অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সংঘাতের তীব্রতা ‘ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি’ ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সতর্ক করে বলেন, এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত দ্রুত ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যেতে পারে। সামাজিকমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্র : বিবিসি
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আজকে (শনিবার) ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বলপ্রয়োগে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি এমন একটি অঞ্চলে বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে যা এরইমধ্যে চরম অবস্থায় রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। এই সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে–যার পরিণতি বেসামরিক নাগরিক, অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে।
আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে উত্তেজনা কমাতে এবং জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য নিয়মের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিপজ্জনক সময়ে বিশৃঙ্খলার আবর্ত এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক কোনো সমাধান নেই। সামনের একমাত্র পথ হলো কূটনীতি। একমাত্র আশা হলো শান্তি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি জানিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। মার্কিন সব বি-২ বোমারু বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৩ জন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৯৩ জন নিহত হন। আহত হন আট হাজার ৭৩০ জন। হামাস ইসরায়েলের প্রায় আড়াইজনকে জিম্মি করে।
ইসরায়েল পরে গাজায় হামলা শুরু করে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৪৬৮ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত চার হাজার ৮০০জন।
জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা বলছে, যুদ্ধে নিহতদের এক তৃতীয়াংশই নারী। অন্তত ১০ হাজার নারী এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সূত্র : আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করছেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদসচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধানরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া প্রায় এক হাজার রিজার্ভ সেনাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়াল জামির বৃহস্পতিবার তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর (আইএএফ) কয়েকশ’ সদস্যসহ বরখাস্তকৃতদের অনেকে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
চিঠিতে তারা গাজায় চলমান যুদ্ধকে ‘নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত’ বলে উল্লেখ করেন।
তারা আরো লেখেন, যুদ্ধ চালিয়ে বন্দিদের মুক্ত করা সম্ভব নয়, বরং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই কেবল এর সমাধান হতে পারে।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল জামির ‘গুরুতর অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, যারা এই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে, তারা সেনাবাহিনীতে ফিরে আসার যোগ্য নয়।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও সেনাদের স্বাক্ষরিত এই চিঠির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি যুদ্ধের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম অনুসারে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারী উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড্যান হালুৎস, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) নিমরড শেফার এবং সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান কর্নেল (অব.) নেরি ইয়ারকোনির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
চিঠিতে তারা যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চাপ সৃষ্টি করতে সব ইসরায়েলি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যানুযায়ী, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ এখনও সক্রিয় রিজার্ভ ডিউটিতে রয়েছেন, বাকিরা সাবেক বা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় শপিং মলের কাছে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, স্থানীয় সময় ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ায় রুজভেল্ট বুলেভার্ড ও কটম্যান অ্যাভিনিউয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কমপক্ষে দুইজন আরোহীসহ বিমানটি একটি শপিং মলের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থলে ‘বড় ধরনের ঘটনা’ ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে জরুরি ব্যবস্থাপনা কার্যালয়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। এরপর ঘটনাস্থলে দ্রুত জরুরি উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছান।
দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। বিমানের ধ্বংসাবশেষ একাধিক যানবাহনে আঘাত করেছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটিতে দুজন আরোহী ছিলেন। তবে স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটিতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্তের ফলে রুজভেল্ট মলের কাছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য কাজ করছে জরুরি উদ্ধারকারীরা।
এরআগে ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় হেলিকপ্টার ও বিমান উভয়ই বিধ্বস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টার ও বিমানে আরোহীদের ৬৭ জনের সবাই নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীদের স্থানান্তর এবং ওই উপত্যকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা জাতিগত নিধনের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরো বলেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে চিরকালের জন্য অসম্ভব করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হব এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাব, এগুলোকে সমতল করবো এবং সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।
গাজাবাসীর মধ্যপ্রাচ্যের এক বা একাধিক দেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি বলতে চাইছি যে, তারা সেখানে আছে কারণ তাদের কোনও বিকল্প নেই। তাদের কী আছে? এটি এখন ধ্বংসস্তূপের একটি বিশাল স্তূপ।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশটির মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়েরই তীব্র বিরোধিতার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: ডেইলি ট্রিবিউন