হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কমিউনিটির সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট দম্পতি মাকসুদা আহমেদ ও মামুন রহমান তাদের নাতনী রাহমী আহমেদ এর প্রথম জন্মদিন গত ১৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ব্রংকসের গোল্ডেন প্যালেস পার্টি হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শাহনূর জন্মদিনে শুরুতেই আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান মাকসুদা আহমেদ ও মামুন রহমান। মিউজিক এর তালে তালে ছোট শিশুরা নৃত্যপরিবেশন করে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রবাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, কমিউনিটির অথিতিরা উপস্থিত ছিলেন। নৈশভোজ ও কেক কাটার মাধ্যমে মধ্য রাতে জন্মদিন পালনের সমাপ্তি ঘটে। ছবিতে বাথেকে মামুন রহমান, সিনিয়ার সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, ফ্রাংকলিন খোকন আরমান, আয়েশা আক্তার রুবি, মাসুদা ইয়াসমিন রুমা, রাহমী আহমেদ, মাকসুদা আহমেদ, সাঈদা ডায়ানা এনজ্ঞেলিকা এবং সাঈদা সুস্মিতা।
সুন্দর ভবিষ্যৎ ও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নবাজ তরুণরা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন ইউরোপের কোনো দেশে পৌঁছে গেলেই ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে। তাইতো পছন্দের শীর্ষে থাকা ইউরোপের পথেই পাড়ি জমাচ্ছেন তরুণরা। তবে বৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। নানা জটিলতা ও বৈধভাবে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ। আর দালালের খপ্পড়ে পড়ে এ পথে পাড়ি দিয়ে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেরই হচ্ছে সর্বনাশ।
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বা বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সীমানা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় প্রায়ই জীবন হারাচ্ছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। অনেকেই নিখোঁজও হচ্ছেন। তাদেরই দু’জন মাসুদ রানা (২২) ও পাবেল আমদে (২৫)। অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ২ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। একই গ্রামের মাসুদ ও পাবেল ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে পাবেল আহমেদ ও একই গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
নিখোঁঁজ মাসুদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তারা কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপের দেশ গ্রিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাই থেকে জাহাজে ইরান পৌঁছান। ইরানে কয়েকদিন অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি পাহাড়ি পথ বেয়ে ইরান থেকে তুরস্কে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এক সাথে ১০ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশি মোট ২৪ জন নাগরিক ছিলেন তাদের দলে। উঁচু-নিচু পাহাড়, মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম তরার সময় তারা নিখোঁজ হন। এরপর থেকে মাসুদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
অপর নিখোঁজ পাবেলের স্বজনরা জানান, পাবেলসহ ৩৫ জন যুবক ইরান থেকে তুরস্কের পথে যাত্রা শুরু করে। তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে পাহাড়-পর্বত মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ৮ জন যুবক একদিকে লুকিয়ে পড়ে এবং অন্যদিকে ২৭ জন যুবকের সঙ্গে পাবেল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেল নিখোঁজ হয়। পাবেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ পাবেলের মামা সাইফুর রহমান তালুকদার জানান, ‘পাবেল দেশের বাইরে যাওয়ার কিছুদিন আগে তার ছোট ভাই শাহ ফাহিম ও তার মা নাজমা তালুকদার মারা যান। নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউরোপ যাওয়ার চিন্তা করে পাবেল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে পাবেল সবার বড়।’
তিনি কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেলের মা মারা যাওয়ার পর আমাদের কাছেই সে বড় হয়েছে, মা হারা পাবেলকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছি। ইরান অবস্থানকালে ও তুরস্ক যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে ভাগিনার কথা হয়েছে। সে দোয়া চেয়ে বলেছিল, মামা আমি পৌঁছে ফোন দিব, কিন্তু আর তাকে ফোনে পাইনি। তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ তাদের দেখে অভিযান চালালে যে যার মতো দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে পাবেলের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
নিখোঁজের ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি পাবেল ও মাসুদের। আজও তাদের অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।
মৃত্যু ঝুঁকির পথ বেয়ে ইরান-তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দেয়া আল-আমিন আহমেদ নামে অভিবাসী জানান, ‘ইরান হতে তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করা অনেকটা মরণ ফাঁদের মতো। সীমান্তপথ পাড়ি দেওয়া অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ, অনেক উঁচু-নিচু পাহাড় অতিক্রম করতে হয়, পাশাপাশি মরুভূমি আর বরফে ঢাকা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়। রাতের অন্ধকারে কোনো ধরনের আলো ছাড়াই দালাল চক্রের সদস্যদের পিছনে-পিছনে যেতে হয়। কখনো দীর্ঘপথ মরুভূমি, আবার কোনো কোনো সময় উঁচু-নিচু পাহাড় কিংবা বরফে ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ পথ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে হয়। আর সীমান্তে আটক হলে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বর্তমানে বৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিপদজ্জনক পথে বিদেশে পাড়ি না জমানোর অনুরোধ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ফিনল্যান্ডে এক বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেলসিঙ্কির নিকটবর্তী এসপো শহরের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ক্যাম্পাসে ‘প্রত্যাশা’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিলিত হন উৎসবে।
সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে উৎসবটি পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে। বৈশাখী পোশাক, আলপনা, পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় খাবার ছাড়াও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখর ছিল সন্ধ্যা। গান, আবৃত্তি, নৃত্যে ফুটে ওঠে বাংলার ঐতিহ্য।
উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডে বসবাসরত শতাধিক পরিচিত মুখ, যাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে উৎসব ছিল প্রাণচঞ্চল। আয়োজক সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আরিফুর রহমান আরিফ ২০ জানুয়ারি সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ শুরু। আরিফুর রহমান আরিফ আশা প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিশ্বের সকল যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করবেন। তিনি বিশ্ব মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপর সকল ভ্যাট ও টাক্স পরিহার করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর জন্য এক মাইলফলক স্থাপন করবেন। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণের এক শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিশ্বের সকল বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ বিশ্বে মানবতার কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল আল্লাহর/ স্রষ্ঠার সৃষ্টি সকল মানুষকে ভালোবেসে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও শান্তি লক্ষ্যে সকলে একসাথে কাজ করলে আল্লাহ রহমতে বিশ্ব শান্তি বয়ে আনবে। পরিশেষে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল বিশ্ব নেতাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন Brahmanbaria2usa.com এর সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফুর রহমান আরিফ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ওয়েলস রিজিওনের উদ্দোগে ৫২ এর ভাষা সংগ্রামের অহংকারের ৭৩ বছর তথা মহাণ শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় রাত ১০টায় বৃটেনের কার্ডিফের সিরিয়ানা রেষ্টুরেন্টে ডিনারপার্টি ও অমর একুশের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল কনভেনার মুজিবুর রহমান মুজিব এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রকিবুর রহমান ও অর্থ সচিব এ বি রুনেল এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার কমিউনিটি লিডার মকিস মনসুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্রেটার সিলেটের সাবেক চেয়ারপার্সন আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির, সাবেক সহ সভাপতি আব্দুর রুউফ তালুকদার, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া,ভিপি সেলিম আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, মফিকুল ইসলাম, ইকবাল আহমেদ, আব্দুল বাছিত বাচ্ছু, শেখ সুমন তরফদার, মৌলা আফতাব, এস এইচ রাজিব, শাহ মুন্না আহমেদ, বদরুল হক মনসুর, ও রাসেল আহমদ, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় আাগামী ১০ ই মার্চ সোমবার সংগঠন এর পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল করার সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে মাতৃভাষার টানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে গনতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টি কালচারেল ও মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভাষা শশহীদানদের অমর স্মৃতির প্রতি পুস্পস্তবক অপনের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের ও সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল নেতৃবৃন্দ।
শুরুতেই সমবেত কন্ঠে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি এই গান পরিবেশন করা হয়েছে। এর পর এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী দিনটি এখন আর শুধু শোক ও বেদনার দিন নয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সব ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার এক সাবজনীন উৎসবের দিন।
একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের আত্মপরিচয় একুশের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা বলে উল্লেখ করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার সিনিয়র সাংবাদিক মকিস মনসুর বলেন আমাদের ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের অব্যাহত ক্যাম্পেইনে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে স্টেট বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা সাদিকের নেতৃত্বে জ্যাকসন হাইটস মসজিদে এ মাহফিল পরিচালিত হয়। এ সময় শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জিয়াউর রহমানের জীবন ও আদর্শ উপস্থাপন করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দেশের স্বজনকে বিএনপির কর্মসূচির সাথে একাত্ম থাকতে হবে। এটাই হচ্ছে সময়ের দাবি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীর এম আলম, রুহুল আমিন সিদ্দিকি। আরো বক্তব্য রাখেন মিয়া আলিম পাখি, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আজাদ, মাহবুবুর রহমান মুকুল, দেওয়ান কাউসার।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন মিয়াজী, মোহাম্মদ আবুল কালাম, রুহুল আমিন, সেলিম আহমদ, মনির হোসেন, মামুন হোসেন বিপ্লব, সাইদুজ্জামান রিঙ্কু, জাকির হোসেন, রাহিমুল আলম প্রিন্স, আব্দুল করিম ও মো. ফয়সাল হোসেন।