মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকার একদিন পর আজ ২২ মে বৃহস্পতিবার ফের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় মাছ ভর্তি ৭টি পিক আগরতলায় প্রবেশ করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আরো কয়েকটি মাছের পিক-আপ আগরতলায় যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এরআগে ইএক্সপি না পাওয়ায় বুধবার ভারতে মাছ রপ্তানি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, দিল্লীর এনিম্যাল কোয়ারেন্টাইন থেকে আমাদেরকে মাছ রপ্তানির পারমিট দেয়। ওই পারমিট আসতে দেরি হওয়ায় গতকাল মাছ রপ্তানি বন্ধ ছিল। পারমিট পাওয়ায় আজ থেকে যথারীতি মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। রপ্তানির জন্য সকালে ৩৩ মেট্রিক টন মাছ বন্দরে এনেছেন ব্যবসায়ীরা। ৭টি গাড়ি মাছ নিয়ে আগরতলায় গেছে। বিকালে আরো ১০ মেট্রিক টন মাছ যাবে। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ ডলারের ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে, ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ছয়টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতমুখী রপ্তানি বাণিজ্য কমে গেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারতে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আর চলতি অর্থবছরে গেলো এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মেলামাইন সামগ্রী ও শুটকি।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, সকাল থেকে মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। ৭টি গাড়ি মাছ নিয়ে আগরতলায় গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ আগস্ট সোমবার বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে আশুগঞ্জ বন্দর এলাকার বিওসি ঘাট থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আনিসুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বিওসি ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা এবং আশুগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি আরো বলেন, আটক হওয়া আনিসুর রহমান বর্তমানে আশুগঞ্জ থানার হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মূল্য গ্রাম ইউনিয়নের বাউরখন্ড মঈনুল চেয়ারম্যানে এর বাড়ি সংলগ্নে ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের জমিগুলো।স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার মালিকাধীন জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। যার চারদিকে অনেক কৃষকের জমি রয়েছে। অনেক বার নিষেধ করার পরও তিনি কারও কথা তোয়াক্কা করছেন না। ফলে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙ্গে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ ড্রেজার দ্বারা ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ২৪ মে শনিবার সরেজমিন মূল্য গ্রাম, বাউরখন্ড গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। এ মেশিনের মাধ্যমে খনন যন্ত্রের সাহায্যে তোলা হচ্ছে বালু। সে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে তিন ফসলি জমি। ফলে আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোর আইল ভাঙ্গনসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর বানানো হয়েছে।
নাম গোপন রাখার স্বার্থে স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করেই দিনে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে কোনো কৃষকই ফসল করতে পারবে না। এরফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিই লাভবান হবেন। কারণ, তিনি পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করবেন। কিন্তু আশপাশের কোনো কৃষক লাভবান হবেন না। ড্রেজার দিয়ে অতিরিক্ত মাটি কাটার ফলে জমি গভীর হয়। ফলে অন্য জমিগুলোর পাড় ভেঙ্গে যায়। এই চক্রটি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কাজটি করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষকদের ফসলি জমিগুলো যাতে রক্ষা করা হয়।এ বিষয়ে প্রভাবশালী জমির মালিকানাধীন বলেন, আমি এখানে পুকুর বানাবো, মাছ করবো সেজন্য বালু উত্তোলন করছি। আরো বলেন আমি কার অনুমতির প্রয়োজন মনে করি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ লিজার ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া ও ইয়াসিন জানান, আমরা এসিল্যান্ডসহ উপরের লেভেলের সবকিছুই ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন ও বিভিন্ন জায়গাতে বালু মাটি বিক্রি করে থাকি। এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ছমিউল ইসলাম বলেন, আমি দুদিনের জন্য ট্রেনিংয়ে চলে আসছি, আপনি কসবা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের লাগার ঘটনা ঘটেছে। সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি।
এদিকে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে যান। মাল্টিপ্লাগের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে ১৫-২০শিক্ষার্থী বিজ্ঞানাগারের ভেতরে প্রজেক্ট তৈরির কাজ করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাল্টিপ্লাগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বের হয়ে হুড়োহুড়ি করে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
৮ম শ্রেণির আমেনা জাহানা আরিশা, ৬ষ্ঠ শ্রেণির সোহামণি ইতি, ৭ম শ্রেণির তাসনোভা ইসরাত, ৮ম শ্রেণির মাকিয়া আক্তার লামিয়া, ৮ম শ্রেণির ফারিয়া সুলতানা, ৭ম শ্রেণির তানজিনা আক্তার, ৮ম শ্রেণির নোহা ইসলাম, ৮ম শ্রেণির কলি, ৮ম শ্রেণির আরিফা, ৭ম শ্রেণির রুহান, ৭ম শ্রেণির ফাতেমা আক্তার মীমসহ অনেকে আহত হন।
আহত শিক্ষার্থী সোহামণি ইতি ও ফাতেমা আক্তার মীম জানায়, আগুন লেগেছে শুনে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার সায়েমুল হুদা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তাদের মধ্যে নয়জনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্ডিওলজি ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দুপুরে সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এবং সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিকেল সায়েমুল হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি। তবে তাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। মাসনিকভাবে তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান মেলার একটি প্রজেক্টে কাজ করছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে সিড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অধীতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ASSET) প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ১৬ আগস্ট হতে ১৫ নভেম্বর সেশনে ৩ মাস মেয়াদী ৫ টি কোর্সে ভর্তিতে আগ্রহী বেড়েছে। আজ ১০ আগস্ট রবিবার উপজেলার এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিধি মোতাবেক পরিক্ষা গ্রহণ করেন কর্তপক্ষ।
টিটিসিতে কর্মরত প্রশিক্ষণ শাখার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি ৩ মাস পর পর কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, সিভিল কন্সট্রাকশন (মেশন) ও মোটর ড্রাইভিং এর আওতায় ২৪ জন করে মোট ১২০ জন শিক্ষার্থী এখান থেকে সম্পূর্ণ ফ্রী তে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সহিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেকে দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ায় ভর্তিতে আগ্রহী হয়ে মোহনপুর সহ আশে পাশের জেলা ও উপজেলা থেকে এবার ভর্তি ফরম উত্তোলন করেছে ৬২৮ জন।
প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মোহনপুরের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক সংগ্লন্ন আমাদের টিটিসি তে প্রশিক্ষকরা অত্যত্ত গুরুত্ব সহকারে প্রশিক্ষণ প্রদান করায় আমরা উপকৃত হচ্ছি। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তরা নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে এসে কঠোর ভাবে তদারকি করার কারণে এখানকার সকল কোর্সের মান উন্নত হচ্ছে। তাই আজ এতো বেশি শির্ক্ষার্থী ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। আগামীতে এখানে প্রকল্প বৃদ্ধিসহ নতুন নতুন কোর্স আসবে ও আগামীতে বেকারত্ব কমবে বলে আমরা আশাবাদী।
মোহনপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রদানে আমরা কোন ত্রুটি করিনা, অনেকেই এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপকৃত হয়।
তাই এবার আগের তুলনায় অনেকে এখানে ভর্তিতে আগ্রাহ প্রকাশ করেছে। এবার যাদের হবেনা তারা আবার ৩ মাস পর ভর্তির আবেদন করে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। ইতিমধ্যে আমরা দেশ-বিদেশ প্রকল্পের আওতায় আরো ৪০ জন কে ৩ মাসের মোটর ডাইভিং কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করাচ্ছি। আগামীতে আমরা চেষ্টা করছি যেন অন্যান্য প্রকল্প আওয়ায় আমাদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।