চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদির মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২১ মে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নির্মাণ কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া প্রাইভেটকার তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মন মিয়ার ছেলে নিহত নজরুল ইসলাম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবার থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।
’মাদককে না বলি’ শ্লোগান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে সোনালী লাইফ হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৩। দেশ-বিদেশের ২৫০ জন দৌড়বিদ এতে অংশগ্রহন করবেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, রাশিয়া এবং নেপালের ৬ জন দৌড়বিদ রয়েছেন।
এ উপলক্ষে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে এক প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ। এতে কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির কর্ণধার দিলারা আক্তার খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক এ, জেড, এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, কলেজেরসহযোগী অধ্যাপক খালিদ হোসেন খান, মোশারফ হোসেন, ট্রাফিক অফিসার অবচ্যুতদাস গুপ্ত, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ইব্রাহীম খান সাদত ও সোনালী লাইফের কর্মকর্তা এমদাদুল হক। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান ম্যারাথন দৌড় সম্পর্কে সার্বিক বিষয় তুল ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রাজন মিয়া ওআলী আহাদ রতন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে স্থানীয়ভাবে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৬টায় শুরু হবে এ হাফ ম্যারাথন। যেখানে ২১.১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৭৭ জন, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৯ জন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন শুরু হওয়া ম্যরাথন দৌড় শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা রোড, চর ইসলামপুরের গঙ্গানগর হয়ে আবার শিমরাইলকান্দি ব্রীজে এসে শেষ হবে। দৌড়কে সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকের মাস আগস্টে মাসব্যাপী শোক কর্মসূচি শুরু করেছে শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় শোকর্যালির মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শোকর্যালির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
শোক র্যালি কালো ব্যানার, কালো পতাকা বহন করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনসারী, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, ডা. আবু সাঈদ, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক এড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, তথ্য গবেষণা সম্পাদক শেখ মো. আনার, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, শ্রম সম্পাদক মোস্তাক ভূঞা, উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, কার্যকরী সদস্য বাবুল মিয়া, হাসান সারোয়ার, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম ভূঞা, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা তাতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহপরান সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, আমরা প্রতিবছরই জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে শোকের মাসে মাসব্যাপী শোক কর্মসূচি পালন করি। এবারো যথাযোগ্য মর্যাদায় পুরো মাসজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করবো। আজ শোক র্যালির মাধ্যমে আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু সংখ্যা চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ জন এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৬৫ জন।
আজ ১৪ জুন বুধবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলা ও একটি পৌর এলাকার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) মোট ৩০৬ টি ওয়ার্ডের ২হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ১৮জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এ সব কেন্দ্রে ৪১২জন স্বাস্থ্য সহকারি, ৯৬জন এ.এইচ.আই এবং ৪ হাজার ৮৬৬জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ক্যাম্পেইন নিয়ে কেউ যাতে কোন ধরনের গুজন ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
প্রেসব্রিফিং প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুনতাসির মনসুর।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, নজরুল ইসলাম বিল্লাল প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে আলোচনা সভায়
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল ১০টায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এর পর পর্যায়ক্রমে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সিভিল সার্জন অফিসসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা ও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ভিকারুন্নেছা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে তাঁর পক্ষে ঘর সংসারের দিকে খেয়াল রাখা সম্ভব ছিলোনা। সেজন্য ঘর সংসারের পুরো দায়িত্ব পালন করেছেন বেগম মুজিব। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
আবার তিনি অনেক সময় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সুপরামর্শ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাঅবস্থায় ৬দফা নিয়ে যখন আওয়ামীলীগের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধ ছিলো তখন ৬দফা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো বেগম মুজিবের। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু যাতে প্যারোলো মুক্তি না নেন সেজন্য বেগম মুজিব জেলখানায় চিরকুট পাঠিয়েছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন দেয়ার আগেও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন কারো কথায় নয়, তুমি যা ভালো মনে করবে ভাষনে তুমি সেই কথাই বলবে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, ইতিহাসের বাঁক ঘুরানো দিনগুলোতে মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা দিয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস কাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন বলেছেন, শিশুদের আনন্দভরা মন মানসিকতার ভতের দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, সাম্য শান্তি সম অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মাহে রমজান আমাদের শিক্ষা দেয়। পবিত্র ঈদুল ফিতরে সকল শিশুর মাঝে যেন আনন্দ থাকে সে ব্যাপারে সকলের ভূমিকা রাখতে হবে। স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া সংগঠনটি ২০১৮ সাল থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে। এটি একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্ণালী আক্তার সহ সংশ্লিস্টদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
২৩ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উত্তর পৈরতলাস্থ প্রশান্তি বাড়িতে “স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া” সংগঠনের উদ্যোগে উন্নয়ন শিশুদের মাঝে ঈদের কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সংগঠনের উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক স্বর্ণালী আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস কাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাবউদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, উপদেস্টা মোর্শেদা মতিন মিলি।
অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন তিতাস মানবিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সামসুন নাহার জেনি, অর্নব হক, সংগঠনের সোহানা, স্নেহা , রোজামনি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শতাধিক শিশুর মাঝে ঈদের কাপড় ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে বিনামূল্যে শিক্ষা সহ নানামুখী সেবাকাজ বাস্তবায়ন করছে।