চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-৪ এর আওতায় ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১২ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামিউল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মামুনুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল খায়ের স্বপন, কসবা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সবুজ খাঁন জয়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফ উজ্জ্বল, ফোরকানুল ইসলাম, কসবা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও সামিউল ইসলাম বলেন সরকার প্রদত্ত এই ল্যাপটপগুলো প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। শিক্ষকদের দায়িত্বশীলভাবে এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন এই ল্যাপটপগুলো শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল শিক্ষায় সংযুক্ত করতে সহায়ক হবে এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণেও ব্যবহৃত হবে। অনুষ্ঠানটি প্রযুক্তিনির্ভর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারের একটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কসবায় ১৫২ বোতল ফেনসিডিলসহ রাজু আহমেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২৩ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তালতলা বটগাছ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজু আহমেদ নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে। আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তালতলা বটগাছ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক থাকায় দুপুরে স্থগিত হলো চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন।
আজ ২৮ এপ্রিল রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কুটি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পারেন ব্যালট পেপারে তার প্রতীক সিএনজিচালিত অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত ৩ চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তার ভোটারা বিব্রত হচ্ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তার এই অভিযোগের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেন। পরে সেখান থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার সাংবাদিকদের জানান, ব্যালট পেপারে প্রতীক সমস্যা হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কসবা উপজেলার ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৪৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৭৭৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৬৫৯ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ভুশ্চি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগ মীমাংসা করতে শনিবার রাত ১০টায় শিশুটির বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন গ্রামের কয়েকজন মাতবর।
বৈঠকে উভয় পক্ষের সদস্যদের দ্বারা গঠিত জুরি বোর্ডের মাধ্যমে বৃদ্ধকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বৃদ্ধের পক্ষে ২ হাজার টাকা সালিশের সভাপতির কাছে জমা দিয়ে রায় কার্যকরও করা হয়েছিল। কিন্তু রাত ২টার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি টিম সালিশ বৈঠকস্থলে পৌঁছলে সালিসদাররা পালিয়ে যান। সেখান থেকে শিশুটির মুখে ধর্ষণের বর্ণনা শুনে বৃদ্ধ আবাদ উল্যাহকে আটক করা হয়।
গতকাল রবিবার দুপুরে নির্যাতিত শিশুটির মা বাদী হয়ে আবাদ উল্যাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে লালমাই থানায় মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নির্যাতিত শিশুটি স্থানীয় একটি মহিলা মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভুশ্চি গ্রামের হিরন মিয়ার পরিত্যক্ত রান্না ঘরে শিশুটিকে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বৃদ্ধ আবাদ উল্যাহ।
১০ দিনের ব্যবধানে একইভাবে শিশুটিকে তিনি তিনবার ধর্ষণ করেন। গত ৭ মার্চ দুপুরে বাড়ির অন্য শিশুদের মাধ্যমে জানতে পেরে তার মা জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি ধর্ষণের বর্ণনা দেয়।
সালিশ বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ও ভুশ্চি গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান মিন্টু বলেন, গ্রামের গণ্যমান্যদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে শনিবার রাতে সালিশ বৈঠক হয়েছে। শিশুটির ঔষধ খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা রায় করেছিল সালিশের বিচারকরা। বৃদ্ধের পক্ষে সর্দারের কাছে ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে রায়ও কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার দিবাগত রাত ২টায় সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে বৃদ্ধকে আটক করে নিয়ে গেলে সালিশ বৈঠক সমাপ্ত হয়ে যায়।
ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক রেদোয়ান হোসেন বলেন, লালমাই আর্মি ক্যাম্পের একটি টিম যাওয়ার পর খবর পেয়ে আমরা শিশুটির বাড়িতে যাই। ভিকটিম ও তার পরিবারের কথা শুনে আমরা বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আমরা যাওয়ার আগে বাড়ির উঠানে সালিশ বৈঠক চলছিল বলে শুনেছি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ভিকটিমকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় দেশীয় অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছে যৌথ বাহিনী। ১৩ অক্টোবর রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মান্দারপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. সিদ্দিক মিয়া কসবা উপজেলার মান্দারপুর এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে একই এলাকার মতি মিয়ার ছেলে মো. মোজাম্মেল ও সাদেক মিয়ার ছেলে মো. সিয়াম মিয়া।
আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে কসবা উপজেলার মান্দারপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ৫ টি দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ১২টি ছুরি ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আটকে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. রাজ হোসেন জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকার মনিচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা বস্তা তল্লাশি করে ৩৪ কেজি কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।