মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এম এইচ মামুন তার দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মাথায় সাধারন মানুষের কাছে নিজের জবাবদিহিতা তুলে ধরেন। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বক্তব্য রাখার প্রায় ২০ মিনিটের মাথায় তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত সুধীজন তাকে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ করেন। এম এইচ মামুন জানান, প্রাশসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করার। জনগনের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। কিন্তু তিনি এটাতে সময় দিতে গিয়ে নিজের পেশার ক্ষতি হচ্ছে। আরো ভালো জায়গায় যাওয়ার প্রত্যাশা তিনি করছেন।
এম এইচ মামুন আখাউড়া প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট। চাকরির পাশাপাশি তিনি সড়ক বাজারে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসেন। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলমের ছেলে তিনি।
এম এইচ মামুন জানান, তিনি কোনো চাপে নতি স্বীকার করেননি। তাকে কোথাও কেউ চাপ প্রয়োগ করতে পারবে এমনও না। তবে একটি মহল তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। তবে এটা তদন্তে প্রমাণ হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ নিয়ে বিচলিত ছিলাম না। তবে মর্মাহত হয়েছি।’ বিএনপি’র কিছু লোক তার পিছনে লেগেছিলো বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত লোকজন এম এইচ মামুনকে দায়িত্ব না ছাড়ার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। এ সময তারা মামুনকে অনুরোধ করে বলেন, ‘এত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার পর কেউ চলে যাক আমরা চাই না। এতে দুষ্টচক্র উৎসাহিত হবে।’ এ সময় কয়েকজন ইউপি মেম্বারও তাকে একই অনুরোধ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন।
এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সঙ্গে ছিলেন। তিনি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন, ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় পর্যন্ত গিয়ে বন্দরের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এসময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবকগত করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দেখতে এসেছি। এ বন্দরে ১৫ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জায়গায় উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি প্রজেক্ট নিয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় আখাউড়া স্থলবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ২১৭ কোটি টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। দ্রুত এর এ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থল বন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ফলে এখানে ব্যবসার আকার এবং সুযোগ অনেক বেশি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রজেক্টি শেষ হবে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রজেক্ট পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির জানান, এখানে পাকা ইয়ার্ড, গুদাম, কাঁচামালের পার্কিং, ওয়েব্রীজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অফিস এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা খুব সহজে সকল সেবা নিতে পারেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি হাসিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, ব্যবায়ী নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ও ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল চলতি মাসেই হচ্ছে। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আখাউড়-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা জানান।
এর আগে দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মো. আবু জাফর মিয়ার নেতৃত্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দুদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা মূলত আজকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরীক্ষামূলক ট্রায়াল করতে আসিনি। এ রেলপথ প্রকল্পের কাজটা দেখতে এসেছি, কাজটা কোন পর্যায়ে আছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে তার দাবি। চলতি মাসের মধ্যেই দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ আখাউড়া-আগরতলা বহুল কাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল রান করা হবে।
এ রেলপথ স্থাপনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যবাসীও খুব উচ্ছ্বসিত। আর এর মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি ও বাণিজ্য জোরালো হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী বলেন, মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দুজনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি রয়েছে। হাওড়া বাঁধ ভেঙে নতুন করে আরো কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষি জমি ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। সকাল থেকেই আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠছে। স্থলবন্দর এলাকায় পানি উঠায় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার চিড়া, গুড়, ওরস্যালাইন বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে দিনভর চলে। রাতে কিছু সময় বৃষ্টি বন্ধ থাকে। শেষ রাত থেকে আবারো শুরু হয় বৃষ্টি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ি ঢল, বৃষ্টির পানি ও হাওড়া বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী উপজেলার দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, উমেদপুর, সেনারবাদি, সাহেবনগর, কুসুমবাড়ি, টানোয়াপাড়া সহ অন্তত ৩৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়।
গাজীরবাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে স্থলবন্দরগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম বলেন, সাড়ে ১৬শ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে রুপা আপন ১৬০০ হেক্টর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহী বলেন, উপজেলার ৩৫টি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়ের জন্য কয়েকটি প্রাইমারি ও হাই স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজীর খালসহ বিভিন্নস্থানে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরো নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানির কারণে আখাউড়া উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়ন এবং কসবা উপজেলার ১টি ইউনিয়ন বন্যা দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলায় প্রায় ১২শ পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করেছি। এরইমধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা দুর্গতদের পাশে রয়েছি।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া :
পুরুষশূণ্য বাড়িতে পানি পানের অজুহাতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার লুটের চেষ্টা করে এক যুবক-যুবতী। আজ ২৩ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার নারায়ণপুরে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। পালানোর সময় এক যুবক ও এক যুবতীকে আটক করে স্থানীয়রা। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কলেজপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
আটককৃতরা হলেন জেলার কসবার চন্ডিদার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম সানি (২৪) এবং তার স্ত্রী পরিচয়দানকারী সুমাইয়া আক্তার একই উপজেলার চকচন্দ্রপুর গ্রামের নাসির মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, জুমার নামাজের সময় জয়নাল মিয়ার পুরুষ সদস্যরা মসজিদে চলে যায়। এসময় এক তরুনী পানি পান করার অজুহাতে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করেন। তখন গৃহবধু একাই ঘরে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক যুবক ঘরে প্রবেশ করে। ওই যুবক ও যুবতী মিলে দড়ি দিয়ে গৃহবধূকে বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দেন। এরপর তারা ঘরের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে পালানোর চেষ্টা করেন। গৃহবধূ কোনোভাবে নিজেকে মুক্ত করে রাস্তায় বের হয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে দুই যুবক-যুবতীকে ধরে ফেলেন এবং পরে তাদের আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক জয়নাল মিয়া বলেন, জুমার নামাজে সবাই মসজিদে ছিলাম। এই সুযোগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পলি আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে বর্ডারগার্ড বিজিবি’র সদস্যরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির শিকারমুড়া হতে ঘাগুটিয়া বিওপির টহলদল তাকে গ্রেফতার করেন।
আটককৃত পলি আক্তার কসবা উপজেলার শাহাপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ঘাগুটিয়া বিওপির সদস্যরা ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তবে সাথে থাকা শিকারমুড়ার স্থানীয় বাসিন্দা হেবজু মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (৪৫) নামে অপর মাদক চোরাকারবারি পালিয়ে যায়।
পরে আটককৃত মাদকসহ পলি আক্তারের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। এবং একই দায়ে পলাতক কবির মিয়ার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়।