শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ইটালি প্রবাসী মোঃ দিদার মিয়ার আম্মাজান আনোয়ারা বেগম (৮৬) গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ ১৮ জুন বুধবার যোহরের নামাজের পর বিরামপুরে নতুন বাজারে সংলগ্নে মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ পড়ান মরহুমার বড় নাতি হাফেজ ইব্রাহিম মিয়া,পরে বিরামপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। মৃত্যুকালে চার ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমা ছেলে আতাউর রহমান বলেন আমার আম্মা আপনাদের সাথে চলাফেরা করেছে, যদি ভুল ত্রুটি করে থাকে আল্লাহর ওয়াস্তে আমার আম্মাকে ক্ষমা করে দিবেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মুসল্লিরা বলেন আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে মরহুমার সকল পাপ মার্জনা ও জান্নাতুল ফিরদাউস লাভের জন্য দোয়া করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের লিসবনের আলমাদা শহরে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে মাহবুবুল আলম নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ১৩ জুন শুক্রবার তার স্ত্রী এবং ১০ ও ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা কন্যার সামনেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত মাহবুবুল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নান্না মিয়ার ছেলে। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পর্তুগালে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার দোকানে প্রবেশ করে এবং দোকানের অর্থ লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এতে মাহবুবুল বাধা দিলে হামলাকারীরা তার বুকে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং জরুরি সেবা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জানা গেছে বন্দুকধারীরা ছিল ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী দুই যুবক। তারা কালো পোশাক পরে এবং হুড পরে ছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তিনটি গুলি চালায়।
ভুক্তভোগী প্রায় তিন বছর আগে তার পরিবারের সাথে ইংল্যান্ড থেকে পর্তুগালে এসেছিলেন। পর্তুগালের বিচার বিভাগীয় পুলিশ ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলীনের ওজন পার্কের কোম্পানীগন্জ সমিতির ভবনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং কবির হোসেন কবিরের সঞ্চালনায় ‘চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ এর আলোচনা সভায় প্রধান উপস্থিত ছিলেন জেএসএফ”র সংগঠক আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মাঈন উদ্দিন নটু, নুর আলম সেলিম, তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন শরিফ হোসেন নিরব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার ব্যাক্তিবর্গ র মাঝে হুমায়ন বাংগালী,শওকত আকবর, সরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল মুরাদ, শিহাব বিন ওয়াছেক,আসিফ মাহবুব,শামছুর রহমান, রাজিব হোসেন, শাহরিয়ার হিমেল, মো: মহসিন, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম,নুর জালাল,ইসমাইল হোসেন পলাশ, নুর হোসেন মিঠু,মো নাঈম,আব্দুল কুদ্দুস বাবু,আল আমিন,সন্জয় শীল,সবুজ হোসেন,আবদুর রহমান,ওমর ফারুক শরীফ,আরিফ হোসেন,আমিন উল্লাহ,আবু বক্কার সিদ্দিক,ইব্রাহিম খলিল,নুর হোসাইন,সজীব আহমেদ,লিটন চৌধুরী,শামীম হোসেন,কিরন,মো জাবেদ,রবিউল হাসান সৈকত,বাদশা ফাহাদ,মোহাম্মাদ কাকন,সজীব,মিশু,রিয়াদ হোসেন,রফিকুল ইসলাম,ইয়াছিন আরাফাত রাফি,জহিরুল ইসলাম সোহাগ, মো জামসেদ মজুমদার,হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন,মোহাম্মদ ইয়াছিন,রমযান আলি রাশেদ,রবিউল হোসেন রাসেল, ফাহাদ, আমিন উল্যাহ সহ চাটখিলের বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের আলোচনায় অতিশীগ্রই চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
এবং সোসাইটির আদর্শ উদ্দেশ্য গঠনতন্ত্র ও সংবিধান তৈরী করার জোর দাবী করা হয়। আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ‘সেন্টার কালচারাল মুসলমান ইডিএফর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বণার্ঢ্য আয়োজনে প্যারিসের উপকণ্ঠ স্তা-তে এই আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও কালচারাল সেন্টারের হলরুম পরিণত হয় প্রবাসীদের মিলমেলায়। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো অন্যতম আকর্ষণ।
