অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সাথে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে।
আজ ২৫ মে রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আয়োজিত চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডোর না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, এই দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্যান্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব। চা শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা আমাদের রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না। আমরা একটি বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়তে চাই। চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলতে চাই- আপনার ডাক দিতে সময় লাগবে, কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে না। আমরা সবাই এই দেশের মালিক।
উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইয়ামীর আলী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির খন্দকার আব্দুস সোবহান ও প্রভাষক হামিদ খান, বর্তমান সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও ডা. শফিকুর রহমান দিনব্যাপী বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর তত্ত্বাবধানে MIPS প্রকল্পের অধিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম কর্মী, সিভিল সোসাইটি ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত Peace Facilitator Group (PFG) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদস্যদের তিন দিনব্যাপী বেসিক প্রশিক্ষণ ২৩-২৫ মে ২০২৪, সিলেটে হোটেল ব্রিটানিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণে সহিংসতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের রূপরেখার উপর প্রশিক্ষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ ফেসিলেট করেন হাঙ্গার প্রজেক্টের উত্তম সরকার, তুহিন আফসারী, মনির হোসেন। প্রশিক্ষণে এম্বাসেডর হিসেবে মহসিন মিয়া, এ বি এম মোমিনুল হক, এস এম শাহীন ও রুমানুল ফেরদৌসী সহ ৩০ জন অংশ গ্রহণ করে।
প্রশিক্ষণ সমাপনীতে পিএফজি সদস্যরা নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
সিলেট রিজিয়ন কো অর্ডিনেটর আকলিমা চৌধুরী ও পিএফজি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কো অর্ডিনেটর নীহার রঞ্জন সরকার প্রশিক্ষণের সমন্বয় করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলার ভূমি কর্মকর্তাদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভূমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জুম অনলাইন প্লার্টফর্মে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো: জাহিদ হোসেন পনির, উপসচিব সেলিম আহমদ প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট এ রুপান্তরিত করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন হলে জমির খাজনা প্রদান, নামজারী, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বন্টনসহ বিভিন্ন জটিলতা দূর হবে। তবে ভূমি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাহলে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার সফলতা পাওয়া যাবে। এ প্রশিক্ষণে জেলার ৩৩জন ভূমি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ১৭৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া খোলা সয়াবিনের নতুন দর হবে ১৫৪ টাকা লিটার। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৯ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৩ টাকা কমিয়ে ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন এ দাম আগামীকাল ১৪ আগস্ট সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের আমদানিমূল্য কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
গত ১১ জুলাই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
১৩০ দিন পর আজ খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার মসজিদের ৯টি দানবাক্স বা সিন্দুকে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো বস্তাবন্দি করে নেওয়া হয় মসজিদের দোতলায়।
টাকাগুলো ভরতে ২৭টি বস্তার প্রয়োজন হয়। পুরো কাজে তত্ত্বাবধান করছেন জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল মসজিদের সিন্দুকগুলো। তখন পাওয়া গিয়েছিল ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
এবার দানের পরিমাণ সেই টাকাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের সিন্দুকে পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তারও আগে ৬ মে মসজিদের সিন্দুকে মিলেছিল পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা। জানুয়ারি মাসেও পাওয়া যায় চার কোটিরও বেশি টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এ মসজিদের দানবাক্স খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। এ কারণে মসজিদের দানবাক্সে কী পরিমাণ টাকা পাওয়া গেল, তা নিয়ে লোকজনের থাকে অনেক কৌতূহল। তাই গণনা শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় টাকার অঙ্ক।
তবে স্থানীয়রা অনেকে বলেছেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আয়ের পাশাপাশি মসজিদের টাকা-পয়সা ব্যয়ের হিসাবটাও জনসম্মুখে নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত। ইদানীং মসজিদে দানের প্রবাহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
স্থানীয়রা জানান, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসে পাগলা মসজিদে। দান করে মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এ মসজিদের দানবাক্সে যে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, তা জেলার আর কোনো মসজিদে মেলে না। টাকার সঙ্গে সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ থাকে বিদেশি মুদ্রাও। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।
তা ছাড়া আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দানবাক্সে পাওয়া চিঠিপত্র। এসব চিঠিতে লোকজন তাদের জীবনে পাওয়ার আনন্দ, না-পাওয়ার বেদনা, আয়-উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা ও রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে। এমনকি শত্রুকে ঘায়েলের দাবিও থাকে কোনো কোনো চিঠিতে।
দানবাক্স বা সিন্দুক খোলার সময় মসজিদে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বড় দল টাকা-পয়সা গণনার তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিন্দুকের টাকা-পয়সা বস্তাবন্দি করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। পরে বস্তাগুলো ধরাধরি করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ গণনাকারীদের সামনে ঢেলে দেওয়া হয় টাকাগুলো। এভাবেই শুরু হয় গণনার কাজ।
পাগলা মসজিদের টাকা জমা হয় রূপালী ব্যাংকে। তাই এই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের কর্মচারী ও কমিটির লোকজন, মাদরাসার ছাত্রসহ সব মিলিয়ে দুই শতাধিক লোক সারা দিন টাকাগুলো গুনবে।
মসজিদ পরিচালনা, এর অর্থ-সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ২৯ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে জেলা প্রশাসক ও কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র।
জানা গেছে, মসজিদের দানের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। আর ওই টাকার লভ্যাংশ থেকে গরিব অসহায় লোকদের আর্থিক সহায়তা, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে মসজিদটি আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান দেওয়া হয় মসজিদের তহবিল থেকে। এইসব সেবামূলক কর্মকাণ্ড সারা বছরই করে থাকে পাগলা মসজিদ।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শুধু মুসলমান নয়, অন্য ধর্মের লোকজনও পাগলা মসজিদে বিপুল অঙ্কের টাকা-পয়সা দান করে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ পাগলা মসজিদ পরিদর্শনে আসে। যা প্রকৃতপক্ষে অসাম্প্রদায়িকতার বিরল এক দৃষ্টান্ত।
মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দানের টাকায় মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ ঘিরে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শেষের পথে। এখন সব কিছু গুছিয়ে আনা হচ্ছে। খুব শিগগিরই হয়তো কাজে হাত দিতে পারব আমরা।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদ গড়ে উঠেছিল। সময়ের সঙ্গে আজ পাগলা মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে খ্যাতিও।
চলারপথে ডেস্ক :
নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনা আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে এ পুরস্কার তুলে দেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এবার চারজন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লে. এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম।
এ ছাড়া সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন), সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় এ এস এম রকিবুল হাসান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফেরদৌসী কাদরী পুরস্কার পেয়েছেন। আর পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানটি হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।