চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ‘বি’ গ্রেডে পুনঃবহালসহ ১১ দফা দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে আশুগঞ্জের সর্বস্তরের লোকজন।
২৬ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেল স্টেশন চত্বরে “ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ”-এর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ গোলাম হোসেন ইপ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা জামায়াত ইসলামির আমির শাহজাহান ভূইয়া, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল খান, চর চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খন্দকার, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির সিবিএ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক সহ আশুগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আশুগঞ্জ রেলওয়েস্টেশনটি বি-গ্রেড থেকে ডি গ্রেটে নামিয়ে নিয়ে আসায়, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনে যাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা না থাকাই যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই ১১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে স্টেশনটিতে বি-গ্রেডের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। যদি অচিরেই দাবি না মানা হয় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মানাতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফুচকা খাওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে একটি বাঁশি কিনে দুই দিন ধরে নিজের স্কুলের সামনের সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ৭ বছরের শিশু আরাফ মাহিন। ট্রাফিক পুলিশের অবর্তমানে সড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য বাগেরহাট শহরের পুলিশ লাইন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফের এই প্রচেষ্টা।
৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন পুলিশ লাইন্সের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে বাঁশি নিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকক চালকদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কে চলাচলের আহ্বান করছেন আরাফ। আরাফের হাতে থাকা একটি দিকনির্দেশক লাঠি দিয়ে তিনি যানবাহনগুলোকে সারিবদ্ধ ভাবে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। সড়কের চলাচলরত যানবাহনগুলো তার নির্দেশ পালন করছেন। আরাফের এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছেন তার মা লাইলি আঞ্জুমানসহ পথচারীরা।
আরাফের মা লাইলি আঞ্জুমান বলেন, আরাফের উদ্যোগে আমি খুব খুশি হয়েছি। ফুচকা খাওয়ার জন্য ৩০ টাকা নিয়েছিল, পরে জানলাম সে বাঁশি কিনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। ওকে যখন নিতে আসছি তখন আমাকে বলে, আম্মু আমাকে একটা ঘণ্টা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দাও, চার ঘণ্টা বই পড়বো। ওর কথার পরে আর বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করিনি। বৃহস্পতিবার থেকে ও কাজ করছে, আমি দূর থেকে ওর সঙ্গে আছি। আরাফকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমি।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফ বলে, এই জায়গায় সব সময় পুলিশ আঙ্কেলরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু কয়েকদিন পুলিশরা দায়িত্ব পালন করছেন না। তাই মাঝে মাঝেই বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এজন্য শৃঙ্খলা ফেরাতে আমি নিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। অটো ও রিকশা চালক আঙ্কেলরাও আমার কথা শুনছেন, খুবই ভাল লাগছে। এছাড়া বড় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের ময়লা পরিস্কার করতেও দেখা যায় শিশু আরাফকে।
শিশু আরাফ বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার ইমরুল হাসানের ছেলে। সে শহরের পুলিশ লাইন্স স্কুলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ট্রাফিক মোড়, দশানী, সাধনার মোড়, শালতলা ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিএনসিসি সরকারি পিসি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ ইউনিটের সদস্য, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রাম। নদী ভিত্তিক গ্রাম হওয়ায় সবসময় এখানে ধরা পরে দেশী প্রজাতির মাছ। আর এই মাছ দিয়েই গ্রামটিতে উৎপাদন হয় শুঁটকি। নদীর তীরবর্তী স্থানে আট-দশ ফুট উঁচু বাঁশের মাচা বানিয়ে চলে এই শুঁটকির ব্যবসা। প্রতিবছর এখানে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এই মৌসুমে নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিক্রি কমার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আর সহজশর্তে ঋণ পেলে শুঁটকি ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জের লালপুর গ্রামের এই মেঘনা পাড়ের শুঁটকি ব্যবসা শত বছরে ঐতিহ্য। এই শুঁটকি পল্লিতে বর্তমানে ২৬টি মাচা রয়েছে, যেটাকে স্থানীয় লোকজন বলেন ডাঙ্গি। তাদের দাবি, গোটা গ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০টি ডাঙ্গি রয়েছে। এসব ডাঙ্গিতে সময়ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। ২০ আড়তদারসহ প্রায় ১৫০ জন এখানে শুঁটকির ব্যবসা করেন। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলে। লবণযুক্ত ও লবণ ছাড়া মানভেদে কয়েক ধরনের শুঁটকি উৎপাদন হয় এই পল্লিতে।
