চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির সময় তিন জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ২৪ জুন মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট সাইফের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করার সময় তিনজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ হাবিব মিয়া ছেলে মোঃ মোকলেস মিয়া (৫৫), মৃত শামসু মিয়ার ছেলে নয়ন (৩০) এবং আব্দুল আলীর ছেলে মোঃ আরাফাত আলী।
অভিযানে গ্রেফতার করার পর তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ অভিযানকে ঘিরে স্থানীয় জনগণের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
খাটিহাতা এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন যানবাহন থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি চাঁদা তুলে আসছে। একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি সড়ক দখল সন্ত্রাসী প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান আব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড (খাটিহাতা) নামক স্থানে চাঁদা আদায় করার একটি ভিডিও ধারণ করে সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড দেওয়া হয় এবং সাথে সাথে এই ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওতে এক চাঁদাবাজকে বলতে শোনা যায় ৪০ বছর ধরে এভাবেই গাড়ি থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। ভিডিওটি সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসলে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এদের পিছনে কারা এই চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে এটি খতিয়ে দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (খাটিহাতা) বিশ্বরোডের গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটিকে চাঁদাবাজমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও যাত্রী সাধারণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় মো. হাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক ইটখোলার শ্রমিক নিহত হয়েছে। ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের দৌলত পাড়ার ব্রিকস ফিল্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হাফিজুর রহমান একই এলাকার মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাফিজুর ব্রিকস ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতো। ভোর ৫টার দিকে মাটিবাহী ট্রাক্টর মাটি ফেলতে গিয়ে ভুলবশত হাফিজুরকে চাপা দেয়। পরে ইটখোলার কয়েকজন শ্রমিক হাফিজুরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নামধারি শ্রমিক নেতা আরব আলী (৩৬)কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার খাটিহাতা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আরব আলী সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে আরব আলী মোটর সাইকেলে করে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার মোটর সাইকেল তল্লাশী করে মোটর সাইকেলের সিটের নিচে লুকানো থাকা একশত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আফজাল হোসেন আরো বলেন, আরব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে প্রথম জীবনে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে পলিথিন বিক্রি করতো। পরবর্তীতে সে টেম্পু চালাতো। এক সময় সে ডাকাত চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তার বিভিন্ন থানায় বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকের প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, আরব আলী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সহ প্রচার সম্পাদক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ তাকে তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছিলো জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই মামলায় সে বেশ কিছু দিন হাজতবাস করেন ও পরে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে চোর সন্দেহে বজলু মিয়া (২২) নামে এক যুবককে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে। এ সময় গণপিটুনিতে বজলু মিয়ার সাথে থাকা সুজন মিয়া নামে অপর যুবকও আহত হয়। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত বজলু মিয়া লোপাড়া গ্রামের আলী আফজলের ছেলে। আহত সুজন মিয়া একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত সুজন মিয়াকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে বজলু ও সুজন মিয়া একই গ্রামের মৃত আলফাজ মিয়ার বাড়িতে আলফাজ মিয়ার কন্যা রাজিয়া বেগমের ঘরে চুরি করতে যায়। রাজিয়া বেগম বিষয়টি টের পেলে বজলু ও সুজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজিয়া বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা বজলু ও সুজনকে ধরে আলফাজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে বেদম মারধোর করলে বজলু মিয়া মারা যায় ও সুজন মিয়া আহত হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে নিহত বজলুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল হাই বলেন, সোমবার গভীর রাতে বজলু মিয়ার মা ও তার বোন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন, গ্রামের লোকজন বজলু মিয়াকে ঘর থেকে তুলে আলফাজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে গেছে।
পরে আলফাজ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখি বজলু ও সুজনকে গ্রামের লোকজন আলফাজ মিয়ার ঘরের বারান্দার একটি পিলারের সাথে বেঁধে মারধোর করছে। তখন গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি তারা রাজিয়া বেগমের ঘরে চুরি করতে আসছিলো। আমি সুজন ও বজলুকে চুরির ঘটনা জিজ্ঞেস করলে তারা কিছু বলেনি। পরে আমি তাদের হাতের বাঁধন খুলে দেই।
এক পর্যায়ে ফজর নামাজের আজান পরলে আমি তাদেরকে যেন আর মারধোর করার অনুরোধ করে সেখান থেকে চলে যাই। সকালে খবর পাই বজলু মিয়া মারা গেছে। ইউপি সদস্য আবদুল হাই আরো বলেন, সুজন মিয়ার স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তবে বজলুর বিষয়ে কখনো কোন খারাপ কথা শুননি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জেনেছি, সুজন ও বজলুর স্বভাব চরিত্র ভালোনা।
সোমবার গভীর রাতে তারা এলাকার মৃত আলফাজ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার কন্যা রাজিয়া বেগমে ঘরে চুরি করতে গেলে গ্রামবাসী তাদেরকে ধরে গণপিটুনি দিলে বজলু মারা যায় ও সুজন আহত হয়। আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের একদিন পর সরাইল তিতাস নদী থেকে শহিদ মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিতাস নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শহিদ মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাণীদিয়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ রবিবার অরুয়াইল দক্ষিণ বাজার এলাকার তিতাস নদীতে একটি লাশ নদীতে ভাসতে দেখেন যাত্রীবাহী নৌকার লোকেরা।
খবর পেয়ে শহিদ মিয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শহিদ মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন।
শহিদ মিয়ার জামাতা কিতাব আলী মাস্টার বলেন, আমার শ্বশুর নামাজি লোক, অত্যন্ত পরহেজগার ছিলেন। কুলিয়ারচর থেকে নৌকায় করে বাঁশ আনার উদ্দেশ্যে শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরার কারণে আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। খোঁজ না পেয়ে শনিবার সকালে সরাইল থানায় জিডি করা হয়। তিতাস নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।
সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন বলেন, শহিদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় দালালসহ ৫ বাংলাদেশী নাগরিকে আটক করেছে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সদস্যরা।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে মাধবপুর দেবনগর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর এলাকার মৃত গনেশ সরকারের ছেলে পরিমল সরকার (৫৫), একই এলাকার লক্ষ্মী সরকারের ছেলে তাপস সরকার (৩৫) ও শ্যামল সরকারের ছেলে স্বপন সরকার (৪৫), বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রায় কুমার মজুমদারের ছেলে দুর্জয় মজুমদার (১৯), মাধবপুর উপজেলা দেবনগর এলাকার মৃত আবু সামার ছেলে দালাল মোহাম্মদ আলী (৬০)।
২৫ বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৫ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দালাল মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে তারা ভারতে চিকিৎসা ও কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
আটককৃত মানব পাচারকারী দালালসহ ৫ বাংলাদেশী নাগরিকদের মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অভিযান চলমান থাকবে।