অনলাইন ডেস্ক :
রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ ৭ মে বুধবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমানযোগে তারা মিয়ানমারে রওনা দেন।
এর আগে আজ সকালে বিজিবির তত্ত্বাবধানে তাদের কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
বিজিবির কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, রাখাইনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ৪০ জন ব্যক্তি বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নেয়। এদের মধ্যে সেনা ও বিজিপি সদস্য ছাড়াও কিছু সাধারণ নাগরিকও আছেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মর্তুজা হোসেন জানান, মিয়ানমার থেকে একটি বিশেষ বিমান দুপুর দেড়টা নাগাদ কক্সবাজারে অবতরণ করে। যেহেতু বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ব্যবহার হয় না, তাই কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। বিমানটি ২টা ৪৫ মিনিটে ৪০ জনকে নিয়ে কক্সবাজার ত্যাগ করে।
এর আগেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৭৫২ জনকে তিন ধাপে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একইভাবে মিয়ানমারে আটক থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও তাদের দণ্ড শেষ করে দেশে ফিরে এসেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার মাসপূর্তির একদিন পর ঢাকাসহ ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরে বদলি করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রজ্ঞাপনে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট ও চাঁদপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাঠ প্রশাসনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পরই জনপ্রশাসনে বড় পরিবর্তনে হাত দেয় সরকার।
গত ১৪ আগস্ট একদিনেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ ১১ জন সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এছাড়া পদ-পদায়ন থেকে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে বড় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনেও আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন। এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকদের প্রত্যাহার করে নতুন করে জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন সরকার গঠনের পের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথম সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সভায় তিনি দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনাসহ একগুচ্ছ বার্তা দিয়েছেন।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনা মানুষের জীবনমান স্বাচ্ছন্দ্য ও সুন্দর করতে দ্রব্যমূল্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন। প্রথমে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দায়িত্ব পালনে আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান সমুন্নত রেখে যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করি।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আসন্ন রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে অবহিত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন ও সার ব্যবস্থাপনা; কর্মমুখী শিক্ষা, নতুন পাঠ্যক্রম ও কর্মসংস্থান; বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বইমেলা জেলার বাইরে উপজেলা পর্যায়ে নিতে বলেছেন। পর্যটন শিল্পের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সে নির্দেশনা দিয়েছেন।
সংসদ কার্যক্রমে সহযোগিতা
সংসদ কার্যক্রমে আমরা যেন সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করি। বিশেষ করে প্রশ্নেত্তর পর্বে। প্রশ্নেত্তর লেখা বা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর যেন যথাযথভাবে উপস্থাপন করি। যেদিন যে মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর থাকবে সেদিন যেন ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সংসদে উপস্থিত থাকেন। কর্মকর্তাদের সংসদ কার্যাবিধি সম্পর্কে অবহিত হতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনা
১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটার ধারাবাহিকতায় এবার ইশতেহার দিয়েছেন। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ করতে যাচ্ছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। তারই ধারাবাহিকতা রয়েছে। জনগণ রায় দিয়েছে, দল নির্বাচিত হয়েছে, সরকার গঠন করেছেন, তাই নির্বাচনী ইশতেহারটাই হবে ৫ বছরে সরকার পরিচালনার মূল নীতির দলিল। এই দলিল বাস্তবায়নের জন্য উনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইশতেহার বাস্তবায়ন সমন্বয়ের দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করবে। নির্বাচনী ইশতেহারে ১১টি অগ্রাধিকার কার্যক্রম আছে, ৩০০টির বেশি অঙ্গীকার আছে, সেগুলো ম্যাপিং করা হবে। এরপর কোন মন্ত্রণালয়ের কি কাজ সেটি চিহ্নিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সেই কাজগুলো করবে। কাজগুলো যাতে ঠিকমত মনিটর করা হয় সেজন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, সিটিজেন চার্টার, রাইট টু ইনফরমেশন এবং সুশাসনের যেসব টুলস আছে সেখানে নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারগুলো ইন্ডিগেট করতে বলা হয়েছে, যাতে করে বাৎসরিকভিত্তিতে মনিটরিং করতে সুবিধা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘শক্ত ব্যবস্থা’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে উনি একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন যে, অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এটির ক্ষেত্রে উনি সংশ্লিষ্ট সকলেকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যেন এটি কোথাও না হয়।
আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোরগ্যাং বা এ রকম যে সব অপরাধ হচ্ছে সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করবেন- প্রকল্পে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কি না?
