অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়া কাপ আর্চারিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতলো বাংলাদেশের আবদুর রহমান আলিফ। আজ ২০ শুক্রবার সিঙ্গাপুরে চলমান এশিয়া কাপ আর্চারির রিকার্ভ পুরুষ এককের ফাইনালে ৬-৪ সেট পয়েন্টে জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে হারিয়েছেন আলিফ।
এর আগে বিশ্বকাপ, এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান আর্চারি গ্রাঁ প্রিঁর মতো আসরে অংশ নিলেও কখনও রিকার্ভ এককে পদক জিততে পারেননি তিনি। অবশেষে এশিয়া কাপ আর্চারিতে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের এই আর্চার। এই আর্চারের সুবাদে সিঙ্গাপুরে উড়লো লাল সবুজের পতাকা।
প্রথম দুই সেটে এগিয়ে ছিলেন আলিফ। প্রথম সেটে যেখানে আলিফের স্কোর ছিল ২৮, গাকুতোর স্কোর ছিল ২৭। পরের সেটে আলিফ করেন ২৯ এবং গাকুতো ২৮ পয়েন্ট স্কোর করেন। এরপরই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান জাপানি আর্চার। পরের দুই সেট আবারও জিতে খেলায় সমতা আনেন। তৃতীয় সেটে গাকুতো করেন ২৮। আলিফ করেন ২৭। চতুর্থ সেটেও এগিয়ে যান গাকুতো। স্কোর করেন ২৭। আলিফ ২৬ স্কোর করে পিছিয়ে পড়েন। এরপর পঞ্চম সেটে গড়ায় খেলা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ শটে আলিফ করেন ২৯। আর গাকুতো স্কোর করেন ২৬।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এশিয়ান যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ এককের ফাইনালে চীনা তাইপের আর্চারের কাছে হেরেছিলেন বিকেএসপি থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ। পাবনার ছেলে এবার সিঙ্গাপুরের মাঠে চমক দেখালেন। রোমান সানা ও হাকিম আহমেদ রুবেলের পর তিনি নতুন করে আশা জাগাচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দল আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের জার্সি উন্মোচন করেছে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে মার্কিন মুলুকে দল পাড়ি জমানোর পরও টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সির দেখা মেলেনি। দল ঘোষণার পর আকাঙ্ক্ষিত জার্সি গায়ে চড়ানো হয়নি শান্ত বাহিনীর কারও।
তবে একটু দেরিতে হলেও অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জার্সির দেখা মিলল। ২৬ মে রবিবার রাতে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ দলের জার্সি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দলে থাকা ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ জার্সি পরা একটি ছবি বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থানরত দলের টিম হোটেলে তোলা।
জার্সির নকশার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি বিসিবি। ছবিটি পোস্ট করেছে লিখেছে, ‘প্রথমবারের মতো এটা দেখুন! খেলোয়াড়েরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে (শুরু হতে যাওয়া) ২০২৪ আইসিসি ছেলেদের বিশ্বকাপের অফিশিয়াল কিটে সেজেছে। ’
মধ্যরাতে ছবি প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল। ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই জার্সি কেমন লেগেছে সে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিসিবির প্রকাশিত ছবির তলায়।
প্রতিবারের মতো এবারও লাল-সবুজের মিশেলে বাংলাদেশের ঐতিহ্য আর গৌরব ধারণ করেই বিশ্বকাপের জার্সি তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য এবারের জার্সিতে সবুজ রঙের আধিক্য। লাল রঙের ব্যবহার হয়েছে শুধু স্ট্রাইপ হিসেবে, জার্সির কাঁধ থেকে বাহু পর্যন্ত। বুকের দুই ধারে হালকা সোনালি স্ট্রাইপও আছে।
জার্সির সামনে সাদা রঙে লেখা বাংলাদেশের নাম, পেছনে খেলোয়াড়ের নাম ও নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। বুকের একপাশে বিসিবি, অন্য পাশে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লগো।
যাই হোক, টুর্ণামেন্ট শুরুর মাত্র ৫ দিন বাকি থাকতে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন হলো।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পড়েছে ‘ডি’ গ্রুপে। গ্রুপ পর্বে নাজমুল-সাকিব-মোস্তাফিজদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বাংলাদেশের প্রথম দুটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে, পরের দুটি ম্যাচ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল সুস্থ দেহ সুন্দর মন, ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ এর কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে এ প্রতিযোগিত অনুষ্ঠিত হয়।
কাবাডি এবং দাবা প্রতিযোগিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাকির ছোটন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সুস্থ দেহ সুন্দর মন সঠিক রাখতে হলে খেলাধূলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন নিয়মিত খেলাধূলা করলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে থাকা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের এই দলে নেই কোনো চমক। যথারীতি বাবর আজমের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন অবসর ভেঙে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।
এর আগে ২ মে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। এক বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি তখন জানিয়েছিল, এই ১৮ জন থেকে ৩ জন কমিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজানো হবে।
১৮ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়া তিনজন হাসান আলী, মোহাম্মদ ইরফান ও আগা সালমান। এর মধ্যে হাসানকে গত ২২ মে দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাইম আইয়ুব, আব্বাস আফ্রিদি, উসমান খান, আজম খান, আবরার আহমেদ-এই পাঁচজন এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালের পর আমির এই প্রথম আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন। ইমাদ সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দলের বাকি ৮ জন সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ভারত, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, উসমান খান, আজম খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস মেয়েরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরের পর্বের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। স্লো উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে দুই উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সুমাইয়া আক্তারের দলকে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অজি মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেস মেয়েরা। দলীয় ১৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সুমাইয়ার দল। এদিন রান সংগ্রহে ব্যর্থ হন, আগের দিন নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশকে চাপ থেকে মুক্ত করা অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার এবং সাদিয়া।
তবে অজিদের বিপক্ষে সহ-অধিনায়ক আফিয়া আসিমা ইরার ব্যাটে লড়ার পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন ইরা। সুমাইয়া সুবর্ণার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান। আর কেউ দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯১ রানের স্বল্প পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বল্প পুঁজির জন্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলীয় ৫০ রনে দ্বিতীয় উইকেট হারাতেই ছন্দপতন হয় অজিদের। টাইগ্রেসদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে, মন্থর হয়ে যায় রানের গতিও। একপর্যায়ে পাহাড়সম চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে স্বল্প পুঁজির জন্য শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। অজিরা ৮ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতেও হারলো বাংলাদেশ। এতে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো ভারত। আজ ৯ অক্টোবর বুধবার দিল্লিতে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক শান্ত। তিনি ১৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন সাঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে ১০ রান করেছিলেন তিনি।
পরের ওভারের শেষ বলেও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার শেষ বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়েও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তকে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা সূর্যকুমার যাদব।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৫ রান তোলে ভারত। কিন্তু এরপরও ভারতকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। রিংকু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডির ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বোলাররা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলা নিতিশকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
পরে ২৯ বলে ৫৩ রান করা রিংকু সিংকে আউট করেন তাসকিন। এ ছাড়া ১৯ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৬ বলে ১৫ রান করেন রিয়ান পারাগ। সবশেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রিশাদ, সমান ওভারে ৫০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। এ ছাড়া তাসিকন ও মুস্তাফিজ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দলের হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন ইমন। মিরাজও করেছেন ১৬ রান। এ ছাড়া বলার মতো তেমন কেউ রান করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ২০ ওভার ২২১/৯
বাংলাদেশ : ২০ ওভার ১৩৫/৯
ফল : ভারত ৮৬ রানে জয়ী