চলারপথে রিপোর্ট :
গাজায় ইসরাইলী গণহত্যা ও ইরানে বোমা হামলা প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ জুন শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে এবং অপর সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসিরের সঞ্চালনায় গাজায় বর্বরোচিত এ গণহত্যা এবং ইরানে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সদস্য আহমেদ হোসেন, মোঃ নাসির মিয়া ও কামরুল চকদার, জেলা উদীচীর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির, রিয়াজুল মোর্শেদ, মাসুদ আশেক সমর, নার্সিং ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থী শাহরিয়ার এঞ্জেল, কলেজ শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিকী, মাহদী রহমান, তাওফিকুর রহমান রিদওয়ান, স্কুল শিক্ষার্থী মেহেদী প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজায় অব্যাহত গণহত্যায় মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন তাদেরও এমন পরিণতি হবে। তাই মানবতাবিরোধী এ গণহত্যা বন্ধের জন্য বিশ্ববিবেককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। গাইতে হবে মানবতার জয়গান।এর কোন বিকল্প নাই।
বক্তারা বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর পৃথিবী। যে পৃথিবীতে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ এক আকাশের নীচে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করবে। কিন্তু এর প্রধান বাঁধা হচ্ছে বিশ্ব পূুঁজিবাদের মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আমেরিকা। আমেরিকা দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিঁয়ে সমরাস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা লুণ্ঠন করছে। মার্কিন মদদে ইজরাইল গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করতে নির্বিচারে শিশু ও নারীদের হত্যা করছে। বিতর্কিত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ শিবিরে ত্রাণ আনতে গেলে ক্ষুধার্ত ফিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করে পৃথিবীতে বর্বরতার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে ইজরাইলীরা।
বক্তারা অনতিবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ইরানে বোমা হামলার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণশেষে শহরের তোফায়েল আজম মন্যুমেন্টের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পথিকৃৎ মহাকালের কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব ২০২৫ এর আজ ছিলো সমাপনী দিন। তিন দিনব্যাপী নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমবারের মতো এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে সোনালী কাবিন পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ছিলো একটি পদক ও আর্থিক চেক।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাপনী দিনে, সকাল ১০টায় স্বরচিত কবিতা পাঠ, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সন্ধ্যা ৬টায় সোনালি কাবিন পদক প্রদান করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছর সোনালি কাবিন পদক গ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মহিবুর রহিম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কবি মোবারক হোসেন আকন্দ, কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, নবীনগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক সোনালী কাবিন পদক গ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, আল মাহমুদের কবিতার ভাষা বেশ বিশ্বস্ত। তাঁর কবিতায় জীবন শুধু দুঃখময়ই নয়, জীবন যাপনযোগ্য এবং সৌন্দর্যমন্ডিত। তিনি হতাশাবাদীদের মতাদর্শ গ্রহণ করেননি। এখানেই তিনি স্বাতন্ত্র্য একটি সাহিত্য জগত তৈরী করেছেন। বাংলা সাহিত্য আজ আল মাহমুদকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অবশ্যই দিতে হবে। কারণ তাঁর লেখা ব্যতিক্রম।
তিনি বলেন, নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে একটা সময় আল মাহমুদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, অথবা তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি বলবো আল মাহমুদকে দূরে রাখার প্রবণতাই এজন্য দায়ী। তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ তাকে কবি হিসেবে দেখা। আল মাহমুদ অনেক বড় মাপের একজন মানুষ ও কবি। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল মাহমুদের একটা জীবনী রচনা করার দায়িত্ব আজকের তরুণদের নিতে হবে। তাঁর কবিতা ও কবি জীবন নিয়ে লেখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। আমরা যদি তাঁর একটা রচনাবলী প্রকাশ করি, তবেই আমরা বুঝতে পারবো তিনি কত বড় মাপের কবি ও মানুষ ছিলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও জনজীবনকে উন্নত করতে হবে। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ, সাহিত্য একাডেমি, আবরণী, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সাগর মিউজিক প্লাস এবং নৃত্য পরিবেশন করবেন জিয়া আমিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর বাস টার্মিনালের গরুর বাজারে বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়ছে নেত্রকোণা থেকে আসা ১২০০ কেজি ওজনের ‘লালু মস্তান’ নামের একটি গরু। একদিকে ওজনের দিক দিয়ে যেমন বেশি তেমনি আকৃতির দিক দিয়ে বেশ বড় এই গরুটি। আর একারণেই বাজারে আসা মানুষের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে গরুটিকে ঘিরে।
আজ ১৫ জুন শনিবার সকাল থেকে ষাঁড়টিকে দেখতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তি এই ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য এনেছেন। তিনি গরুটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে ষাঁড়টির দাম সাড়ে ৯ লাখ টাকা উঠেছে বলে তিনি দাবি করেছেন তিনি। তার আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাজারে তিনি ভালো দাম পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামকে (৫৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোডের বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা চলমান। এরমধ্যে একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এরই জেরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আলাকপুর ও কোড্ডায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের কলেজপাড়ার শওকত ভূইয়ার ছেলে ওমর ফারুক (১৮) ও নবীনগর উপজেলার দুরাইন গ্রামের মোকাদ্দেস মিয়া (৭০)।
জানা যায়, সুলতানপুর-আখাউড়া সড়কের আলাকপুরে দিগন্ত বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ওমর ফারুক ও ফজলে রাব্বি নামক দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুককে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ওমর ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। চিনাইর এলাকায় মোটর সাইকেল মেরামত শেষে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে জেলার খড়মপুর মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের কোড্ডা এলাকায় একটি ট্রাকের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা সাবেক সেনা সদস্য মোকাদ্দেস মিয়া গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।