প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা ও বাছাইয়ের কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে প্রকল্পগুলো জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, জনগণ উপকার পাবে সেদিকে উনি মনোযোগ দিতে বলেছেন। উনি বলেছেন যে উনার মূল লক্ষ্য হলো জনমানুষের অবস্থার উন্নতি। এরকম নয় যে মানুষকে দেখানো। জনমানুষের কল্যাণ হচ্ছে কি না, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কি না- এটি উনি জিজ্ঞাসা করবেন প্রকল্প উপস্থাপনের সময়, জানতে চাইবেন যে কীভাবে এটি জনগণকে বেনিফিট দেবে। সেভাবে যেন প্রকল্পগুলো বাছাই করি। চলমান যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলো তিনি দ্রুত শেষ করার নির্দেশা দিয়েছেন।
মূদ্রাস্ফীতি নিয়ে নির্দেশনা
উনি মূদ্রাস্ফীতির কথা বলেছেন। মূদ্রাস্ফীতি আমাদের জিডিবি গ্রথের নিচে থাকতে হবে। সেটি করার জন্য উনি কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আয়করের আওতা বাড়ানোর নির্দেশ
একটা বড় নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি বলেছেন যে এখনও বিরাট সংখ্যক ব্যক্তি যাদের আয়কর দেওয়ার কথা তারা আয়করের আওতায় আসেনি। তাদের যেন আয়করের আওতায় আনা হয় সেজন্য জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন।
বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হলে ‘ভালোভাবে নেবেন না’
বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অহেতুক যেন তারা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। বিনিয়োগ আসতে কোনো জটিলতা হলে তার নজরে যেন নেওয়া হয়। উনি ভালো চোখে দেখবেন না কোনো কারণে যদি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, উনি ভালোভাবে নেবেন না।
পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি হলে শক্ত ব্যবস্থা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে উনি একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন যে, অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এটির ক্ষেত্রে উনি সংশ্লিষ্ট সকলেকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যে এটি যেন কোথাও না হয়।
সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ
সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অহেতুক যেন আমরা ব্যয় না করি। প্রত্যেক অর্থের পিছনে যেন ভেলু পাই।
কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি সুবিধা
আমরা গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা পাই কৃষিজাত পণ্য, চামড়া এবং পাটজাত পণ্যে একই রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশনরা দিয়েছেন এবং কাজ করতে বলেছেন। গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে একটা বড় অংশ আমদানি করতে হয়। একটা বড় অংশ চলে যায় আমদানির ক্ষেত্রে। এই তিন পণ্যে আমাদের স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল আছে। সুতরাং এখানে ভেলু অ্যাড অনেক বেশি হবে।
নতুন বাজার
রপ্তানি বাজারের ক্ষেত্রে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় যেন বাজার খুঁজি, বিশেষ করে ওষুধ, পোশাক, খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য, পাটজাতপণ্যের। এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যেন সহায়তা দেওয়া হয়। খাদ্য উৎপাদনে নজর দিতে বলেছেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ব্যবহারের সাশ্রয়ী হতে হবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলেছেন। বিশেষ করে সেচ মৌসুমে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে বলেছেন। কোনোভাবে যেন সেচ মৌসুম বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। সেচের ক্ষেত্রে সোলার এনার্জি ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্লু-ইকোনমির জন্য সামুদ্রিক যে ব্লক আছে সেখানে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বলেছেন।
কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব
কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোর যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়, কোয়ালিটি প্রশিক্ষণ হয়। সার্ভিস সেক্টরে প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। আমাদের যে পর্যটন আছে শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বেই প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। সেজন্য উনি বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
উন্নয়নের যেন ধারাবাহিকতা থাকে
ইতোমধ্যে উনি যে উন্নয়ন করেছেন সেটির যেন ধারাবাহিকতা থাকে। সাসটেইন থাকে। এটির দিকে খেয়াল রেখে নতুন প্রকল্প বা কার্যক্রম নিতে বলেছেন। ইতোমধ্যে যেগুলো করেছেন সেগুলো যেন হারিয়ে না যায়।
শূন্য পদ পূরণ ও পদোন্নতি
শূন্য পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছেন এবং সময়মতো পদোন্নতির জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা আছেন প্রয়োজনে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
তিন ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত রাখার জন্য বলেছেন। এখন যে ক্যাপাসিটি আছে তা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। খাদ্য সংরক্ষণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ক্ষেত্রেও সুবিধা দেওয়ার জন্য বলেছেন। তিন ফসলি জমি যেন কোনো অবস্থাতেই নষ্ট না হয়। সেখানে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যাবে না।
জলাধার ভরাট নয়
