অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গত ৫৪ বছর ধরে নদীকে যেভাবে দখল করে, পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে, অবকাঠামো দিয়ে এবং এক ধরনের জেদ করে যে- আমি যা বলেছি সেটাই সঠিক আর কারো কথা সঠিক নয়, এগুলো করে নদীর যেই ক্ষতিটা আমরা করেছি তা এক দেড় বছরে সরকারের পক্ষে পুরো সমাধান করা সম্ভব না।
আজ ১৯ মে সোমবার দুপুরে ২ টারদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় বড়াল-১ ভেল্ট রেগুলেটর ও বড়াল নদী পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তবে সমস্যার সমাধানে রুপরেখা করে যাওয়া সম্ভব। যা ইতিমধ্যেই আমরা শুরু করেছি। যার অংশ হিসাবে প্রতিটা বিভাগে আমরা একটি করে নদী নিয়েছি। আসলে প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দখলমুক্ত দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেগুলোর কাজ করে যাওয়ার সময় আমরা পাব না। ফলে প্রতিটি বিভাগে একটি করে নদী, কক্সবাজারে ১ টি ও ঢাকায় আলাদা ৪টি নদীর পরিকল্পনা করে বাজেট এনে কাজ শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোবাশশেরুল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় আটকে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মো. শাহজাহান আলম ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম ফারুককে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়ার মৃত্যুতে এই আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ৫ নভেম্বর দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাত ৯টায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম এ উপ-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীকে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৩
এ কে এম শাহজাহান কামালের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোট হয়। চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে গোলাম ফারুক পিংকু (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন (লাঙল), জাকের পার্টির শামছুল করিম খোকন (গোলাপ ফুল) ও ন্যাশানাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহামুদ (আম)।
তবে ভোটগ্রহণ চলাকালে ‘অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন এবং জাকের পার্টির শামছুল করিম খোকন ভোট বর্জন করেন।
এই আসনে মোট ভোটার ছিলেন চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন। ১১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৮২৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও ভরসা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে তা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, যেকোনো সেনাবাহিনীর জন্য আস্থা ও আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আজ আমি বলতে পারি আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা আছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সেনা নির্বাচন বোর্ড (প্রথম পর্যায়) ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। তারা সবসময় দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং যেকোনো দুর্যোগে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে কাজগুলো গুণগত মান নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গেই সম্পন্ন হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন- আমাদের সেনাবাহিনী হবে জনগণের সেনাবাহিনী।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আপনাদের পেশাদার যোগ্যতা বিবেচনা করে এটি করা উচিত। যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তুলনামূলক মূল্যায়ন করা উচিত
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার দক্ষতা বা (বিশেষ পরিস্থিতিতে) দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা- সেদিকে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।
পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করার জন্য নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মাঠের কাজে তাদের অভিজ্ঞতা এবং তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাৎক্ষণিকভাবে সরঞ্জামাদি ব্যবহার করার ক্ষমতা বিবেচনা করুন। আমরা চাই আপনি নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে) কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের পাশে আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাহাড়ি অস্ত্রধারী কেএনএফের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গি হোক আর যাই হোক, যে নামেই আসুক তারা অস্ত্রধারী। তাদেরকে আমরা প্রতিহতের চেষ্টা করছি।
জঙ্গিরা কোন নামে আসছে, সেটা কোন বিষয় না। এছাড়া যারা এই জঙ্গিবাদের জড়িয়েছে তারা যদি এখনও সুপথে ফিরে আসতে চায়। তাহলে সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ ৭ মে রবিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ – বিজিবির ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তিনটি জেলা যেহেতু দুর্গম এলাকায় পড়ে। এই জেলাগুলোতে বর্ডারও অনেকটাই দুর্গম এলাকায় সে কারণে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন। এজন্য আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে এবং তাদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য তাদেরকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বর্ডার রোড তৈরি করতে যাচ্ছি। আমাদের বর্ডার রোডগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে জঙ্গিবাদের উত্থানের যে কথা বলা হচ্ছে সেগুলো থাকবে না। আমাদের বিজিবি-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা নতুন নতুন বিওপি করার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিজিবিতে লোকবল বৃদ্ধি করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওই জায়গাগুলোতে স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিজিবির যেসব ইকুইপমেন্ট (যন্ত্রপাতি) দরকার আমরা তা দেওয়ারও চেষ্টা করছি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। সেখানে বেশির ভাগ দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন পড়বে। দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে `স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনকিউবেটর সেন্টার তৈরি করে কম্পিউটার ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেছি। তাছাড়া স্কুল লেভেল থেকে কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছি, সেখানে ট্রেনিং দিচ্ছি। পাশাপাশি ন্যানো টেকনোলজির জন্য একটি আইনও করে দিয়েছি। ন্যানো টেকনোলজির ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। আইন ইতিমধ্যে কেবিনেট অনুমোদন দিয়েছি। দ্রুতই আইন পার্লামেন্টে পাস করে দেব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে ওঠে সে জন্য এসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।
