চলারপথে রিপোর্ট :
‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
আজ ১০ মে শনিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা, শিক্ষামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজহারুল হুদার সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরীন।
এসময় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রহিমা খাতুন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবির হোসেনসহ উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতের সুন্দর লেখা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও শিক্ষামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌজন্য পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এদিকে অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে, ৬৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর ও ৫৩ টি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরীন শিক্ষকদের হাতে প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মে মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ১৫ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা ও সুমাইয়া আফরিন। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে ইসরাত জাহান, সৃষ্টি রায়, সানিয়া আক্তার ও মহিমা রায়। ২১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে লামিয়া আক্তার।
বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায় ও স্নেহাল গোপ পান্না। ২৬ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন শয়ন গোপ।
ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। আমি নাসিরনগর উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত পাবলিক লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখি প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন পাঠক লাইব্রেরিতে আসেন।
তিনি আরো বলেন, পরে সেখান থেকে চিন্তা করি লাইব্রেরিতে কেমন করে পাঠক বাড়ানো যায়। তখনি ঘোষণা দেই লাইব্রেরিতে বেশি দিন উপস্থিত থেকে যে বই পড়বে তাদেন পুরস্কার দেওয়া হবে। এখন প্রতিদিন লাইব্রেরিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন পাঠক আসে।
তিনি আরো বলেন, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়েছিলেন তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। মে মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়ার জন্য আজ ১২ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক গুলো বইয়ের নাম বলেছেন, যেগুলো তারা পড়তে চাই। আমি সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ২৫ গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, টেঁটা, ফলা, চল, সড়কিসহ প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে আজ ৬ মে শনিবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ উপজেলার নূরপুর, হরিপুর, নরহা, চিতনা, ধরমন্ডল,শংকরাদহ, গোকর্ণ, কুন্ডা, কুন্ডা জেলে পাড়া, শ্রীঘর, চাপরতলা, ভোলাউক, উরিয়াইন, আতুকুড়া, মুকবুলপুর ও পূর্বভাগসহ ২৫টি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এদিকে শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষি কাজ ও নিত্যদিনের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ছাড়া ঝগড়া-বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের দেশীয় অস্ত্র যাতে তৈরী না করেন সে জন্য উপজেলার ৩৮জন কামার (কর্মকার) এবং ১৬জন বাঁশ ব্যবসায়ীর সাথে সভা করেছেন।
সভায় কামারদের বলা হয়েছে, ঝগড়া বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের অস্ত্র রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, ফলা, যেন তৈরী করা না হয়। এছাড়াও বাঁশ ব্যবসায়িরা যেন টেঁটা তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় হাজার খানেক লোক কম বেশী আহত হন। এছাড়া ঈদ-উল ফিতরের দিন উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জামাল নামে একজন কৃষক নিহত ও প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এরপরই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পুলিশকে নিদের্শ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে গত ১০ দিনে পুলিশ উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কামার ও বাঁশ ব্যবসায়ীরা যাতে ঝগড়া ফ্যাসাদে ব্যবহৃত হয় সে ধরনের দেশীয় অস্ত্র তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে নিয়ে শনিবার সভা করেছি। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলার ৩৮ জন কাঁমার ও ১৬জন বাঁশ ব্যাবসায়ি অংশ নেন।
ওসি আরো বলেন, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
মো. রাসেল মিয়া- পরিবারকে স্বচ্ছলতার আলো দেখানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০২৪ সালে পাড়ি জামান লিবিয়া। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে যে এক নিষ্ঠুর ফাঁদ অপেক্ষা করছিল, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। অবশেষে মাফিয়া চক্রের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিভে গেল এক তরুণ প্রাণ। তার মৃত্যুর খবরে এখন পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
রাসেল উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের লাউস মিয়া আউলিয়া বেগম দম্পতির বড় ছেলে। পরিবারের দাবি, ২১ ফেব্রæয়ারি লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের লোকজন বিষাক্ত ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে রাসেলকে হত্যা করে। ২২ ফেব্রুয়ারি এক প্রবাসীর মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারে পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে রাসেল সবার বড়। ২০২৪ সালের প্রথম দিকে, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে পরিবারের শেষ সম্বল, পৈত্রিক ভিটা বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা তুলে দেন একই গ্রামের মানব প্রাচারকারী লিলু মিয়ার হাতে। কথা ছিলো লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানো হবে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে পৌঁছে তার কপালে জোটে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেখানে গিয়ে তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় লিবিয়ার একটি স্থানীয় দালাল চক্রের হাতে। এর পরই শুরু হয় দুঃস্বপ্নের অধ্যায়। মাফিয়া চক্র রাসেলকে নির্যাতন করে একাধিকবার ভিডিও পাঠিয়ে পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৩০ লাখ টাকা। সবশেষ আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
নিহতের বাবা আউয়াল মিয়া বলেন,‘ আমার জীবনের শেষ সম্বল বসত ভিটা ও ফসলি জমি বিক্রি কইরা কয়েক ধাপে ৫০ লাখ টাকা দিছি। আরো টাকা চাইত। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলেরে হত্যা করছে দালাল লিলু মিয়া ও মাফিয়া চক্র।
রাসেলের মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে দালাল লিলু মিযার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবার ও সে পলাতক আছে। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, রাসেলকে বাঁচাতে তার পরিবার প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে। কিন্তু টাকা দিয়েও বাঁচাতে পারেনি। যারা মানব প্রাচারের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। রাসেলের মতো আর কোন তরুণ যেন অকালে প্রাণ হারায়।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাসরিন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যারা মানব প্রাচারের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সোহরাব হোসাইন আবির নামের এক ছাত্রদল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আজ ৫ জুলাই শনিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব হোসাইন আবির চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামের উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে দুপুর ১টার দিকে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক ছাত্রদল নেতা সোহরাব মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ মারামারি শুরু হয়। একজন নিহত হয়েছেন। লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ রয়েছে পুরো বাজার। মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাতলপাড় বাজারের প্রায় ৫ শতাধিক দোকানঘর বন্ধ হয়ে গেছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুইটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরেই সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শানিহা নাসরিন বলেন, সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবরের পর লুটপাটের ঘটনা শুনেছি। আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কথা বলেছি।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র বারবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, দেশ বিরোধীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র করলেও তারা সফল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে তাদের সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার তো মনে হয়, দেশ থেকে সংখ্যালঘু শব্দটাই তুলে দেওয়া উচিত।’
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ এর সহযোগিতায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব ধর্মের বিকাশে বদ্ধপরিকর। এ জন্য ইসলামের পাশাপাশি অন্য ধর্মের কল্যাণেও কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সরকার। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সামাজিক সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় উপজেলা জৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকারের সঞ্চালনায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফকরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আশেকুর রহমান, জেলা সদর ও সরাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক রেজা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।
এর আগে, নাসিরনগর উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। কাজের ধীরগতি কারণে তিনি ঠিকাদারকে সর্তক করেন। এ সময় ঠিকাদারকে তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। তা না হলে বরাদ্দ আটকে দেওয়া হবে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।