জলাধার ভরাট করা যাবে না। জলাধার অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো অস্থাতেই নদীর ধারাবাহিকতা বা প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সেচের ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন শুধু দুদকের দায়িত্ব নয়
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এও বলেছেন যে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব শুধু দুদকের নয়। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও সচিবদেরও দায়িত্ব আছে দুর্নীতি নিরসন, লাঘব করার জন্য যে সার্ভিস পয়েন্ট আছে সেখানে নজরদারির জন্য। যে প্রক্রিয়া নেওয়া যায় সে প্রক্রিয়া নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
নতুন শিক্ষাক্রমে ভুলভ্রান্তি থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা
নতুন পাঠ্যক্রমের বিষয়ে কিছু বলা হয়েছে কি না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম নেওয়া হয়েছে তা প্রচলিত শিক্ষাক্রম নয়। তা থেকে ভিন্ন একটা। এই বাস্তবতা আমাদেরকে মানতে হবে। আমরা যারা বিশেষজ্ঞ তারা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে শিক্ষা পেয়েছি। নতুন যে পাঠ্যক্রম রচনা করতে হবে সে ব্যাপারে প্রশিক্ষত লোক খুব বেশি আছে তা কিন্তু নয়। যারা আছেন, তাদের কাজ হচ্ছে- উনি বলেছেন, যদি কোনো ভুল ভ্রান্তি, যদি কোনো তথ্যগত বা কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে দ্রুত যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উনি বলেছেন, কোনো বিলম্ব হবে না। কোনো গ্যাপ তৈরি হলে যেন যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন।
১৬টি আইন অগ্রাধিকার
উনি নির্দেশনা দিয়েছেন, গত সংসদে যে আইন পাস হয়নি সেগুলো দ্রুত মন্ত্রিসভায় এনে যেন সংসদে পাঠাই। সামরিক আমলে ১৬৬টি আইনের বিকল্প আইন করার জন্য উচ্চ আদালত থেকে বলা হয়েছিল, সেখানে ১৬টি আইন বাকি আছে। এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়ে যেন কাজ করি সে নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই নারী ও এক শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতদের মধ্যে মা ও তার শিশু সন্তান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। মামলায় তাদের সহযোগিতাকারীকেও আসামি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩২) ও তার ছেলে মো. ফারহান (০৩) এবং নোয়াদিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে দালাল মো. মাসুদ মিয়া অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার জন্য ওই তিনজনকে সহযোগিতা করেন। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মানব পাচারকারী দালাল মাসুদ পালিয়ে যায়।
২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহল দল আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ওই তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ফরিদা সন্তানসহ চিকিৎসার জন্য ও জেসমিন আক্তার জুতা কারখানায় কাজ করতে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাবির বিষয়টি মনযোগসহকারে শুনেন।
এছাড়াও দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ তথা পুরো জেলাবাসীর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয় অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
‘ফ্রেন্ডস’ ভক্তদের প্রিয় চরিত্রের একটি রেচেল গ্রিন। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জেনিফার অ্যানিস্টন। তার অভিনয় আর কথা বলার ধরণ মুগ্ধ করেছিল দর্শককে। আজও ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজের ভক্তদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই ছোট-বড় সবার কাছেই পরিচিত মুখ জেনিফার। তবে এবার এসব ছাপিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে প্রেম নিয়ে আলোচনায় এই অভিনেত্রী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, মিশেলের সাথে টিকছে না ওবামার দাম্পত্য জীবন। যার কারণ হলেন জেনিফার অ্যানিস্টন। বিষয়টি নিয়ে চুপ নেই জেনিফারও। এতে প্রশ্ন উঠেছিল সত্যিই কি ‘ফ্রেন্ডস’ তারকা জেনিফারের সাথে ওবামার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে কিনা। যদিও এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জেনিফার। সূত্র বলছে, বিষয়টি জেনে জেনিফার হাসতে হাসতে বলেছেন, শুনেছি, আমার আর বারাকের সম্পর্ক নিয়ে নাকি চর্চা চলছে! আমি একটুও রাগ করিনি। জানি তো, কী করে গুঞ্জন জন্ম নেয়। তিনি সরাসরি এই গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ওবামার সাথে প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেনিফার অ্যানিস্টন।
জানা যায়, ওবামা পরিবারের সাথে জেনিফারের ঘনিষ্ঠতা আগে থেকেই। বেশ আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে অনেক অন্তরঙ্গ কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন জেনিফার। ওবামা পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতাও স্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন, আমি মিশেলকে বারাকের থেকেও বেশি চিনি। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারটি ভাইরাল হতে গুঞ্জন ডানা মেলেছে যার উত্তর দিলেন জেনিফার।
এদিকে ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা থাকলেও আসেননি তার স্ত্রী মিশেল ওবামা। প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডিরা উপস্থিত থাকেন। কোনও স্পষ্ট নিয়ম না থাকলেও এই প্রথা চলে আসছে বছর বছর ধরে। ডিভোর্স জল্পনার মাঝে মিশেলের অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার বিষয়টি যেন আগুনে আরো ঘি ঢেলেছে।
সূত্র : মার্কা, ফোবর্স ও ডেইলি মেইল।