অনলাইন ডেস্ক :
রাতের আঁধারে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র (ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহান) পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই হামলার উদ্দেশ্য ইরানের সরকার বদল করা নয় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান। তার মতে, মার্কিন হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র ইরানের পরমাণু হুমকি ঠেকানো, এই অভিযানের উদ্দেশ্য কখনোই সরকার পতনের ছিল না, এখনো না।
আজ ২৩ জুন সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বাহিনীর হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র পরমাণু হুমকি ঠেকানো, সরকার পরিবর্তন নয় বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ অভিযানের উদ্দেশ্য কখনোই সরকার পতন ছিলো না, এখনো না। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে ছিলেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ-এর চেয়ারম্যান এয়ারফোর্স জেনারেল ড্যান কেইন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনে মার্কিন বাহিনী ফোর্দো, নাতাঞ্জা ও ইসফাহান-এ অবস্থিত ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ‘নির্ভুল ও পরিকল্পিত হামলা’ চালায়। হেগসেথ বলেন, এই হামলা “যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা” এবং “আমাদের সেনাদের সুরক্ষা” নিশ্চিত করতেই চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কার্যত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এটিকে ‘দুঃসাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত’ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি প্রমাণ করেছে-যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি কেবল কথা নয়, কাজেও রূপ নেয়।
হেগসেথ নিশ্চিত করেন, হামলার লক্ষ্য ইরানি সেনা বা জনগণ ছিলো না। কেবলমাত্র ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে ধ্বংস করাই ছিল উদ্দেশ্য।
অনলাইন ডেস্ক :
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হোটেলে এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস নৈশভোজে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রর সঙ্গে ছবি তোলেন।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ দুপুরে ব্যাংককে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত মন্ত্রী জিরাপরন সিন্দোপারি।
অনলাইন ডেস্ক :
থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জনকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ওয়াশিংটন। ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১৪ মার্চ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা বলেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।
মার্কো রুবিও আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘূ উইঘুরদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সরকার। যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে- তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেসব দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনে এই উইঘুররা অব্যাহত নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার হচ্ছে।
তবে ওয়াশিংটনের থাই দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
প্রসঙ্গত, এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও থাইল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে— এমন কোনো রেকর্ড নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটি নিরুৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ঠিক কতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তারা বলেছেন, শুধু কর্মকর্তারই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতের আগ্রা। শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টির জেরে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমনই, যে তাজমহলের ছাদ চুঁইয়েও পড়ছে পানি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, হাঁটুপানি জমেছে তাজমহল প্রাঙ্গণের বাগানেও। গত বৃহস্পতিবার থেকেই তাজমহল প্রাঙ্গণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জলে ডুবে গিয়েছে তাজমহলের একটি বাগান। গোটা এলাকা জুড়ে শুধু পানি আর পানি। তাতেও উৎসাহী পর্যটকদের কমতি নেই। সেই দৃশ্য আবার মুঠোফোনে বন্দি করে রাখছেন কেউ কেউ! ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের (এএসআই) আগ্রা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে তাজমহলের মূল গম্বুজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে পানি। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। শনিবার এএসআইয়ের মুখ্য সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজকুমার পটেল বলেছেন, ‘‘তাজমহলের মূল গম্বুজের ছিদ্রটি আমাদের নজরে এসেছে। পরিদর্শনের পর প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এটি ক্ষয়ের ফলেই তৈরি হয়েছে। স্থাপত্যে বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে গম্বুজের অবস্থা খতিয়ে দেখেছি। এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
তাজমহল ইউনেস্কো দ্বারা অনুমোদিত বিশ্বের ঐতিহ্যমূলক স্থানগুলির অন্যতম। ১৬৫৩ সালে এই মোগল স্থাপত্যের নির্মাণকাজ শেষ হয়। প্রতি বছর অগণিত পর্যটক এর টানেই আগরা যান। ফলত তাজমহল আগরা-সহ সারা ভারতের পর্যটন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। স্থানীয় এক গাইড জানাচ্ছেন, তাজমহলকে ঘিরেই আমাদের মতো অনেকের কর্মসংস্থান। ফলে সরকারের উচিত এই স্মৃতিস্তম্ভের যথাযথ যত্ন নেওয়া।
প্রসঙ্গত, গত তিন দিন ধরেই ভারী বৃষ্টিতে ভিজছে দিল্লি এবং আগরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও জলমগ্ন রাজ্যের মফস্বল, গ্রাম। কোথাও কোথাও ডুবেছে চাষজমি। জলে ডুবেছে জাতীয় সড়কও। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল তাজমহলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সৌধের এই চিত্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
চীনে দেখা দেওয়া ভাইরাস এইচপিভি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আশংকাজনক হারে বাড়তে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরিক্ষা ডেস্ক চালু করা হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেস্ক চালু করেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেস্ক চালু করা সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান।
জানা যায়, নতুন করে দেখা দেওয়া এইচএমপিভি ভাইরাস রোধ করার জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। সতর্কতাস্বরূপ প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নামের তালিকাভুক্ত করে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা, যাত্রীদের মুখে মাক্স ব্যবহার, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধ রোধে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে একটি অস্থায়ী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এখানে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই ধাপে ৪ জন স্বাস্থ্য সহাকরী কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে করোনাকালীন যে সতর্কতাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছেনো হয়েছিল সেই সতর্কতাগুলোই এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, মাস্ক পরিধান করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে আগত যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এই ভাইরাস নিয়ে জনমনে যেন কোন ধরনরে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি।
অনলাইন ডেস্ক :
২৬তম অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে অংশ নিয়েছেন ৬ জন প্রবাসী স্কাউট লিডার। ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত জাম্বুরিতে ৩৩টি দেশের স্কাউট প্রতিনিধি দল যোগদান করছেন।
জাম্বুরিতে ১২ জানুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বাইসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী মো. আলাউদ্দিন আলোক (উডব্যাজার) এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি স্কাউটার প্রতিনিধি দল অংশ নেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এএলটি, সরদার মোহাম্মদ খালেদ পিএস পিআরএস, মোঃ দেলোয়ার হোসেন উডব্যাজার ও সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশন, সরকারী তিতুমীর কলেজের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল করিম ভূঁইয়া এবং মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাপ্পী।
মো. আলাউদ্দিন আলোক জানান, পৃথিবীর ১৭৪টি দেশকে নিয়ে গঠিত বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। এর প্রতিটি দেশের স্কাউটরা বিশ্বভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। বিশ্ব ব্যক্তিত্বের এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান করতে জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করে আমরা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার।