ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা জয় গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 June 2025, 212 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হোসেন সরকার জয় (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

banner

পুলিশ জানায় হোসেন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুইটি মামলা রয়েছে। মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হোসেন সরকার জয় জেলা শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা সুবেদার মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ফিরোজা বেগমের ছেলে। তিনি বর্তমানে শহরের ফুলবাড়িয়ায় বসবাস করেন।

হোসেন সরকার জয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, পৌর তাঁতী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। তিনি নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে স্থানীয় তিতাস বার্তার নির্বাহী সম্পাদক, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কেন্দ্রীয় শীর্ষ খবর পত্রিকার সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক সন্ধ্যা বানী, জাতীয় জনতা দলিলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোসেন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে সদর থানায় সহিংসতার ঘটনাসহ দুইটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) এলাকায় হোসেন সরকার অবস্থান করছেন বলে গোপন সূত্রের তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে শহরের এক নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, হোসেন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে থানায় দুটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আজ ১ জুন রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

মসজিদ রোডের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের মায়ের ইন্তেকাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 January 2023, 1435 Views,
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামে মসজিদ রোডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রহমানিয়া লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী মোঃ খলিলুর রহমানের মাতা ফিরোজা বেগম (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর ঘাটুরাস্থ সাতবাড়িয়া গ্রামে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল সোমবার বাদ এশা আশুগঞ্জের খড়িয়ালা নিজ গ্রামে সরকার বাড়ি স্কুল মাঠে মরহুমার জানাজা শেষে দাফন করা হয়। মরহুমার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক আজকের হালচাল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ মোঃ আকরাম। তিনি এক বিবৃতিতে মরহুমার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা জয় বহিষ্কার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 June 2024, 651 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে আশরাফুল ইসলাম ইজাজ ওরফে আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে খুনের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার পর গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

banner

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃংখলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।

নিহত আশরাফুল ইসলাম ইজাজ কলেজপাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে। ইজাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।

গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌর এলাকার কলেজপাড়া খান টাওয়ারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইজাজের লাশ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে পৌছেনি।

পুলিশ জানায়, দুপুরে ইজাজের লাশ নিয়ে তার স্বজনরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে রওয়ানা হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে ইজাজের হত্যা ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্ত হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করা হয়নি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও।

ঘটনার পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা ফারাবী তার হাতে থাকা পিস্তল কোমড়ে নিয়ে সরে যাচ্ছেন। ইজাজকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে ওই ভিডিওতে ধারণা পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই ইজাজের বিরোধ চলে আসছিলো।

গত বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে ভোট কেন্দ্রে জয় ও ইজাজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে পৌছলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে আশরাফুল ইসলাম ইজাজ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

পরে মিছিলে থাকা তার সহপাঠীরা দ্রুত ইজাজকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।

পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকগণও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নেয়ার পথে সে পথিমধ্যেই মারা যায়।

নিহতের মামাতো ভাই জুনায়েদ চৌধুরী জানান, কলেজপাড়ার বাসিন্দা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জালাল হোসেন খোকার অনুসারী ছিলো জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়। সন্ধ্যায় আনন্দ মিছিল চলাকালে খোকার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়।

নিহতের চাচা আনিসুর রহমান বলেন, হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে ইজাজের মাথায় বামদিক দিয়ে গুলি করে। তখন ইজাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। জালাল হোসেন খোকার নির্দেশে জয় ইজাজকে গুলি করেছে।

জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, ইজাজের মাথার বাম পাশের কানের উপরে মারাত্মক একটি ক্ষত রয়েছে। তার সাথে আসা বন্ধুরা জানিয়েছেন ইজাজের গুলি লেগেছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, নিহত ইজাজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো। সে আমার নির্বাচন করেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, ইজাজ হত্যা ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। তার লাশ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে। ঘাতক জয়কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন তল্লাশী চৌকি বসিয়েছে। এখনো তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 9 May 2023, 1562 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

banner

আজ ৯ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহবায়ক কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির রাজধানী বলে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় রয়েছে রেলওয়ে জংশন, স্থলবন্দর, নৌ-বন্দর, দেশের বৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানা, তিতাস গ্যাস ক‚প ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

একটি সমৃদ্ধ জেলা হলেও মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 19 September 2024, 711 Views,

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

banner

আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের কাউতলী মোড় থেকে জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এড. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য নাছির আহমেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক শেখ মাহবুবুর রহমান, শেখ মোঃ ইয়াছিন, সদর উপজেলা জাতীয় পাার্টির সভাপতি জেনহারুল ইসলাম লিটন, পৌর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোঃ আনিছ খান, জেলা জাতীয় ওলামা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাওঃ সিরাজ আকরাম, জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জোটন প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞিপ্ত

মামলাজট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে হবে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 March 2024, 837 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।

banner

আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।

তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।