চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় প্রায় ৩০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে ও আজ ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের আমিন মেম্বার ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। রোববার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গিয়াস উদ্দিন ও আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এরই জের ধরে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এক পর্যায়ে গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় ১২/১৫টি বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন, আমসু মিয়া (২৪), আকবর মিয়া (৫০), বকুল মিয়া (২৮), মোনায়েম খাঁ (৩৭), রঙ্গু মিয়া (৩৮), মনির হোসেন (৩৫), তোফাজ্জল মিয়া (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), মরম ইসলাম (৩৫), জাকির হোসেন (৩৩), লিটন মিয়া (৩৩), আতিক মিয়া (২৫), রহিছ মিয়া (৫৫), মহরম আলীর স্ত্রীর(২৮)।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মেম্বার ও শফিক রায়হন শ্রাবনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ নাসির (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে সরাইল ২৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধোরানাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। আটককৃত মো. নাসিরকে বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্যরা মো. নাসিরকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে। তবে এসময় অপর দুই মাদক কারবারি টিটু ও দুলাল পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নাসিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক টিটু ও দুলালকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে বাগান মালিকদের মুখে। এই উপজেলার লিচু সুস্বাদু হওয়ায় সারা দেশেই কদর রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাগানের পাশাপাশি বাসা-বাড়ির ফাঁকা জায়গাতেও লিচুর আবাদ করেছেন স্থানীয়রা।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, শান্তামুড়া, কামালপুর, কচুয়ামুড়া, গোয়ালনগর, ভিটিদাউপুর ও পত্তন এলাকায় লিচুর ব্যাপক চাষ হয়েছে।
বিশেষ করে পাটনাই, বম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-২ ও এলাচি জাতের লিচুর আবাদ হয় এই উপজেলায়। লিচুর জন্য সেখানকার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত আউলিয়া বাজার। পাশাপাশি সিংগারবিল, হরষপুর ও চম্পকনগর বাজারে বিক্রি হয় অধিকাংশ লিচু। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে লিচু কিনে নিয়ে যান।
বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর, সেজামুড়া ও কামালমুড়ার বিভিন্ন বাগানে ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় বাগান মালিকরা জানান, চলতি মৌসুমে বাগানে প্রচুর লিচু এসেছে। বিক্রি গত বারের তুলনায় অনেক বেশি হবে।
হরষপুর গ্রামের লিচু চাষি আবুল হাসেম বলেন, আমার ৫০ টি লিচু গাছ রয়েছে। লিচু গাছে এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এই বছর ৪ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করার আশা করছি।
কামালপুর গ্রামের বাগান মালিক কাউছার ভূঁইয়া বলেন, আমার ৪টি বাগানে ১৭০টি লিচু গাছ আছে। এ বছর ১২ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করার আশা করছি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ জানান, উপজেলায় চলতি বছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচু বাগান আছে ৯০০টি। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভোবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন” শ্লোগানে এবার বিজয়নগর উপজেলায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩।
আজ ৮ মার্চ বুধবার সকাল ১২ টার সময় বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস এর ব্যবস্থাপনায় শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলায় প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক আরার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছিমা মুকাই আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল রহমান মান্না ও সাবিত্রী রানী, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ পাপিয়া সারোয়ার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধনকে সুসংহত করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, বিজিবির সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুর রহমান মান্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণী, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবির উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, এ.এম শামীউল হক চৌধুরী শামীম, বিজয়নগর উপজেলা মডেল মসজিদ মসজিদের খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুমার ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকল ধর্মের এবং বর্ণের লোকজনকে একসাথে মিলেমিশে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুসংহত করতে হবে।
সমাবেশে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ হাজার ১৭৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ২৪ কেজি গাঁজা, ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৫ বোতল বিয়ার, ৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ী, ২ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় মেডিসিন এবং ১৫৪ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় মোঃ মোকাব্বির (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সোমবার রাতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা জেলার বিজয়নগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলার কাশেমপুর, আনোয়ারপুর, চাঁনপুর, আজমপুর, নোয়াবাদি ও হীরাপুর এবং পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর ও ধর্মঘর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান, মাদক, শাড়ি ও মেডিসিন উদ্ধার ও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মোকাব্বির বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন ( সরাইল ব্যাটালিয়ন) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানকৃত শাড়ী, মেডিসিন এবং চিনি আখাউড়া কাষ্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ও গ্রেফতারকৃত মোকাবিবরকে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।