চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বিলের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২০ জুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পত্তন ইউনিয়নের টান মনিপুর এলাকায় বিলের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সকালে সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পত্তন ইউনিয়নের টান মনিপুর এলাকায় বিলের পাশে কচুরিপানার মধ্যে এক যুবকের লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গলাকাটা অজ্ঞাত এক যুবকের লাল উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ মধ্যে হবে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহটি গত কিছু দিন আগের হবে। মরদেহের শরীরে পচন ধরেছে। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চার প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় নুরুল আবছারও ছিলেন স্কুুল কর্মচারী। তার প্রপিতামহ বাদশা মিয়া, দাদা ছেরাজুল হক, বাবা মুন্সি মিয়া, এরপর নুরুল আবছার কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর বয়সে যোগ দেন মিরসরাই উপজেলার শতবর্ষী জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৪৮ বছরের পথচলায় নুরুল আবছার বিদ্যালয়ের শেষ ঘণ্টা বাজিয়ে কর্মজীবনের সম্পাপ্তি ঘটান। শিক্ষার্থীরা তাকে ‘আবছার কাকু’ বলে সম্বোধন করেন, অন্যদিকে শিক্ষকরা ডাকতেন ‘আবছার ভাই’ বলে।
প্রায় পাঁচ দশকের কর্মজীবন শেষে অবসরজনিত কারণে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেন তিনি। একজন কর্মচারীর বিদায় অনুষ্ঠান রাজকীয় হয়ে উঠল বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট সবার মায়া, মমতা, ভালোবাসা আর আন্তরিকতায়। বিদায় সব সময়ই বেদনার। সেই বিদায় বেদনা ছাপিয়ে কখনো কখনো স্মরণীয় হয়ে ওঠে।এই স্কুুলের ইতিহাসে স্মরণীয় এক বিদায় সংবর্ধনা পেলেন নুরুল আবছার।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নিতাই দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম, আছিউর রহমান, রেজাউল করিম, তারেক নিজামী, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য আবু সুফিয়ান চৌধুরী, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, মারিয়া আক্তার, কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস হাবিবা, মেহেদী হাসান, তাহসিনা তাবাচ্ছুম তানিশা, বিবি ফাতেমা, ওবায়দুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত স্কুল কর্মচারী নুরুল আবছারও। তিনি তার বক্তব্যে এমন আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবর্ধনার পূর্বে ঘণ্টা বাজিয়ে নিজের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটান তিনি।
এরপর স্কাউট দলের সদস্যরা তাকে কাঁধে তুলে সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে যান। এক সময় শিক্ষকদের পাশাপাশি এক সারিতে অনুষ্ঠানে বসার সুযোগ না হলেও আজ অনুষ্ঠানের মধ্যমনির আসন অলংকৃত করেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনায় সহকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অনেকে তার কর্মময় জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন, সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
নানা উপহার সামগ্রী, অর্থ সহায়তা দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে সবার মুখে মুখে একটি কথাই ফুটে উঠে, নুরুল আবছার একজন সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। ভালো আমানতকারী ছিলেন। যুগযুগ ধরে তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। কাজের ক্ষেত্র যতই ছোট হোক না কেন, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে মানুষের অপার ভালোবাসা লাভ করা যায় সেটাই প্রমাণ করলেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনা শেষে অনেকটা বরের সাজে নুরুল আবছার ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নেন প্রিয় শিক্ষাঙ্গন থেকে। স্কাউট দলের সদস্যরা বাদ্যের তালে তালে এবং বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে তাকে জোরারগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বাড়ি পৌঁছে দেন। এ সময় অন্য রকম এক আবহ সৃষ্টি হয়।
সকলের ভাষ্য, একজন কর্মচারীর বিদায়ও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আবরণে রাজকীয় হতে পারে। তা তার নিজ কর্মগুণেই তিনি অর্জন করেছেন। সমাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সেই নুরুল আবছাররা আজীবন বেঁচে থাকুক আমাদের সমাজে।
সংবর্ধিত স্কুুল কর্মচারী নুরুল আবছার বলেন, ‘১৬০ টাকা বেতনে এই স্কুুলে চাকরি শুরু করি। এরপর এক পর্যায়ে ৩ মাস মিলে সরকারিভাবে ৩৬০ টাকা বেতন পেতাম। আজ আমার বিদায়ের মধ্যদিয়ে আমাদের ৪ প্রজন্মের কর্মচারী হিসেবে চাকরি জীবনের সমাপ্তি হলো। আমার চাকরি জীবনে অনেক শিক্ষক, কর্মচারী এই স্কুলে চাকরি করেছেন, চাকরি ছেড়েছেন। তবে আমাকে যেভাবে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে তা আমি আগে কখনো দেখিনি। আমি বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলের সকলের প্রিয় নুরুল আবছার ভাই তার জীবনের বেশির ভাগ সময় এই স্কুুলের জন্য দিয়ে গেছেন। তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই স্কুুলের প্রতিটি ধূলিকণা নুরুল আবছারের অবদানকে স্মরণ করবে। তার অবসরকালীন সময় ভালোভাবে কাটুক এ কামনা করি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কর্মচারী নুরুল আবছার তার জীবনের মূল্যবান সময়টুকু এই বিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন। তার বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানের মাঝেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এখানে শেখার আছে যে বিষয়টি সেটা হলো ভালো কাজ করলে সততার সাথে চললে তার কখনো না কখনো স্বীকৃতি মেলে। অবশেষে নুরুল আবছারও তার ভালোভাবে কাটানো কর্মজীবনের স্বীকৃতি পেলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে নুরুল আবছার এই স্কুলে কর্মচারী পদে যোগ দেন। আমার খুবই বিশ্বস্ত তিনি। তিনি এতটাই বিশ্বস্ত যে বিদ্যালয়ের সব লেনদেন তিনিই করতেন। অনেক সময় ৮-১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতেন আবার বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ৮-১০ লাখ টাকা তুলে আনতেন। আমি এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করছি প্রায় ১৮ বছর। এর মধ্যে তিনি কখনো ১ টাকাও এদিক-সেদিক করেননি। এ রকম বিশ্বস্ত কর্মচারী আমরা আর পাব কি না জানি না। তিনি বেশি শিক্ষিত না হলেও প্রতিটি ফাইলপত্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেখভাল করতেন।
অনলাইন ডেস্ক :
স্কুলে পৌঁছানো হলো না নবম শ্রেণির ছাত্রী রুবাইয়া খাতুনের। বাবার সাথেই সে অনন্তের পথে পাড়ি জমিয়েছে। আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেছে বাবা আশরাফুল ইসলাম (৫২) ও তার মেয়ে রুবাইয়া খাতুনের (১৫)। সকাল আটটার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী থানার খোশবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ভিআইপি অটোমোবাইলস (প্রা: লি:) এর একটি বাস (ঢাকা মেট্রো- ব ১৪-৮১৫২) তীব্র গতিতে আসছিল। বাসটি ভুল্লীর খোশবাজার মাদ্রাসার দক্ষিণে পোস্ট অফিসের কাছে পৌঁছালে সামনে থাকা একটি তিন চাকার ‘পাগলু’ গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ‘পাগলু’ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী থানার খুলিশাকুড়ি পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা মো. আশরাফুল ইসলাম। তার একমাত্র যাত্রী ছিল তার মেয়ে রুবাইয়া খাতুন।
বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। বাবা তার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।
বাসের ধাক্কায় ‘পাগলু’ গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই এর চালক আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তার নিথর দেহ পড়ে থাকে রাস্তার ওপর। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়ে রুবাইয়াকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা। বাসটিকে আটক করা গেলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। বোদা হাইওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) অভিযানে গত ডিসেম্বর মাসে ২০ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
৪ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সিগন্যালস্ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ডিসেম্বর মাসে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২০,১৮,৩২,৫২৯ টাকা মূল্যের ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য জব্দ উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে ১৯,৪৫,০৯,৬৭৯ টাকা মূল্যের চোরাচালানী মালামাল এবং ৭৩,২২,৮৫০ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে- ১৬,১০০ পিস, সিটি গোল্ড চেইন- ১,৩৭,৯৭৬ পিস, চশমা/সানগ্লাস ২০,৫২৪ পিস, প্রসাধনী সামগ্রী- ৭৭,২০১ পিস, ইনজেকশন/ঔষধ- ৭৪,৪১৯ পিস, পাওয়ার ব্যাটারী- ৯৬,০০০ পিস, শাড়ী- ৫২৮ পিস, থ্রি-পিস- ১০০টি, হাজী রুমাল- ৩২,২০৩ পিস, সিগারেট- ১,৩৯,৮০০ পিস, জর্জেট থান কাপড়- ২৫৪৮ মিটার, ডেন্টাল গার্ড- ৩৭,৩২০ পিস, চকলেট- ২৫,৬৫৫ পিস, ভারতীয় ওটস্- ৪৬৩ কেজি, কিসমিস- ৩০০ কেজি, উলের শাল- ৮০ পিস, মোবাইল ফোন- ১২ পিস, রসুন- ৯৫ কেজি এবং চিনি- ১৫০ কেজি।
সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এই ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে যেন কোন প্রকার চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। আজ ১৬ জুলাই বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে এই হামলা চালানো হয়।
সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।
এর আগে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এরও আগে পুলিশের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রার কথা রয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা আগমন করবেন। তাদের পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ফেসবুকে কমেন্ট করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ ১৬ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের পাঠান বাড়ি ও ঐক্কি বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের পাঠান বাড়ি ও ঐক্কি বাড়ির দুই যুবকের মধ্যে ফেসবুকে কমেন্ট নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গত ১৪ জুলাই ঐক্কি বাড়ির মৃত সুরত আলীর ছেলে আরজু মিয়া ও তার মেয়ে আকলিমা বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা করে পাঠান বাড়ির লোকজন। উক্ত ঘটনার পর গত দুইদিন ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে আশপাশের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অমিতাভ দাস তালুকদার জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজয়নগর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিযন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে।