব-১৪) বালক বালিকাদের মাসব্যাপী সাতাঁর প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার।
এসময় প্রশিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলীয়া মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশ, নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর রহিম সাগর প্রমুখ।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আলীয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬জন বালক ও বালিকা সাঁতারে অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বিপিএমসহ ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ মনিটরিং কার্যক্রম চালান।
এ সময় তারা শহরের আনন্দবাজার, জগৎবাজার, সড়ক বাজার, কোর্ট রোডসহ বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে পন্যের মূল্য নিয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানের ক্রয় মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্য সঠিকতা যাচাই করেন।
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম না বাড়ানো, দোকানে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত না করা এবং সঠিক মূল্যতালিকা টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, যদি কোনো ব্যবসায়ী পণ্য মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বিক্রি করেন, তাহলে সে ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে। বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের বাজারগুলোতেও নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ আলমগীর কবির, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক অভিযানে ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি অভিযানিক দল উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে করে। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন (২৬) বিজয়নগরের সিংগারবিল মাইজহাটি গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।
অপর একটি অভিযানে ৩২২ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. জিলায়োর হোসেন তরফদার প্রকাশ দেলোয়ার (৪০), মো. হাবিবুর রহমান (২০), মো. শামিম আহম্মদ (৩১), পলাশ দাস (৩৫)।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতদের ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ যেন জীবন্ত পুতুল। যেন পুতুলে প্রাণের ছোঁয়া। গানের তালে তালে নাচছে পুতুল। দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালি। মুখে হাসির ঝিলিক।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে পুতুল সেজে গানের সঙ্গে নেচেছে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা।
সংখ্যায় ওরা ৪৮জন। সবাই সেজেছে পুতুলের সাজে। ওরা সবাই শিশু। মঙ্গলবার সকাল পৌণে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে পুতুলের এই নাচ প্রদর্শিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেনের শিশু শিক্ষার্থীরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে করে।
ডিসপ্লের শুরুতেই হাজারো উপস্থিতি জীবন্ত পুতুলদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। ডিসপ্লে চলাকালেও ছিলো বেশ উচ্ছ¡াস। পুতুল নাচের এ ডিসপ্লে জেলার বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
পুতুল নাচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য। তবে সেটা যেন বিলিনের পথে। তবে এই প্রথমবারের মতো জেলার কোনো বড় আয়োজনে শিশুদের পুতুল সাজিয়ে নাচানো হলো। এর আগে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন নিজেদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনে শিশুদেরকে পুতুল সাজিয়ে নাচায়।
পুতুল নাচের অংশ নেওয়া মুনতাহা জানায়, সে আগে কখনো পুতুল নাচ দেখেনি। ডিসপ্লের জন্য বেশ কয়েকবার দেখেছে। এরপর প্রশিক্ষক তাদেরকে তৈরি করেছেন। এ নাচে অংশ নিতে পেরে সে বেশ খুশি।
কথা হয় অভিভাবক শ্যামল মোদক ও প্রিয়াংকা সাহার সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এ আয়োজনের গর্বিত অংশীদার হতে পেরেছে। আমাদের খুব লাগছে। এ নাচের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে।
নাচের পরিকল্পনাকারি ও প্রশিক্ষক জিয়া আমিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচের ঐতিহ্য ফেরাতে এই প্রচেষ্টা। এতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘পুতুল নাচ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা চাই শিশুরা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকুক। এ ধরণের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘শিশুরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন জাহান বলেছেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে রয়েছে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে কাজ করতে হবে। পুলিশ বিভাগসহ সকল এজেন্সির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হলে আন্তরিক হতে হবে। ন্যায়ের শাসন ছাড়া একটা দেশ অগ্রসর হতে পারে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ন্যায়ের শাসনের বিকল্প নেই।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার, বিজিবি ইনচার্জ মোঃ নুরুল হক, পুলিশ সুপার শচীন চাক্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুল রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ নোমান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ফরিদ আহমেদ খান, এডি মতিউর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, জজ কোর্ট পিপি এডঃ ফখরুল আলম খান, এপিপি এডঃ তারিকুল ইসলাম খান রুমা, জেলার মোঃ কামরুল ইসলাম, ডাঃ শাহিনুর আলমসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামকে (৫৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোডের বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা চলমান। এরমধ্যে একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এরই জেরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।