সাংস্কৃতিক বিভাগের সহকারী পরিচালক সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও শিল্পী ওমর ফারুকের যৌথ পরিচালনায় প্যারিস শিল্পী গোষ্ঠী ও প্যারিস থিয়েটারের যৌথ পরিবেশনায় গান, কবিতা আবৃত্তি, দর্শক পর্ব ও নাটিকায় মুগ্ধ হয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদের পরিচালনায় ও গোলাম ফারুক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে কুরআনে হাকীম থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ কারী বেলায়েত হোসাইন খান। বক্তব্য রাখেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন, সিসিএএম সভাপতি নুরুল ইসলাম, ঈদ অনুভূতি ব্যক্ত করেন তোফায়েল শিপু, সাকিব সিদ্দিকী, সোহেল আহমেদ, হাবীবুল্লাহ বাহার, সাইফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম কোরেশি প্রমুখ প্রবাসীরা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশনের পবিত্র রমজানুল মোবারক উপলক্ষে বার্ষিক কেরাত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল আগামী ৮ মার্চ শনিবার ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। পিএস-১০৬, মিলনায়তনে, ১৫১৪, ওল্ডমাসট এভিনিউ, নিউইয়র্ক।
এতে আমন্ত্রিত অতিথি থাকবেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস। ১ মার্চ এর মধ্যে কেরাত প্রতিযোগিতায় নাম তালিকাভুক্ত করার জন্যএমডি আলাউদ্দিন ফোনঃ ৩৪৭-২৯৯-২৫১৯ এবং মাকসুদা আহমেদ ফোনঃ ৩৪৭-৩৯৩-০৭৬২ যোগাযোগ করুন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংগঠনের পক্ষে সভাপতি সারওয়ার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ বদরুজ্জামান রুহেল।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার শহরের প্রাণকেন্দ্রে বোম্বে গ্রীলে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় অমর একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সালেহ করিমের সঞ্চালনে সন্ধ্যা সাতটায় এই মহতী অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনের সাগত বক্তব্যর মাধ্যমে কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সকল শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাভাষার অবদান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র সম্মান শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন জসীম উদ্দিন, সালেহ করিমুজ্জামান, আকম রুমেল ও মোয়াজ্জেম ইকবাল। সকলের বক্তব্যে ফুটে উঠে মহান ভাষা আন্দোলন এবং অমর একুশ ছিল বাঙালির অমিত প্রেরণার অনিঃশেষ উৎস। একুশের অভিলাষী যাত্রায় বাঙালী ফিরে পেয়েছে মুক্তির ঠিকানা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার অধিকার। বাঙালির আত্মর্যাদা গৌরবের বিজয় তিলক, এই পবিত্র ভাষা আন্দোলন। ভাষা শহীদরা রফিক জব্বার সালাম বরকতরা তৈরী করেছিল আসাদ জোহা মতিউর সহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ।
যাঁদের অমর রক্তের কণিকায় দাঁড়িয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, বিশ্ব ফিরে পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার অধিকার। আজ সারাবিশ্বে ভাষা আন্দোলনের পীঠস্থান অমর একুশকে স্মরণ করছে বিনম্র শ্রদ্ধায়। ভাষা শহীদ, স্বাধীনতা শহীদ সকল মুক্তি আন্দলোনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জসীম উদ্দীন। অনুষ্ঠানটির সাফল্য ও ভাব গাম্বীর্য রক্ষায় সদা সর্বদা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব রহমান মিলন এবং উপদেষ্টা ফখরুল আহসান শেলী। স্বাধীন বাংলার শিল্পী মুক্তিযোদ্দা খসরু”র সুললিত কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্পন পর্ব। সে এক অপূর্ব শিহরণ। প্রথমে নেতৃবৃন্দ, অতিথি বৃন্দ পরে সর্ব সাধারণ লাইন দিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নতুন প্রজন্ম মা বাবা সহ ফুল নিয়ে এগিয়ে আসে, যা ছিল প্রজন্ম তরে স্মৃতি তর্পনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। এসময়ে তাদের সহায়তা করেন ফারজানা, নবনী, তাননি, ইউসুফ, ইউনুস, শহীদ, জাহাঙ্গীর, রাহাত প্রমুখ।
মাইকে তখন চলতে থাকে প্রতিথযশা গুণী শিল্পী খসরু”র কালজয়ী দেশপ্রেমের গান। অতঃপর বোম্বে গ্রীলের পক্ষ থেকে সকলকে সুস্বাদু বিরানি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরিশেষে সভাপতি দূর দূরান্ত থেকে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।