চলারপথে রিপোর্ট :
ঝোঁপের ভেতর থেকে সাকিবুল ইসলাম জয় (২৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট আনসার ও ভিডিপি অফিস এলাকার ঝোঁপঝাড় থেকে আজ ১১ মে রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাকিবুল ইসলাম জয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ পৈরতলা শেখ জালাল মাজার এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে।
পুলিশের দাবি এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ছিলেন জয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, সকালে ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর আসে পুনিয়াউট ঝোঁপের ভেতর একটি মরদেহ পড়ে আছে। নিহতের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জয় এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী দলের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি মামলা চলমান। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভনের আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ৭ জুন শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ার গ্রামের একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে তার সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফারাবী তাকে গুলি করে কোমড়ে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ সময় তার (ইজাজের) বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের পিতা হাজী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের একটি বিশেষ টিম, সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের একটি ব্রীজের পাশের ঝোপের মধ্য থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর হাসান আল ফারাবী জয় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী পূর্ব বিরোধের জের ধরে ও এলাকায় তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজাজকে মাথায় পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
পুলিশের কাছে দেয়া জয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জালাল হোসেন খোকা এবং জয় খুবই ঘনিষ্ঠ, ইজাজও তাদের সাথে চলাফেরা করতো, তারা একই পাড়ার বাসিন্দা। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতো খোকা ও জয়। তবে তাদের সব সিদ্ধান্ত ইজাজ ও তার সাথে কয়েকজন মেনে না নিয়ে কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতো। আর এ কারনেই ইজাজ ও তার কয়েকজন বন্ধুর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো খোকা ও জয়। এই বিরোধ আস্তে আস্তে চরম আকার ধারন করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন। তাদের কাছে ট্রেনের ৬০ টাকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা চান কাউন্টার সেলসম্যান সালাউদ্দিন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সময় রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাসও কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করছিলেন। তার কাছেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা টিকিট কিনতে যান। দাম-দর করার পর টিকিট দেওয়ার সময় আঁচ করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন বিপ্লব কিন্তু রক্ষা হয়নি। তাকে আনসার সদস্যরা আটক করেন। একইভাবে আয়েশা বেগম ও আরাফাত নামে আরও দুই টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালানো ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ইউএনওর নেতৃত্বে পরিচয় গোপন রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে কাউন্টারের এক টিকিট সেলসম্যান এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষীকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে টিকিট সেলসম্যান সালাউদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাসকে রেলওয়ে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুই টিকিট কালোবাজারি আয়েশা ও আরাফাতকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর কার্যালয়ের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, মাদকদ্রব্য প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমরা যদি সবাই যার যার পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখি ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি তাহলেই মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। আমাদের যুব সমাজ যাতে মাদকের ভয়াবহতা থেকে দূরে থাকতে পারে সেজন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে মাদক বিরোধী রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে এই ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মণির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি:অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মণির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মণির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরণ খান, আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৮০জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বিকেল ৩টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী মোড়ে সংঘর্ষের সময় আশিক মিয়া (১৭) হত্যার ঘটনায় তার পিতা সাগর মিয়া বাদী হয়ে গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/৩০০ লোককে আসামী করা হয়েছে।
মৃত আশিক মিয়া পৌর এলাকার কলেজপাড়ার সাগর মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, তানজিল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হালিম শাহ লিল মিয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারী, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাকিল মিয়া, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানি, বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব হোসাইন প্রমুখ। এজাহারে মামলার বাদী সাগর মিয়া অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ মোদি বিরোধী আন্দোলনের সময় জেলার বিভিন্ন ¯’ানে বিক্ষোভ মিছিল হয় ও মিছিলে অংশ গ্রহণ করে আশিক মিয়া।
২৬ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে শহরের কাউতলী মোড়ে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আসামীরা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি ও ককটেল নিপে করে। তাদের ছোড়া গুলি আশিকের বুকে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় হাসপাতাল থেকে কোন স্লিপ দেয়া হয়নি ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই আশিকের লাশ দাফন করা হয়। ওই সময় স্বৈরাচারি সরকারের দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।