চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জুন মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুটি চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. উজ্জ্বল মিয়ার কন্যা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে নোভা বাড়ির পাশের পুকুরে সহপাঠীদের সাথে গোসল করতে নামে। কিছুক্ষণ পর সে পানিতে ডুবে যায়। অন্য শিশুরা তাকে না দেখতে পেয়ে পরিবার ও আশেপাশের লোকজনকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসা আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে খুঁজে পুকুর থেকে উদ্ধার করে। তবে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুকরের পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা দূঃখজনক।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘রাইতে ঘর থাইক্যা বাইর হইতে পারি না। সাদা সাদা কাপড় পইর্যা জিন বাড়িতে আইয়া ডর দেখায়। ঘরের চুলা ভাঙছে, দরজায়ও তালা দিছে।’ এক দমে কথাগুলো বলছিলেন হাবিবা আক্তার। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার আতুকুড়া গ্রামে। কিছুদিন আগেই এ গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী জাজু আক্তার (১০) হত্যায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয় শিউলি আক্তার নামের এক নারী। এর পর থেকেই হাবিবার বাড়িতে জিনের উপদ্রব আর নেই। তবে আতঙ্ক কাটেনি তাঁর মতো গ্রামের অন্য বাসিন্দাদের।
আতুকুড়া গ্রামটি পড়েছে ফান্দাউক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আতুকুড়া গ্রামেরই শাহ আলম মিয়ার মেয়ে জাজু আক্তার পড়ত আতুকুড়া মাস্টার কিন্ডারগার্টেনে। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে হঠাৎ নিখোঁজ হয় শিশুটি। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পরও খোঁজ মেলেনি তার। আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে জাজুর নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়। দিন শেষে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে জাজুকে জিনে নিয়ে গেছে। ওই দিন সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের খালে পাওয়া যায় শিশুটির লাশ। তার পরিবারের লোকজনও বিশ্বাস করতে শুরু করেন, জিনই হয়তো হত্যা করেছে তাদের মেয়েকে। কিন্তু নাসিরনগর থানা পুলিশ এ কুসংস্কারে বিশ্বাস করেনি। তারা তদন্ত শুরু করে সেই রাতেই।
পুলিশের পরামর্শে পরদিন থানায় মামলা করেন জাজুর বাবা শাহ আলম মিয়া। তিন দিন পর পুলিশ প্রতিবেশী কাজী মিয়ার স্ত্রী শিউলি (২৫) ও তার শ্বশুর দুধ মিয়াকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চম্পক চক্রবর্তী আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ অক্টোবর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে জাজু হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। ৯ অক্টোবর বুধবার রাতে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জবানবন্দির সূত্র ধরে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শিউলি নিজেকে জিনের মা হিসেবে পরিচয় দেয়। দাবি করে, তার ওপর জিনের আসর আছে। কিন্তু জাজুর বাবা শাহ আলম এসব বিশ্বাস করতেন না। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে শিউলির বাড়িতে জিন নামানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়, পাঁচ মণ মিষ্টি ও পাঁচটি গরু দিলে এলাকার সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে এসব কুসংস্কারের প্রতিবাদ করেন শাহ আলম। এ কারণেই তাঁর মেয়ে জাজুকে শিউলির নেতৃত্বে হত্যা করা হয়।
গতকাল ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে জাজুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। তার বই-খাতা ও ব্যাগ পড়ে আছে ঘরে। মেয়ের মৃত্যুতে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে গেছেন মা জুনু বেগম। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ ভিজে যায়। আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘আমি বিচার চাই না, আমার ছোড মাইয়াডারে ফিরত চাই।’ জুনু-শাহ আলম দম্পতির বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামীর বাড়িতে থাকেন। আর দুই ছেলে রয়েছে। তারাও বোন হত্যার পর আতঙ্কিত। একই এলাকার মরহম আলী বলেন, ‘বক্তব্য দিলে আমার বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের মাইরা ফেলতে পারে। জাজুরে মারনের পর খাইরুল নামে আরেকটা ছোড ছেলেরে মারতে চাইছিল।’
আরেক ভুক্তভোগী বিলকিস বলেন, ‘আমার ঘরে তিনজন জিন সাদা কাপড় পইরা ৯টা তালা দিয়া গেছে। চাবি সঙ্গে নিয়া গেছে। আমরা জানালা দিয়া সব দেখছি। কিন্তু ভয়ে ঘর থাইকা বের হই নাই।’
জাজু হত্যা মামলার তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, জিনের ভয়ে দীর্ঘদিন গ্রামের অনেকে রাতে ঘর থেকে বের হতে পারেন না। এমনকি চক্রটি জিনের ভয় দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা এবং গবাদি পশু হাতিয়ে নিয়েছে। ওসি আব্দুল কাদের বলেন, কয়েক বছর ধরে আতুকুড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ বিকেলের পর ঘর থেকে বের হতেও পারতেন না। সন্ধ্যার পরপরই কারও ঘরের দরজায় তালা দেওয়া হতো। আবার কারও ঘরের দরজায় সাদা সুতা দিয়ে বাঁধা; কারও বাড়ির রান্না করার চুলা ভেঙে রাখত। এ ছাড়া কারও ঘরের টিনের চালায় ইট ছোড়া হতো।
এ পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, মূলত স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই শিউলির কিছু লোক এসব অপকর্ম করে আসছিল। এসব কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেন জাজুর বাবা শাহ আলম। এর জের ধরে তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মাসুক আল মারজান বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র জিন-ভূতের কল্পকাহিনি বানিয়ে তাবিজ ও পানি বিক্রি করে আসছে। এর ফলে মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। বিষয়টিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর মতে, এ থেকে মুক্তি পেতে হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে সুশিক্ষা পৌঁছে দিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করা বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে এবার অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে উপজেলা বিএনপি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে গত সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। এরপর গত মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে ‘দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় পতাকা অবমাননা, মসজিদ ভাংচুর ও চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ সময় ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি করেন বক্তারা। এতে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা। আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সনাতনীদের উসকানি দিচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, আইনজীবী সাইফুলের হত্যাকারী যারাই হোক না কেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা না হলে দেশব্যাপী আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মানববন্ধন থেকে আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে দ্রুত নিষিদ্ধ ও বাংলাদেশে ইসকনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করারও দাবি করেন বক্তারা।
সমাবেশে উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক ও ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুখলেছুর রহমান, মাওলানা গিয়াসউদ্দিন, চাতলপাড় উলামা পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান তুরাব আলী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হাঁস নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন।
এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।
তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে নাসিরনগরের কৃতি সন্তান, উপজেলার গোকর্ণ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, মরহুম সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ’র ১০১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ যুবায়ের হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সমাজ সেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরী, গোকর্ণ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংগঠনের (প্রাছাস) এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নোমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক মোহন মিয়া, সিনিয়র শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র দাস।
পরে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিন।
এর আগে গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন ও গোকর্ণ স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ যুবায়ের হাসানের নেতৃত্বে শিক্ষকরা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ’র কবর জিয়ারত করেন।