অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসের গ্র্যান্ড ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দ. আফ্রিকা। টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন প্রথম সেশনের মধ্যে তিন উইকেট খোয়ালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের। ২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৪ রান যোগ হতে-ই হারায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৬৬ রান। পাঁচে নেমে ট্রিস্টান স্টাবস (৮) কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্টাম্প খুইয়েছেন মিচেল স্টার্কের বলে।
তবে সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার এইডেন মার্করাম এদিনও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে ১৩৬ রানে থেমেছেন তিনি। কাইল ভেরেইনকে (৪*) সাথে বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*)।
এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম কোনো আইসিসি শিরোপা জয় করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রীড়া জগতে জুজু কাটানোর বছরে শিরোপাখরা কাটাল ক্রিকেটের চোকার্সরা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটির দুই পেসার কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের আগুনে বোলিংয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। ব্যু ওয়েবস্টার (৭২) এবং স্টিভ স্মিথের (৬৬) জোড়া ফিফটির পরও তাদের ২১২ রানেই থামতে হয়।
রাবাদা ৫ এবং ইয়ানসেন ৩ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর দিয়ে রোলার কোস্টার চালিয়ে দেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের দিনের বেলায় দুঃস্বপ্ন দেখান তিনি। তার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৮ রানেই থামে বাভুমার দল।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও রাবাদার গতি আর সুইংয়ের সামনে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে অজি ব্যাটারদের। লেজের সারির ব্যাটার স্টার্কের হার না মানা ৫৮ এবং উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির ৪৩ রানের ইনিংস দুটিতে চড়ে ২০৭ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এতে শিরোপা জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান। শেষ পর্যন্ত মার্করামের সেঞ্চুরি এবং বাভুমার ফিফটিতে সহজেই সে লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। আর তাতে একবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া: 212 & 207
দক্ষিণ আফ্রিকা : 138 & 282/5
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এর মধ্য দিয়ে টুর্ণামেন্টে জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে চিটাগা কিংসের দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।
বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার উসমান।
উসমান খানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ৪০ রানে সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তবে রানের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ইনিংসও বড় করেছেন উসমান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি কমেনি তার। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফিরতে পারতেন উসমান।
সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি সাব্বির হোসেন কিংবা শফিউল ইসলামের কেউ। জীবন পেয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন উসমান।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের পাহাড় গড়েছে চিটাগং। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও উসমান সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আল-ওয়াসলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন সিআর সেভেন। তার দলও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল-ওয়াসলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০তম জয় এটি রোনালদোর। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংয়ের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় রোনালদোর। তিনি সেখানে ১৩ জয় পান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই দফায় খেলে ২১৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে রোনালদো। পর্তুগিজ এই তারকার সবচেয়ে সফলতম ক্লাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি ১০ মৌসুমে সেখানে ৩১৫ জয় পেয়েছেন। আর জুভেন্টাসে রোনালদোর জয় ৯২ ম্যাচে।
রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়াও বাকি দুই গোল এসেছে আল ফাতিল ও আল হাসানের পা থেকে। এই ম্যাচেই আল নাসরের হয়ে অভিষেক হয় কিছুদিন আগেই অ্যাস্টন ভিলা থেকে দলে ভেড়ানো কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার জন ডুরানের। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আল নাসর। সিমাকানের পাস থেকে গোল করেন আলী আল হাসান। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। আর দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয় হাফে। ৭৮তম মিনিটে সাদিও মানের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন সিআরসেভেন। যা ক্যারিয়ারে তার ৯২৩তম গোল।
আল নাসরের হয়ে শেষ গোলটি করেন আল ফাতিল। ৮৮তম মিনিটে ব্রোজোভিচের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন তিনি। এ জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় স্থানটা আরো মজবুত করল আল নাসর।
অনলাইন ডেস্ক :
ডাকেটের ইতিহাস গড়া ব্যাটিংয়ে রেকর্ড রান তুলল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য। শুরুতেই তাদের ব্যাটিং লাইনে আঘাত করে সহজ জয়ের আশাও হয়তো করেছিল ইংলিশরা। কিন্তু সময় গড়াতেই ধীরে ধীরে ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে থাকে। তাদের ওপর চড়াও হন জশ ইংলিস। তাতে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করেও হারতে হলো ইংল্যান্ডকে। ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের রেকর্ড গড়া জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ট্র্যাভিস হেড (৬) ও স্টিভ স্মিথের (৫) উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। অজি শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন জোফরা আর্চার ও মার্ক উড। তবে ম্যাথু শর্ট ও মার্নাস লাবুশেনের জুটি স্বস্তিতে ফেরায় অজিদের। দুইজনে মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। লাবুশেন ৪৫ বলে ৪৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন। হাফ সেঞ্চুরি করা শর্টও তাকে অনুসরণ করে মাঠ ছাড়েন। ৬৬ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৩ রান করে লিভিংস্টোনের শিকার হন এই ওপেনার।
