পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জেরে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে সুজন ফকির (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে আজ ৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা সদরের পৌর মুক্তমঞ্চে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
নিহত সুজন ফকির কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউয়িনের জাজিজার গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত ঘাতক শাওন তার আপন চাচাতো ভাই। তিনি লিটন মিয়ার ছেলে। সুজন ফকিরের দুই সন্তানের জনক ছিলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী অন্তস্বত্ত্বা।
মুক্তমঞ্চ এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতের বাবা খোকন ফকির, মা আবেদা বেগম, স্ত্রী আকলিমা আক্তার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানভীর শাহিন, উপজেলা যুব জামায়াতের সদস্য সচিব মো. শরীফ প্রমুখ।
বক্তারা, সুজন হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার করে শাওনের ফাঁসির দাবি করেছেন এবং অপর আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের বলেন, ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে আপন চাচাত ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন ফকির খুন হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে সকালে বাড়ির আঙিনায় ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সুজন ও শাওনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাওন ধারালো ছুরি দিয়ে সুজনকে উর্পর্যুপরি আঘাত করে। এতে সুজন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা খোকন ফকির বাদী হয়ে শাওনকে প্রধান আসামী করে সাতজনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কসবা পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল আক্তার চড়নাল গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জানান, কয়েক মাস আগে ছোট মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই তাকে অন্যমনস্ক বা বিকারগ্রস্ত হয়ে আবোল তাবোল কথা বলতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ ভাল থাকতো আবার কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের মর্জিমাফিক চলত। এসব সমস্যায় চিকিৎসাও চলছিল। গত বুধবার তাকে কুমিল্লা নেয়া হয়েছিল চিকিৎসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে বড় মেয়ের কক্ষে পাঠায়। বড় মেয়ে তার ছোট ভাইকে নিয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় রান্না ঘর থেকে গোঙ্গানীর শব্দ শুনে গিয়ে পারুল আক্তারের গলাকাটা পড়ে আছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গৃহবধূ পারুল। ঘটনার সময় গৃহবধূর হাতে ছিল রান্নার কাছে ব্যবহৃত বটি দা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে গৃহবধূ পারুল আক্তার গলা কেটে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার ৫শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্য সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফাহমিদা সিদ্দিকী হাবিবা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ও উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা। আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন কয়েকশত যাত্রী।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার শহীদুল আলম বলেন, সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ সময় অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন। পরে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরেন তারা।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি, খবর পেয়ে দ্রুত স্টেশনে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। স্টেশনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করবে জিআরপি থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, মূল বেতনের সাথে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতার নিরসন না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারাদেশে বন্ধ হয়ে পড়েছে ট্রেন চলাচল।
রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসাবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে, তখন ট্রেন চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির চকিয়াপাড়া গ্রামের আইন উদ্দিন এর ছেলে মোস্তাকিম (৪২)। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার মৃত আজিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে নুর আমিন (২০) তাদেরকে ১৫০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর মালিপাড়া গ্রমের আলাচান মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), একই ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মৃত কুমির উদ্দিন সর্দার এর ছেলে আমিনুল হক সর্দার(৫৯)। পৌর এলাকার পশ্চিম গৌড়ীপাড়া গোমের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৯), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৭), মোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩০), মৃত সোলেমান মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪১), হাছান আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৫৫), মৃত কামাল উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম লাল বাবু(৫০)। কাজিহাল ইউনিয়নের বাজনাপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৭)। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর অপারেশন ডেভিল হান্টে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে ১৪টি চুরি-ডাকাতি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বুধবার দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল মিয়াকে বিভাগীয় মামলায় জড়ানো হয়। ৩ বছরের জন্য তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের ১১ দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুয়েল মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
২০১৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই তিনি বান্দরবান পুলিশে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
জুয়েল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সাঈদি সাহেব একজন আলেম ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আমার বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করিয়েছেন। ৩ বছরের জন্য আমার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তদন্ত করেছিলেন।
একজন আলেম মারা গেছেন, আমি দোয়া চেয়ে কি এমন দোষ করেছি? আমার কি দোষ ছিল? আমি গরিব পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে চাকরিটি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ১১ দাবিতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে তারা ‘আমার ভাই কবরে, আইজি কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে কমিশনার কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে বিসিএস কেন বাইরে, বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সারা দেশে পুলিশ হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী। ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ১১ দাবি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে পুলিশ বাহিনী রাখে নাই। পুলিশ বাহিনীর পোশাক শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের গোলাম বানিয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ছিল না। পুলিশকে, পুলিশ লীগে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণসহ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ৬টি থানাসহ কোনো কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।