পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এই ছুটি ঘোষণা করেছে।
আজ ৬ মে মঙ্গলবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তবে ১৭ মে ও ২৪ মে শনিবার অফিস খোলা থাকবে বলে শফিকুল আলম জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে তিন মেয়েসহ নিখোঁজ গৃহবধূর (২৮) সন্ধান পাওয়া গেছে।
আজ ৯ জুন রবিবার দুপুরে বগুড়ার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে বিজয়নগর থানা পুলিশ। বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ওই গৃহবধূ ও তার তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। গৃহবধূর জবানবন্দি নেওয়া হলে নিখোঁজের কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, গত ২ জুন রবিবার ওই গৃহবধূ ও তাদের তিন মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তিন মেয়েকে নিয়ে আখাউড়া থেকে আবার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় করে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। এরপর থেকে আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ৮ জুন শনিবার নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভূঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) লিজা বেগম, ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমানসহ ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মনে চলার জন্য লিফলেট বিতরণ করেন। সেইসাথে হেলমেট পরিধান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহবান জানানো হয়। সেসময় বেশকিছু মোটরসাইকেল চালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও হেলমেট বিতরণ করেন পুলিশ সুপার ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সকলের আরও ভালো ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো।’
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্য দু’টি পরে চালু করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেওয়া, যার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে জনগণের কাছে দোয়া চান। দেশের প্রতিটি মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না, এটি ব্যর্থ হবে না এবং এটি ব্যর্থ হয়নি। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।’ সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
জনগণ দেশের উন্নয়ন চাইলে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৬ আগস্ট রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ বর্ধিত সভায়’ এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গটি এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণেই ওয়ান-ইলেভেন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
সভায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ হেরেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এবং দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
সামালোচকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন আগে হলো না কেন? আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করেই আজ আমরা দারিদ্রের হার ১৮% এ নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমি অর্থনীতিবিদদের কাছে জিজ্ঞাসা করি- ১৮ ভাগ দারিদ্রের হার আগে কেন হয়নি? তারা কোন অঙ্কের হিসেব করেন? ২০০৯ এর আগে কি এই পরিমান দারিদ্র বিমোচন হয়েছে? তা তো হয়নি। হলো কেন? তার কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচি, পতিটি পদক্ষেপ গণমুখী। জনগণকে দারিদ্রমুক্ত করা, জনগণের শিক্ষার হার বাড়ানো, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দেওয়া, তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলেই এই দারিদ্রের হার হ্রাস পেয়েছে। কোন ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্রের হার হ্রাস হয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে একটা চক্রান্ত শুরু হয়। সেই চক্রান্তে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের হত্যা করা হয়। ২১ বছর আমাদের শুধু আহতদের চিকিৎসা ও লাশ টানতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশগ্রহণ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই ভাই মো. মেহেদি হাসান নুর (২০) ও মো. ইব্রাহীম (১০) দুমকী উপজেলার নলদোয়ানি গ্রামের মো. সোহরাব হোসেন এর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত দুই শিশুর বাবা সোহরাব হোসেন খুলনায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে গত রবিবার মির্জাগঞ্জে রামপুর গ্রামে নানা আব্দুল কাদের মুসুল্লির বাড়িতে মায়ের সাথে দুই ভাই বেড়াতে আসে। দুপুর ১টার দিকে দুই ভাই নানা বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। তারা দুজনেই সাঁতার জানত না। গোসল করে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে তাদেরকে বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাঠাঁলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে দুই শিশু মেহেদি হাসান নুর ও মো. ইব্রাহীম নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।