সরকার বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সরকারে গেলে কী করব। আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। ব্যবসা-বাণিজ্যে বেসরকারি খাতকে আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যাংক, বিমা, হেলিকপ্টার সার্ভিস, বিমান থেকে শুরু করে বেসরকারি টেলিভিশন, শিল্প, কলকারখানা, হাসপাতাল, যা কিছু যেখানে দরকার সবকিছু তৈরি করার জন্য বেসরকারি খাতকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি। শিল্প, কলকারখানা বা বিনিয়োগ যদি না হয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। অনেক বাধা অতিক্রম করে আমাদের এসব করতে হয়েছে। অনেক পরামর্শদাতা বিদেশ থেকে এসে পরামর্শ দিত, এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। সরকার গঠনের আগেই এই পরামর্শ শুনতে হয়েছে। আমার একটাই কথা ছিল, দেশটা আমাদের, মাটি ও মানুষও আমাদের। তাদের ভালো মন্দ কী হবে সেটা আমরা বুঝি, জানি। আমরা আমাদের মতো করেই করব।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশের জনগণ হবে স্মার্ট সিটিজেন, আমাদের ইকোনোমি হবে স্মার্ট ইকোনমি, আমাদের সমস্ত গভর্নমেন্টকে আমরা স্মার্ট গভর্নমেন্ট করতে চাই, পাশাপাশি আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট সোসাইটি। এভাবে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলাম, দিন বদলের সনদ, রূপকল্প ২০২১। আমরা তা বাস্তবায়ন করেছি। ফলে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এখন আমরা শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, রোবোটিক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজিটাল ডিভাইসে।
তিনি বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না স্বপ্ন বাস্তবায়নেরও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখানে যেমন বয়স্ক অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীরা আছেন, আবার নতুন প্রজন্মের ব্যবসায়ীরাও আছেন। আমাদের যুব সমাজকে আমরা সেভাবে উৎসাহিত করতে চাই, তারা নিজেরাই মাস্টার হবে, নিজেরাই উদ্যোক্তা হবে, নিজেরাই চাকরি দেবে, সে যোগ্যতা তারা অর্জন করবে। সেজন্য ইতিমধ্যে স্ট্যাটাস প্রোগ্রাম আমরা কার্যকর করেছি। স্ট্যাটাস প্রোগ্রামের পাশাপাশি তাদের জন্য স্পেশাল ফান্ডও রেখেছি আমি বাজেটে। কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি যাতে একাধিক কোম্পানি খুলতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসা করি না। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীকে উৎসাহিত করা, সুযোগ সৃষ্টি করা, সুবিধার তৈরি করে দেওয়া, পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া এবং সেই সুযোগ নিশ্চিত করে ব্যবসাবান্ধব সরকার আমরা নিশ্চিত করেছি। সেটা আপনার উপলব্ধি করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দল-মত নির্বিশেষে কে কোন দলের আমরা কিন্তু সেটা দেখিনি। কে কোন ব্যবসা করে, কার কারণে দেশের মানুষ লাভবান হচ্ছে সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যার যতটুকু প্রয়োজন সুযোগ সুবিধা আমরা কিন্তু সেটা দিই। এটা বলতে পারি আমরা কিন্তু হাওয়া ভবন খুলিনি, স্বাধীন মতো ব্যবসা করতে পারেন সেই ব্যবস্থাটাই করে দিয়েছি। অর্থাৎ সরকার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেবে, অবকাঠামো উন্নয়ন করে দেবে। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ব্যবসায়ী-বান্ধব সরকার। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা টের পেয়েছেন। আমি চাই, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাক।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এক একটা কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়। মেট্রোরেল করার সময় শুনতে হলো, ‘৩৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করার কী দরকার। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই তো নাকি সব সমাধান হয়ে যায়।’ অবশ্য ভালোই একদিকে। আমি বেসরকারি খাতে অনেক টেলিভিশন দিয়েছি, সেখানে সবাই টকশো করে আর টক টক কথা বলে। সেই টক টক কথা শুনতে হয়। মাঝে মাঝে আমি বলি, আপনারা শুধু টক টক বলেন কেন? কথা যদি টক-ঝাল-মিষ্টি হয় তখন না সুস্বাদু হবে।
তিনি বলেন, একজন বলে দিলেন, ‘এতো টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল।’ মানে আপনি যাই করতে যান, কিছু লোকের মানসিকতাই হচ্ছে কিছুই ভালো লাগে না। তাই কিছুই ভালো লাগে না লোকের কথা ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার সেটাই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে সেই ৮১ সালের বাংলাদেশের অনেক তফাৎ। অনেকেই বলেছিলেন যে, ‘এতো ব্যাংক দিয়ে কী হবে? বাংলাদেশের অর্থনীতি তো এত বড় না।’ আমার কথা ছিল, অর্থনীতি তো এতো ছোটো থাকবে না। অর্থনীতি বড় করার জন্যই তো আমাকে ব্যাংক দিতে হবে। কাজেই সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় মন্দা চলছে। সেখানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তাছাড়া সেখানে রপ্তানি খরচও বেড়ে গেছে। এজন্য বিকল্প বাজার খোঁজতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ১ জুন। বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিনটি পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। এবারের প্রতিপাদ্য “দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি একসাথে”। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জুন দিনটিকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দুধ কেবল পুষ্টিকর খাদ্য নয়, এটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানেরও বড় উৎস। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়। চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ টনের বেশি। উৎপাদিত দুধের ৯০ শতাংশ গরু, ৮ শতাংশ ছাগল এবং ২ শতাংশ মহিষের কাছ থেকে আসে।
বর্তমানে প্রতিদিন মাথাপিছু দুধ গ্রহণের পরিমাণ ২৩৪.৪৫ মিলিলিটার, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৫০ মিলিলিটার গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন-ডি, বি-১২, ফসফরাসসহ নানা উপকারী উপাদান, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
বর্তমানে দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ দুগ্ধখাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীরা এ খাতের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, দুধ শুধু স্বাস্থ্য নয়, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ।
দুগ্ধজাত অমূলক স্বাস্থ্যবিষয়ক দাবি ও সেই সঙ্গে দুগ্ধ শিল্পে প্রাণী নির্যাতনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২২ আগস্ট ‘‘বিশ্ব শিল্প দুগ্ধ দিবস’’ এর আয়োজন করা হয়েছে। কার্যক্রমটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সমর্থকেরা হ্যাশট্যাগ #WorldPlantMilkDay ব্যবহার করেন।