চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন করতে রেলওয়ে পুলিশকে আরো সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশের সেবার মান বাড়ানোর বিষয়েও কাজ চলছে। আজ ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদ একথা বলেন। এর আগে তিনি আখাউড়া ও গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, রেলপথ ব্যবহার করে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের উপস্থিতি আরো বাড়ানো হবে। যেসব স্টেশনে এখনো পুলিশ মোতায়েন নেই, সেসব স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিপি আরও বলেন, কসবা রেলস্টেশনে একটি অস্থায়ী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এবং আখাউড়া রেলস্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এতে করে রেলপথে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। সরদার তমিজউদ্দীন বলেন, এখন থেকে রেলওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবাই মিলে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করব।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (এইচআরএম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স), রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স শেখ মো. রেজাউল হায়দার, ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মো. গোলাম রউফ খান, পিপিএম (বার), সিলেট রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান,আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের তদারকি কর্মকর্তা মোঃ এরশাদুর রহমান,আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. শফিকুল ইসলাম, স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট মো: নূর নবী,আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ ফেব্রুয়ারি। শুরু হলো রক্তে রাঙানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস-ভাষা আন্দোলনের মাস। বাঙালি জাঁতি পুরো মাসজুড়ে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাবে ভাষার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন তাদের। সবাই গেয়ে উঠবেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাঁতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল দিক। কারণ, এ মাসে পৃথিবীতে একমাত্র জাঁতি হিসেবে বাঙালিরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযঞ্জ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে। বাংলা একাডেমিতে বিকেল ৩টায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হবে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে ১৯৮৭ সালে শুরু হয় এ উৎসবের। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসেবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৬ হিজরি, ২০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর রেল সেতুতে ধাক্কা লেগে পণ্য বোঝাই একটি বাল্কহেড তলিয়ে গেছে। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ ১৪ জুন শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরবের একটি সড়ক, দুটি রেলসেতুর দুটি পিলার ও একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা বাল্কহেড নদীতে ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল থেকে সিলেকশন পাথরবাহী এম ভি রিফাত ইসলাম নামের একটি বাল্কহেড মেঘনা নদী দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
অরুয়াইলের মো. সাইমন নামের এক ব্যক্তি বাল্কহেডটির মালিক। সড়ক ও রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটির মাঝখান দিয়ে ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের একাধিক শ্রমিক জানান, অরুয়াইল থেকে একটি বাল্কহেড আশুগঞ্জের মেঘনা নদীতে আসে। সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাল্কহেডটি প্রথমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর মেঘনার নদীর পুরাতন রেলসেতুর দুই নম্বর পিলার এবং সর্বশেষ নতুন রেলসেতুর ২ নম্বর পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। নতুন রেলসেতুর পাশে আগে থেকে একটি জাহাজ ভিড়ানো ছিল। সেটির সঙ্গেও বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. রাশেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আশুগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী একটি বাল্কহেড সড়ক ও রেলসেতুর পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে বা ফুটো হয়ে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ অংশে ডুবে যায়। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। কেউ ভালো করে বিষয়টি দেখেওনি। ধারণা করা হচ্ছে বাল্কহেডে সিলেকশন পাথর বা বালু ছিল এবং এটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তবে এতে কেউ হতাহত হননি বা কেউ নিখোঁজ নেই। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ-এর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে বলে শুনেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ভোর পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। এটি কার, কোথায় থেকে আসছিল এবং কোন দিকে যাচ্ছিল, কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে কিছুই জানতে পারিনি। আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এটি নৌপুলিশের আওতায় পড়েছে। বাল্কহেডের মালিক এটি উদ্ধারের বিষয়ে হয়তো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কুতুবদিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে আব্দুল মোকাররম (৭), জান্নাতুল বকেয়া (৪) এবং তাবাসসুম (১৫মাস) নামের তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বাইগ্যার পাড়া আবছারের ছেলে আব্দুল মোকাররম (৭) এবং বিকেল ৩টার দিকে দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেকা বিবি পাড়ার মো. ইকবালের মেয়ে জান্নাতু বকেয়া (৪) ও সন্ধ্যা ৬টায় বড়ঘোপ ইউনিয়নের আজম কলোনীর ছোটনের মেয়ে তাবাসসুম (১৫মাস) মৃত্যুবরণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, আব্দুল মোকাররম ও জান্নাতুল বকেয়া পৃথক পৃথক স্থানে বাড়ির লোকজনের অগোচরে বাড়ির সামনে পুকুরে পানিতে ডুবে যায়। পরে, স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্স’কে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল ডিভাইস নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করছে। এর সুফল পেতে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্স’-এর প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের সামনে নতুন দ্বার উন্মোচন করছে এবং সেজন্য আমাদের উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন তার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে হবে, যেখানে সকল মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে জানবে। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি যথাযথ পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের উচিত মানুষের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তাভাবনা এবং এগিয়ে যাওয়ার ধারণার বিকাশের সুযোগ তৈরি করা। আমাদের উচিত শিক্ষাসহ সব খাতে এগুলো ব্যবহার করা।’
নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে এবং ধাপে ধাপে কী করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জনশক্তি আমাদের বড় শক্তি, এবং সেই অনুযায়ী আমাদের জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে।’
তিনি বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয়ভিত্তিক অধ্যয়নের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, যেখানে মানুষ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’
দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করি, তখন সারা বিশ্বে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছিল, কিন্তু আমরা তাদের পেছনে ছিলাম। এতেই বোঝা যায় যে আমরা কতটা পিছিয়ে ছিলাম তখন।’
এরপর তিনি বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে, আমরা আজ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি এবং এখন অনেক উন্নত দেশও আমাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে।’