চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আয়োজনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে মিষ্টিজাত ও বেকারিজাত খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারীদের নিয়ে আজ ২১ মে সকাল ১১টায় জামে মসজিদ রোডস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভা কক্ষে সচেতনতামূলক সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত বিস্তৃত। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ব্যবস্থা অবলম্বন করা দরকার। তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জনসচেতনতা, পাশাপাশি আইন, বিধিবিধান প্রয়োগ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক ও সামাজিক কমিটমেন্ট।
সেমিনারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক (FSI) মোঃ শফিউর রহমান ভূঁইয়াসহ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন । বিভিন্ন মিষ্টি দোকানের মালিক/কর্মচারীগণ উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে জেলার সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭০ জন।
শনিবার সকালে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমেলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ। দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে জেলার ১০টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৩৩৮জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১০০জন এএইচআই, ৩৪৮জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ৮৭জন এফপিআই দায়িত্ব পালন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অন্ধত্ব’ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মেড্ডাস্থ প্রধান কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন এর নব নির্বাচিত কমিটির শপথ ও দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত শপথ ও দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উপ-কমিটির ২০২৪ইং এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উপ-কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিয়ামত খানের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন উপ কমিটির উপদেষ্টা হাজী মোঃ শাহজাহান মিয়া, সদস্য মঞ্জুর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাস পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সভাপতি মোঃ আব্দুল আওয়াল, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ মলাই মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নুরুল হুদা নান্টু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট রোড পরিচালনা কমিটির সম্পাদক হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ চন্দন কুমার পাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী মোঃ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহেদ মিয়াসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মালিক-শ্রমিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন পৌর এলাকার মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল টেক্সটাইল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা সড়ক ও জনপথের জায়গাসহ সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছিলো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। কিছুদিন পরেই আবার প্রভাবশালীরা ওই জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেন।
শনিবার পুনারায় ওই স্থাপনাগুলো পুনরায় উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেযারসহ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। “করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ১ মার্চ শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বীমা ফোরামের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
এ উপলক্ষে আলোচনা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ জামসেদুল আলম, জেলা বীমা ফোরামের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ভিপি মফিজুল ইসলাম, ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর জে এ ভিপি শাহ মোঃ সেলিম, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কামরুজ্জামান ভূইয়া, চার্টাড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর তোরকান শাহ প্রমুখ। বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বীমা শিল্পকে স্মার্ট শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।