চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের এক দিন পর কচুক্ষেত থেকে মো. রাহিম নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২০ জুন শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর খালেরপাড় থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. রাহিম (১০) সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার আসাদ আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শিশু রাহিম সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়ার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন। পরে ২০ জুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ির কাছে সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর খালেরপাড়ের কচুক্ষেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা শিশুটির স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শিশুর বাবা আসাদ আলী জানান, বছর খানেক আগে তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এরপর শিশুটি তার নানি বাড়িতে থাকতেন। শিশুটির মা জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার ছেলেকে কারা কী কারণে হত্যা করে থাকতে পারে – এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, নিহত শিশুটির মুখ এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল্লাহ সড়কের পাশে আমিনপাড়া গ্রামে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে শাহবাজপুর আমিনপাড়া এলাকায় পানি নিস্কাশনের ড্রেইনসহ বিশাল এরিয়া নিয়ে কৃষিজমিতে মাঠি ভরাট করে হাউজিং প্রজেক্ট তৈরী করেছে। এই প্রজেক্টের পাশের সড়কের নীচে পানি নিস্কাশনের ড্রেন রয়েছে। এই ড্রেনের সামনেও মাটি ভরাট করা হয়েছে। তাই কোন কাজে আসছেনা ড্রেন। বৃষ্টির পানি জমে এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর সহ কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অত্যন্ত দুর্দশায় ভুগছেন আমিনপাড়ার লোকজন।
স্থানীয় ভুক্তভোগী হাজি শরিফ চৌধুরী, আলমগীর চৌধুরী ও শহিদ মিয়া চৌধুরী বলেন, পানি নিস্কাশনের ড্রেইনসহ জমিগুলোতে মাঠি ভরাট করার কারণে আমিনপাড়া ও যাদবপুর এলাকার বাড়িঘরসহ রাস্তায় পানি উঠে গেছে। এই পানি গুলো সরানোর ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে কয়েক ধরে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। এছাড়াও প্রায় শতবিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমরা কোন ফসল করতে পারছিনা। এ সমস্যায় তিনবছর ধরে ভুগছি। বিশেষ করে শিশুরা পানিতে ডুবে যাওয়ার আতংক রয়েছে।এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজের যাইতে পারছে না।
ভুক্তভোগীরা বলেন, হাজি কুদ্দুছ, সিরাজ মিয়া, মামুন মিয়া ও গরু ফার্মের মালিক সিরাজ মিয়া এই প্রজেক্ট করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদল বলেন, আমিনপাড়া ও যাদবপুর এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। আগে কখনো এখানে জলাবদ্ধতা ছিল না। কয়েক বছর আগে কয়েকজন মিলে জমিগুলোতে প্লট আকারে বিক্রি করার জন্য মাটি ভরাট করে। এজন্য এই সমস্য হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে মাটি ভরাট করার জন্যই এ সমস্যায় কয়েক বছর ধরে ভুগছেন এলাকাবাসি। এছাড়াও পানি নিস্কাসনের নালাটি বন্দ হওয়ার জন্য এই সমস্য হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরনাপন্ন হয়েছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি এর সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জুয়া খেলার সময় ৬ জুয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ৩ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়ার শরীফ মিয়ার বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুট্টাপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়া (২৭), একই এলাকার মোঃ সাচ্চু মিয়া (৩৯), আনিস মিয়া (২৫), আব্বাস মিয়া (২৯), শান্ত মিয়া (৩২) মোঃ শরিফ (২৯)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৩ টার পশ্চিম কুট্টাপাড়ার শরীফ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার ৬ হাজার ১১০ টাকা ও বিভিন্ন জাতের তাস উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল রবিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান উপজেলার চুন্টা ও ভুইশ্বর বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র রমজান মাসে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার চুন্টা ও ভুইশ্বর বাজারে অভিযান চালিয়ে চুন্টা বাজারে নামহীন, অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর শিশু খাদ্য বিক্রয়ের অপরাধে মেসার্স জয় দূর্গা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি শিশু খাদ্যগুলো জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও মেয়াদোর্ত্তীন ঔষধ বিক্রয়, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন ও বিক্রয়ের অপরাধে ভুইশ্বর ও চুন্টা বাজারের আরো ৪টি দোকানকে ১১ জরিমানা করা হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে শারদীয় দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ক্যাপ্টেন আহমেদ, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৌহিদ, সরাইল আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিউটি আক্তার, সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আনিসুল ইসলাম ঠাকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মাহমুদ আলীসহ (ডি এম দুলাল) বিভিন্ন পূজা মন্ডপ কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এছাড়া বিভিন্ন স্তরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলার ৪১ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবন ও পাচারের দায়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ৭২ কেজি গাঁজা, ৩৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ও গত বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলা সদরের পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে মোঃ আকরাম মিয়া (২৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার মোঃ মাহফুজুর রহমানের ছেলে ইফরাত মাহফুজ (২১) ও জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে কানু মিয়া-(৩১)। এর মধ্যে আকরাম মিয়া ও ইফরাত মাহফুজকে কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আকরাম মিয়াকে ১ বছরের ও ইফরাত মাহফুজকে ৮ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বুধবার বিকেল ৫টার সময় উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মাদক সেবনের সময় ইফরাত মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে মাদক সেবনের সময় আকরাম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রাম থেকে ৭২কেজি গাঁজা এবং ৩৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক পাচারকারী কানু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় মাদকদ্রব্যবাহি একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।