অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে নিজ ঘর থেকে সাথী আক্তার নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাথী আক্তার একই গ্রামের চাতাল শ্রমিক মিজানুর রহমান মিন্টুর প্রথম স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে মিন্টু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, আজ সকালে স্থানীয়রা মিন্টুর ঘর বন্ধ দেখতে পায়। পরে তারে সন্দেহ হলে ঘরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সাথীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর থেকেই মিন্টু ও তার অপর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার ৫শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ও উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জীবনের শেষ বয়সে এসেও জীবন যুদ্ধে হার মানতে রাজি নয় ফজলুল হক (৯০)। শরীরের চামড়াগুলো টান ধরে শুকিয়ে গেছে। বয়সের ভাড়ে কোমর বাঁকা হয়ে গেছে। এরপরও হালাল পথের আয় দিয়ে নিজে কর্ম করে বাকি জীবন কাটাতে চায় ফজলুল হক। তাই দুই হাতে পাপড় এর বস্তা নিয়ে ‘লাগবে না কি পাপড় এই যে লাগবে না কি পাপড়, মচমচে পাপড় বলে বিক্রি করছেন। মো. ফজলুল হক দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি পৌরসভার মধ্যে বাসুদেবপুর (তারকাটা) এলাকার বাসিন্দা। ফজলুল হক তার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে এবং তাদের সকলের আলাদা সংসার। বাড়িতে তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী রুনা বেগম। জীবনের শেষ বয়সে এসে কারও উপর নির্ভরশীল বা হাত না পেতে পাপড় বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
গ্রামেগঞ্জ ও শহরে ছোট থেকে বড়দের একটি মুখরোচক খাবার হচ্ছে পাপড়। সাধারণত মেলার মাঠ, সিনেমা হলের সামনে, পূজা-পার্বণে, অস্থায়ী বাজার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ধর্মীয় মাহফিলস্থলে পাপড় বিক্রির ধুম পড়ে যায়। দামে সস্তা এ খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হলেও মুখরোচক হওয়ায় এর চাহিদার কমতি নেই। জীবনের শেষ বয়সে এসে দুই হাতে বস্তায় নিয়ে পাপড় বিক্রি করে সংসার চালায় ফজলুল হক। দীর্ঘদিন পাপড় তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি করে তিনি চালান অভাবের সংসার। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি।
সম্প্রতি ফজলুল হকের সাথে কথা হয়। বলছেন এই যে পাপড় লাগবে পাপড়, মচমচে পাপড়। মুহূর্তে তাঁর নিকট এগিয়ে গিয়ে শুনলাম তার অতীত ও বর্তমান জীবনের গল্প। অভাবের সংসার তেমন লেখা পড়া করতে পারে নাই। প্রথমের দিকে হিলি এলএসডি গোডাউনে বস্তা ভড়াতো এবং বস্তা সেলাই করতো এতে সুন্দর সংসার চলতো তার। দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে বড় করে বিয়ে সাদী দিয়ে সবার এখন আলাদা সংসার। বড় ছেলে গার্মেন্টসে চাকরি করে এবং আর এক ছেলে একটি কারখানায় চাকরি করে। ছেলেরা প্রতি মাসে যে খরচের টাকা দেয় তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই জীবনের শেষ বয়সে এসে পাপড় বিক্রি করে সংসার চালান ফজলুল হক।
তিনি অনেক আগের কথা মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়ে গিয়ে ছিল আমার স্ত্রীর উপরে তখন তার কোমড়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়। চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মতিঝিল এলাকায় প্রায় দেড় যুগ সময় পার করেন তিনি। মতিঝিল এলাকায় ছেঁড়া, ফাটা ও টুকরো টুকরো করা টাকা কিনে নিতেন তিনি। এরপর ওই টাকা গুলো নাম্বার সহ জোড়া দিয়ে ব্যাংকে দিতো এতে প্রতি হাজারে তার ৪’শ থেকে ৫’শ টাকার মতো ব্যাংক দিতো। তা দিয়েই সংসার চলতো ফজলুল হকের। কিন্তু তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার যেতে বলেন ভারতের বেঙ্গালুরুর। টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয় নাই। সেখানে চিকিৎসার ব্যয় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। এতো টাকা কোথায় পাবো বলে প্রশ্ন ছোড়ে ফজলুল হক।
রাজধানীতে বাসা ভাড়া ও সংসারের খরচ বেশি হওয়ার প্রায় বিশ বছর আগে চলে আসেন নিজ বাড়ি হিলিতে। বাড়িতে বসে তেল, ময়দা, হলুদ, ডিম, কালোজিরা ও লবণসহ বিভিন্ন মশলা দ্বারা তৈরি কার হয় এই পাপড়। তৈরি করা পাপড় প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই হাতে পাপড়ের বস্তা নিয়ে বিক্রি করেন তিনি।
