আখাউড়া গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

আখাউড়া, সারাদেশ, 1 June 2025, 154 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জের ধরে রুনা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১মে শনিবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুনা আক্তার একই ইউনিয়নের রাণীখার গ্রামের শিক্ষক শেখ নাছির উদ্দিনের মেয়ে।

banner

নিহতের বড় ভাই শেখ জসিম উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে পাশের গ্রামের সাইদুর রহমানের সাথে পারিবারিকভাবে রুনার বিয়ে হয়। তাদের ১০ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় সেলুনে কাজ করেন সাইদুর। সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নেন সাইদুর। এরপর আবার টাকা নেয়ার জন্য রুনাকে চাপ দিলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এ বিষয় নিয়েই রুনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চলছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনন্ত কুমার ভক্ত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ভিকটিম মারা যায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ভিকটিমর বুকে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা প্রাণঘাতি ছিল।

হাসপাতালের মর্গে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মোছা: শিরিন আক্তার। তিনি জানান, ভিকটিমের বাম বুকের উপরে গলার নিচে সাড়ে সাত ইঞ্চি গভীর ও ২ ইঞ্চি প্রস্থের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার অনামিকায় কাটা রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরই ভিকটিমের স্বামী সাইদুর রহমানকে বাড়ি থেকে এবং তার শ্বশুর আব্দুস সালামকে হাসপাতাল থেকে আটক করে থানার হাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

জেলার ৪ উপজেলায় বন্যায় ভেসে গেছে প্রায় ১৯ কোটি টাকার মাছ

আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 August 2024, 1384 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’

বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।

মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’

এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।

আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সারাদেশ, 16 April 2025, 204 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দফা দাবিতে আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা থেকে মাধবপুর কলেজ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

banner

এসময় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ছয় দফা দাবি মানতে হবে। এরমধ্যে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুবিধা বাতিল করতে হবে, উপ-সহকারী পাশকৃতদের সংরক্ষিত পদের বিপরীতে নিয়োগসহ ছয় দফার সব দাবি মানতে হবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট ৩০% পদ ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। ফলস্বরূপ যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০% কমে গেল। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জন্মলগ্ন থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্ররা যৌক্তিক দাবি করেছেন। আদালত তাদের দাবি বিবেচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোহসিনুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করেছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের সবাই কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে ১১টার পর থেকে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে কলেজের সামনে মহাসড়ক হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অবরোধ তুলে নেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সেহরি রান্নার সময় বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ

সারাদেশ, 9 March 2025, 183 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। ৮ মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের পৌর শহরের কোরালিয়া রোড রুস্তম বেপারী বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

banner

দগ্ধদের মধ্যে আব্দুর রহমান, শানু বেগম, খাদিজা আক্তার ও মঈন নামে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনিস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর আহত ইমাম হোসেন ও দিবা আক্তার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে সেহরির রান্নার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘরটিতে আগুন ধরে যায়।

এখনও অধিকাংশ বই পায়নি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা

আখাউড়া, 13 February 2023, 1534 Views,

আখাউড়া প্রতিনিধি :
নতুন বছরের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। এখনও আখাউড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর অধিকাংশ বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেনি। এছাড়া মাদ্রাসা শাখার ৭ম শ্রেণীর কোন বই পায়নি ছাত্রছাত্রীরা। এসব বই কবে পাওয়া যাবে তারও কোন সঠিক তথ্য নেই শিক্ষা অফিসে। বই না থাকায় ঠিকমত শ্রেণী কার্যক্রম হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরাও পড়ায় আগ্রহ পাচ্ছে না। ফলে মাধ্যমিক স্তরে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে পুরনো বই দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানান কয়েকজন শিক্ষক। তবে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে অবশিষ্ট বইগুলো দ্রুত দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন তারা।

banner

শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরকে ৪/৫টি বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে। এসব ক্লাশের অধিকাংশ বই এখনও দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ৬টি দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা কোন বই পায়নি। সব মিলিয়ে আখাউড়া উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার। তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর সকল বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ৭ম শ্রেণীর ৭টি বিষয়ের বই এখনও দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো ইংরেজি, গণিত, চারুপাঠ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। ৮ম শ্রেণীর ১০টি বিষয়ের বই বিতরণের বাকী রয়েছে। এগুলো হলো বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা দ্রুতপঠন, ইংরেজি গ্রামার, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, সাধারণ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চারু ও কারুকলা, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা ২ হাজার ৫৫০টি, গার্হস্থ্য ও অর্থনীতি।