দলীয় ১৩৬ রানে চার উইকেট পড়লে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১১৬ বলে ১৪৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে পথে ফেরান অ্যালেক্স ক্যারি ও ইংলিস। ৩৮তম ওভারে রশিদের বলে আর্চারের হাত ফসকে জীবন পেয়ে ক্যারি দুটি রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান।
ব্রাইডন কার্স ১৪৬ রানের এই জুটি ভাঙলে ইংল্যান্ড ভেবেছিল তারা ম্যাচে ফিরেছে। কিন্তু ক্যারি ৬৩ বলে ৬৯ রানে পেসার ব্রাইডন কার্সকে উইকেট দিলেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইংলিস। ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্চারকে ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইংলিস। অন্য প্রান্ত থেকে সময় সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের ব্যবধান কমাতে থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
৪৭তম ওভারে লিভিংস্টোন ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ নিলেও আর্চারের বল কোমরের ওপরে থাকায় নো বল হয়। ফ্রি হিট থেকে ছক্কা মারেন এই অজি ব্যাটার। ৪৭.৩ ওভারে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেন ইংলিস। ৮৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৬ বলে ৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩২ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। তার ১৫ বলের ক্যামিওতে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়।
রেকর্ড রান করেন ডাকেট
এর আগে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। বেন ডারশুইসের আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথ (১৫)। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা দ্রুত সামলে নেয় ইংলিশরা।
তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও ডাকেট। ৭৮ বলে চার চারে ৬৮ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রুট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও ডাকেটের ব্যাটে শক্ত ভিত গড়ে ইংল্যান্ড। ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে শতক হাঁকান এই ওপেনার।
ডেথ ওভারে সেভাবে রান তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান যোগ করে তারা। ১৩৪ বলে ১৫০ রান করেন ডাকেট। তাকে ফেরান মার্নাস লাবুশেন। ১৪৩ বল খেলে ১৭ চার ও ৩ ছয়ে ১৬৫ রান করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিষেক রাঙান ডাকেট। তৃতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসকে ক্যারিয়ার সেরা বানিয়েছেন ডাকেট, আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১০৭ রান। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও।
শেষ দিকে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলীয় স্কোর সাড়ে তিনশ পার করেন আর্চার। তার সঙ্গে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন আদিল রশিদ। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ডারশুইস। দুইটি করে উইকেট নেন জাম্পা ও লাবুশেন।
নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী দিন মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নেপালের মুখোমুখি হবে ইয়াং টাইগ্রেসরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৬ দলকে নিয়ে প্রথমবারের মত নারী অনূর্ধ্ব-১৯-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারও চার গ্রুপে ১৬টি দল অংশ নেবে। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড।
গত ডিসেম্বরে নারী অনূর্ধ্ব-১৯-টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ রানার্স-আপ হয়েছিল। ভারতের কাছে ফাইনালে হেরেছিল তারা।
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে দলের অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার বলেছিলেন, ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ সামনে এগোতে চাই। আমাদের দলটা অনেক ভালো। দলের শক্তির জায়গা কোনটি আমরা তা জানি। সুতরাং নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভাল কিছু হবে আশা করছি।’
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর ২০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া ও ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এই টুর্ণামেন্টের প্রথম আসরে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
তাই এবার অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। সুমাইয়া বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বা অন্য যে দলই হোক আমরা আমাদের খেলা খেলবো। আমরা মনে করি বরং অস্ট্রেলিয়াই আমাদের ভয় পাবে।’ বিশ্বকাপের আগে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সুপার ওভারে হারায় তারা।
এবার চার গ্রুপের প্রতিটি থেকে সেরা তিনটি করে দল সুপার সিক্স পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে দুই গ্রুপের শীর্ষ দু’টি করে দল সেমিফাইনালের টিকিট পাবে। ৩১ জানুয়ারি সেমিফাইনাল এবং ২ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আসিমা ইরা (সহ-অধিনায়ক), মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইয়াসমিন, আনিসা আক্তার সুবহা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, লাকি খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার ও সাদিয়া ইসলাম।
স্ট্যান্ড বাই : আশরাফি ইয়াসমিন অর্থি, লেকি চাকমা, অরভিন তানি, মেহেরুন নেসা।
অনলাইন ডেস্ক :
এফএ কাপে ১১ জানুয়ারি শনিবার চতুর্থ স্তরের দল সালফোর্ড সিটিকে নিজেদের মাঠে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে তারা নাম লিখিয়েছে টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে।
অন্যরকম একাদশ নিয়ে মাঠে নামা সিটি পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। ডিভিন মুবামা তার সিনিয়র অভিষেকে একটি গোল করেন, জ্যাক গ্রিলিশ এক বছরের গোলখরা কাটিয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন, আর জেমস ম্যাকাটি দ্বিতীয়ার্ধে পার দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক। মুবামা জেরেমি ডোকুর করা অষ্টম মিনিটের গোলে এগিয়ে নেয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুবামা। প্রথমার্ধের শেষের আগে নিকো ও’রেইলি গোল করে সিটিকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটে গ্রিলিশ পেনাল্টি আদায় করে নিজেই গোল করেন। এরপর ম্যাকাটি ২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল করেন এবং ডোকু পেনাল্টি থেকে গোল করেন। সালফোর্ড সিটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক সতীর্থ গ্যারি নেভিল, রায়ান গিগস, ফিল নেভিল, পল স্কলস, নিকি বাট ও ডেভিড বেকহ্যাম কর্তৃক সহ-মালিকানাধীন। যদিও তারা লিগ টু থেকে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে এ ম্যাচে সিটির সামনে পড়ে তারা কঠিন বাস্তবতা টের পেয়েছে।