উপজেলা পরিষদে পাপড় কিনে নেওয়া আরিফ হোসেন নামের এক যুবক বলেন, ফজলু কাকার পাপড় খুবই মজাদার। আমি প্রায়ই জায়গায় দেখা হলেই খাই। আবার মাঝে মাঝে আমার ছেলে-মেয়ের জন্য কিনে নিয়ে যাই।
তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর নিকট ফজলুল হক চাচার বিষয়ে কিছু বলতেই তিনি বলেন, আমি ওনাকে আগের থেকে চিনি। আমার জানা মতে ওনি খুব ভালো মানুষ। মাঝেমধ্যে আমার অফিসে আসে আমি তাকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করি।
পাপড় কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে ফজলুল হক চাচা বলেন, প্রতিদিন ১’শ থেকে দেড়শ পাপড় বিক্রি করি। একটি পাপড় ৫ টাকা দরে বিক্রি করায় দৈনিক প্রায় ৫’শ থেকে সাতশত টাকা বিক্রি হয়। এখন বেশি লাভ হয় না তেলসহ সব জিনিসের দাম বেশি।
তিনি আরো বলেন, আমার দুই ছেলে তাদের আলাদা সংসার তাদের ও খরচ আছে। বাড়ীতে আমার স্ত্রী (তোমার চাচি) অসুস্থ প্রতিবন্ধী মানুষ। পাপড় ভাজতে হয় গ্যাসের চুলায়। ছেলেরা যে টাকা দেয় গ্যাস সিলিন্ডার ও ঔষধ সহ টুকটাক খরচ করতেই শেষ হয়। তাই কার ও কাছে হাত না পেতে নিজে পরিশ্রম করে সংসার চালায়।
সরকারি কোন সুবিধা পায় কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাও বা ১৮০০’শ টাকা কখন ও দুই মাস আবার কখনো তিন মাস পরে এলা দিয়ে কি হয় বা!
ওই দিন বাদ মাগরিব উপজেলা পরিষদের মসজিদের বাহিরে আমার সাথে দেখা হয় ফজলুল হক চাচার। আমি পাপড় নিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বলে তোমাকে টাকা দেওয়া লাগবে না বা। তুমি আমার অনেক গল্প শুনলেন, ছবি তুললেন টাকা নিবো না বা। আমি ৫০ টাকার নোট দিয়ে বললাম চাচা একটা পাপড় দেন বাকিটা রেখে দেন। ওনি বললেন না এতো টাকা নিবো কেন! পরে আমাকে একটি পাপড় দিয়ে ৪০ টাকা ফেরত দেয়। আমাদের সমাজের অনেকের ফজলুল হক চাচার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।(সূত্র :বিবার্তা)
চলারপথে রিপোর্ট :
খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে নবীণবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ প্রাঙ্গণে এ বর্ণিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়। পরে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা ও স্কুলের নিয়ম কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান। স্কুলের যেসব সমস্যা রয়েছে তা ক্রমান্বয়ে সমাধান করা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র শিক্ষক রানু চাকমা, চম্পানন চাকমা প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আজ ৯ মার্চ রবিবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের মেইন গেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে একটার পর একটা ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা অপরাধীদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে পাইনি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্ষকের পরিপূর্ণ শাস্তি কার্যকর করতে পারেনি। এটা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যর্থতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, কেয়া সরকার, মেজবাহুল হক মেজবা, প্লাবনী সরকার, মোজাহিদ হোসেন মিথুন, আউয়াল সরকার রাব্বি প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
শহরের একটি বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম (৩০) নামে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের নিউটাউন এলাকায় ভাড়াবাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হামিদের ছেলে আমিনুল। তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের শ্যালক ইয়াসিন মিয়া জানান, ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সর্বশেষ মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন আমিনুল। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা কিশোরগঞ্জের পুলিশকে জানালে তারা গিয়ে বাসার দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও তার সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতর প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও তার ৪ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। ৭ দিন থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়িতে রেখে আবারও কর্মস্থলে ফিরে আসেন আমিনুল।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।