অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী। উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত আর দর্শনেও নজরুলের অনবদ্য উপস্থিতি বর্ণাঢ্য করেছে বাংলা সাহিত্যকে। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে, ১৮৯৯ সাল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের জীবনের পরতে পরতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়। ১৯১৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও। এরই মাঝে তৎকালীন প্রভাবশালী কবি-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা।
বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।
কাজী নজরুল ইসলাম চিরপ্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলতে পারেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পককে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন?
১৯৭২ সালে কবি নজরুলকে সপরিবারে নিয়ে আসা হয় স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এই মহাবিদ্রোহী ও প্রেমিক পুরুষ। কবির ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রচনার সূচনা দিন।
আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে ডাক এসেছিল দেশকে পাকিস্তানি হানাদারের কবল থেকে মুক্ত করার। আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছিল বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যায় মেতে ওঠে। গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। প্রথমে নিজের, পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান (পরে রাষ্ট্রপতি)।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।
পুরো জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা জানাবে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে অসামান্য আত্মত্যাগকারী বাংলার অকুতোভয় বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মহান নেতাদের। পাশাপাশি দেশ আজ মেতে উঠবে স্বাধীনতার উৎসবের আমেজে।
পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের জনগণ পেয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি দেশ। এরপর শুরু হয় বাঙালিকে নতুন করে শোষণ ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বেঁধে রাখার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র। তবে পাকিস্তানি হানাদারদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাঙালি জাতি। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে ’৫২-র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ’৫৬-র সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, ’৫৮-র মার্শাল ল’বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা আন্দোলন, ৬৮-র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’খ্যাত কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভৃতি ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরো জাতি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়ার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার।
বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত এ সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক কাঠামো লাভ করে। ৯ মাস চলা এই মুক্তিযুদ্ধে রচিত হয় ইতিহাসের মহীয়ান অধ্যায় ও মুক্তিকামী বাংলার মানুষের বীরত্বগাথা।
আরেকদিকে ছিল হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটতরাজের কলঙ্কিত অধ্যায়। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
দিনের কর্মসূচি আজ বুধবার প্রত্যুষে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। সূর্যোদয়ের ক্ষণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোয় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সব শিশুপার্ক, জাদুঘর উন্মুক্ত রাখা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, নারী, শিশু ও পেশাজীবী সংগঠন দিনভর বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দল।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব হারিয়ে এখন শোক সাগরে নিমজ্জিত। তারা এখন সরকার বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে দেশে-বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আর বাংলাদেশে তারা বিষয়টিকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। তারা মনে করছে আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর শিশিরবিন্দু, সহজেই পড়ে যাবে। সেটা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না। বিএনপির রাজনীতির ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। তারা যত সরকারের পতনের কথা বলবে, সরকারের তত উত্থান হবে। বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতো, তাহলে হঠাৎ করে তাদের এমন পতন হতো না। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে নিজেরাই খাদে পড়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধীদল। স্বতন্ত্ররা স্বতন্ত্রই আছেন। দল যদি বলেন, তাহলে জাতীয় পার্টি। উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে সন্ধ্যায় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
চলারপথে ডেস্ক :
মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয় সে জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
আজ ২৫ জানুয়ারি বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য এ. কে. এম. রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত এ প্রশ্নোত্তরে পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতা যে কোনো যুদ্ধকে ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখের বেশি মানুষের আত্মত্যাগ ও লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। যুদ্ধের সময় মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংসতা বিশ্বের অন্য যে কোনো যুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি নৃশংসতাসহ ইতিহাসের সকল কালো অধ্যায়কে হার মানিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এত বেশিসংখ্যক মানুষকে হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের চিত্র ইতিহাসে আর একটিও পাওয়া যাবে না। এই ইতিহাসকে স্মরণ রেখে বিশ্বের যে কোন প্রান্তি সংগঠিত গণহত্যার বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে জোরাল প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে নানান পদক্ষেপ চালিয়েছি। এরই ফলশ্রুতিতে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে চালানো হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত বছরের ১৪ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টিভস) একটি প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন ওহিও অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান রো খান্না। পরবর্তীতে কো-স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাটি পোর্টার এবং নিউজার্সির ট ম্যালিনোস্কি।
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ঐকান্তিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সফলতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই নয় বরং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ বিশেষত মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের ও বীরঙ্গনা মা-বোনদের সম্মানিত করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন দেশে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য (এমপি) রয়েছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়ে স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বলা হচ্ছে সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না। সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজ সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরো স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
আপনি আইনমন্ত্রী হিসেবে স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১০ মামলার আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্যমতে ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি দুটি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি কিরিচ ও দুটি দা।
রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নতুন ঘোনা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শাহাব উদ্দিন ওই এলাকার আবদুল করিমের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, গ্রেফতার শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। সে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তাকে একটি মারামারি মামলায় গ্রেফতার করতে গিয়ে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।