৯ম শ্রেণীর ১০টি বিষয়ের বই এখনও ছাত্রছাত্রীরা পায়নি। এগুলো হলো ইংরেজি ও মাধ্যমিক গণিত, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিসাব বিজ্ঞান, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও ব্যবসায় উদ্যোগ, বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ^ সভ্যতা, ভুগোল ও পরিবেশ এবং পৌরনীতি ও নাগরিকতা । এছাড়া মাদ্রাসায় শাখায় ৭ম শ্রেণীর ১৫টি বিষয়ের বই এখনও এসে পৌঁছেনি।

অভিভাবক কাজী মাইনুদ্দিন বলেন, আমার ছেলে সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ পড়েই উঠে যায়। কিছু বললেই বলে বই নাই। দেড় মাস হয়ে গেছে। বাকী বইগুলো দেওয়া দ্রুত দিলে উপকার হবে।

জানতে চাইলে আমোদাবাদ আলহাজ¦ শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক বলেন, পর্যায়ক্রমে বই আসতেছে। আরও আসবে। শিক্ষকরা পুরনো বই অনুসরন করে পাঠদান করাচ্ছেন।

তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন, বই না থাকলেও শিক্ষকদের পাঠদানে কোন সমস্যা হচ্ছে না। শিক্ষকরা ওয়েব সাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করে পাঠদান করাচ্ছেন। তবে দ্রুত বইগুলো পেলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপকার হবে।

উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণীতে আগের বই-ই রয়েছে। এজন্য পুরাতন বই দিয়ে পাঠদান হচ্ছে। শিক্ষকরা ওয়েব সাইট থেকে চ্যাপ্টার ভিত্তিক ডাউন লোড করেও পড়াচ্ছেন। ফলে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।

আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শওকত আকবর খান বলেন, পর্যায়ক্রমে বই আসছে। আশা করছি এ মাসে আরও বই আসবে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেল ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ

আখাউড়া, 22 September 2023, 958 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমতিতে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছে।

banner

আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ১টি পিক-আপ ৭০টি কার্টুন ভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে আগরতলায় প্রবেশ করে। এছাড়াও আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলায় আরও ইলিশ যাওয়ার কথা রয়েছে।

মাছের রপ্তানীকারক ঢাকার যাত্রাবাড়ির মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ। ত্রিপুরার আগরতলার বিমল রায় মাছগুলো আমদানি করেছেন। মাছের সিএন্ডএফ করেছে আখাউড়ার প্রীতম এন্টারপ্রাইজ।

প্রীতম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, প্রতি কেজি মাছ ১০ ডলার দরে রপ্তানি করা হয়েছে। রপ্তানীকৃত মাছের মূল্য ৩২ হাজার ২৫০ ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা।
এদিকে আজ বিকালে আরও ১ হাজার ৫০০ কেজি মাছ ত্রিপুরায় পাঠানোর কথা রয়েছে। ঢাকার এসএস কর্পোরেশন ত্রিপুরার আগরতলার কৃষ্ণপদ রায়ের কাছে ইলিশ মাছ রপ্তানী করছে।

মাছের সিএন্ডএফকারী প্রতিষ্ঠান এফ.এ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহনেওয়াজ মিয়া শানু বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেঃ টন করে ইলিশ মাছ রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে। তারই অংশ মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ ৩ হাজার ২২৫ মেঃ টন ইলিশ মাছ রপ্তানী করেছে। বিকালে এসএস কর্পোরেশনের আরও ১ হাজার ৫০০ টন মাছ আগরতলায় পাঠানো হবে। যাত্রাবাড়ীর রপ্তানীকারক ফিস বাজারও এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানী করবে।