যে-সব মাছের শুঁটকি করা হয়- পুঁটি, শোল, গজার, বোয়াল, ঘইন্না, টেংরা, চাপিলা, লাসু, পাঙাশ, রুই, গজার, শোল, পাবদা, কাইক্কা, পুঠা মাছ। গুণে মানে ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় লালপুরের শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা এনে যার যার ডাঙ্গির নিচে রাখে। তারপর সেখানকার মহিলারা বসে পরে মাছ কুটা-কুটিতে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা নয়, শিশু-কিশোরেরাও এসে তাদের অভিভাবককে সহযোগিতা করে। তারপর এগুলো কেটে সেই বাঁশের তৈরি মাচার ওপর দেওয়া হয় শুকাতে। পরে সেই মাছগুলো কয়েকদিন ধরে শুকিয়ে তৈরি হয় শুঁটকি। তারপর এগুলো সংরক্ষণ করে বাজারজাত করা হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী সুকমল দাস জানান, তিন কেজি মাছ থেকে এক কেজি লবণযুক্ত ও পৌনে চার কেজি মাছ থেকে এক কেজি লবণ ছাড়া শুঁটকি হয়। প্রতি কেজি লবণযুক্ত পুঁটি শুঁটকির পাইকারি দাম ৬০০ টাকা ও লবণ ছাড়া প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে পুঁটি শুঁটকি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হয়। তাছাড়া শোল ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, গনিয়া ৮০০ টাকা, মাঝারি গনিয়া ৬০০ টাকা ও ছোট গনিয়া শুঁটকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে চাহিদা অনুযায়ী নদীতে মাছ না পাওয়ায় উর্ধ্বমুখী মাছের দাম। তাই মানভেদে শুটকির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে বলে জানিয়েছে সুকমল দাস।
ব্যবসায়ী তপন দাস বলেন, এ মৌসুমে মাছের দাম চড়া। তাই ব্যবসার লাভের জন্য শুটকির দামও বাড়াতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ না পাওয়ায় বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। ফলে লাভের বড় অংশ তুলে দিতে হচ্ছে সমিতি ও এনজিওর হাতে।
ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র দাস জানান, গত ৫ বছর ধরে তিনি শুঁটকি উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। তার ডাঙ্গিতে পুঁটি, বাইম ও চাপিলা শুকটি চাষ করেন তিনি। তবে মাছ সংকট ও অতিরিক্ত দামের কারণে উৎপাদন কমে এসেছে। আর যতটুকুই উৎপাদন হবে তা আগের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়াতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাজী আব্দুল কাইয়ূম খাদেম জানান, শুঁটকি পল্লির ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা রয়েছে। তারা জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা নিতে পারবে।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ও খালবিলে পানি কম থাকায় এবার মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন ও সংরক্ষণে শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা এবং গতকাল বুধবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া ও একই দিন বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর-কাছাপিয়া গ্রামের মোঃ হান্নান মিয়ার ছেলে নাঈম আহম্মেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস মিয়া (৩০)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে তার কোমরে ও পায়ে রাবার দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেলে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও নাঈম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
অপরদিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া গ্রাম থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক পাচারকারী পিয়াস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বড়জ্বালা ও বুড়িচং সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় গাজা ও শাড়ী কাপড় জব্দ করেছে। আজ সোমবার ও রোববার সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে।
বিজিবি জানায়, সোমবার গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সদস্যরা কুমিল্লা আদর্শ উপজেলার বড়জ্বালা সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সীমান্তের মতিনগর নামক স্থান থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়
এদিকে, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ৬০ বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায় বুড়িচং সীমান্ত এলাকায়।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৪৩০ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ী কাপড় উদ্ধার করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এখানেও চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ভারতীয় শাড়ীর মূল্য ৪৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা ব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সুমন (৩০) ও মোঃ লিটন মিয়া (২৫) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যানও জব্দ করা হয়।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুজন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাহেব আলী মাতাব্বরের ছেলে ও লিটন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। পরে কাভার্ডভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২৩ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।