চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে দুই ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৮ জুন রবিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত দুলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে ছোট ভাই রুবেল ও আলমগীরের সাথে দুলাল মিয়ার বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহ তৈরি হতো। ৭ জুন শনিবার দুপুরে কোরবানির মাংস কাটার সময় ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সাথে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগির দুলাল মিয়াকে মারধর করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগির পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট:
বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তৌফিক (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ ২ এপ্রিল বুধবার দুপুরের দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌফিক (২৬) উপজেলার আদমপুর গ্রামের আরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পত্তন ইউপির আদমপুর বাজারের পাশে সিএনজি অটোরিক্সা ও পিকআপভ্যান রেখে দুই ড্রাইভার দোকানে নাস্তা করতে যায়। এ সময় তৌফিক অটোরিক্সা ও পিকআপের ড্রাইভারকে গাড়ি সরাতে বলে। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তৌফিকের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপ চালক ও অটোরিক্সা চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদহ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খান। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তাকে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সম্মাননা প্রদান করেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। এর আগে সকাল ১১টায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজয়নগর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াদুল হক বাবু, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহসিন ভুইয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমরান খান, পুর্বাচল কলেজের অধ্যক্ষ মো. সোহাগ মিয়া, শ্রীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হান্নান, সহকারী সুপার আব্দুল গফুর, প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল আমীন ও উপজেলা স্কাউটস শ্রেষ্ঠ সদস্য মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ খান প্রমুখ।
এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজন, অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণকে পাশে নিয়ে আমরা নির্বাচন করব। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবে। ছাপানোর কালচারে আমরা বিশ্বাসী না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয় সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের আউলিয়া বাজার ঈদগাঁ মাঠে পাহাড়পুর ইউনিয়নে বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত, রাষ্ট্রসংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনমত গঠনের জন্য পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যাই করেন না কেন জনগণকে সম্পৃক্ত রাখবেন। ভুলেও চিন্তা করবেন না আওয়ামী লীগের মতন আর কোনো ছাপানো নির্বাচন আবার হবে। আমরা তা হতেই দেব না। কারণ এই ধরনের কালচার আমরা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। এই ধরনের কালচার আমরা বিশ্বাস করি না। এসময় তিনি আরো বলেন, নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেন যাতে আগামী নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকেই ভোট দেয়।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেছেন। এমনও দৃষ্টান্ত আছে যে, তারা স্মাগলিং করতে গিয়ে নিজেদের লোক পর্যন্ত তারা নিজেরাই মেরে ফেলেছেন।
জনসভায় পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল মান্নাফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জমির হোসেন দস্তগীর, সদস্য সচিব সচিব অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, মো. ইয়াহিয়া খান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১৩টি দেশীয় অস্ত্রসহ মো. সজীব মিয়া (৩০) নামে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালীসিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ সজীব মিয়া কালীসিমা গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ৪এবং ৫ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর আক্রমনকারী, সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী গত সোমবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার কালীসীমা গ্রামের সজীব মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে সজীব মিয়াকে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত সজীব মিয়াকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই যুবককে কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজাপুরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন। এ সময় ৭৪ বোতল এসকফ সিরাপ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ বোতল বিদেশী মদ, ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার অলিপুর গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া, একই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া ও সেজামুড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সেজামুড়া এলাকায় মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উজ্জ্বল মিয়া ও আলমগীর মিয়াকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পরে সেজামুড়া এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ৭৪ বোতল এসকফ সিরাপ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ বোতল বিদেশী মদ, ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।