নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
সাবেক ইউপি সদস্য মধু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ ও আমির হোসেন ফারুক ।
বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগ নেতা এম.এ কাশেম, মোহাম্মদ গোলাম আলী, মো: ইলিয়াছ মিয়া, গৌরদাস ভোমিক, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনে মোঃ গোলাম হোসেনকে সভাপতি ও ইউনুস মিয়া ও সোহরাব হোসেনকে সহ-সভাপতি, মোঃ ইলিয়াছ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,শাহেদ মিয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , মোখলেছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মাত্র ১৩৫ (সাড়ে ৪ মাস) দিনে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে ১০ বছরের শিশু ফজলে রাব্বুল। এ উপলক্ষে আজ ২৬ জুলাই শনিবার দুপুরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর চকবাজার হজরত শাহজালাল (রহ.) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল ও এতিমখানা এবং হজরত ফাতেমাতুজ জাহরা (রা.) সুন্নীয়া মহিলা মাদরাসার উদ্যোগে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, মা বাবার স্বপ্ন ছিল মোহাম্মদ ফজলে রাব্বুলকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। সেই লক্ষ্যে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া ও পারভীন বেগম দম্পতি তাদের ১০ বছর বয়সী সন্তান ফজলে রাব্বুলকে ভর্তি করেন স্থানীয় শ্রীঘর চকবাজার হজরত শাহজালাল (রহ.) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল মাদরাসায়। হিফজ বিভাগে ভর্তি হয়ে মাত্র ১৩৫ দিনে ৩০ পারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন মোহাম্মদ ফজলে রাব্বুল। তার এমন কৃতিত্বে খুশি তার সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
হাফেজ হওয়া ফজলে রাব্বুল বলেন, আমার শিক্ষকদের সঠিক দিক নির্দেশনা ও স্নেহ ভালােবাসায় অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হতে পেরেছি আমি। আমি একজন বড় আলেম হতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘রাইতে ঘর থাইক্যা বাইর হইতে পারি না। সাদা সাদা কাপড় পইর্যা জিন বাড়িতে আইয়া ডর দেখায়। ঘরের চুলা ভাঙছে, দরজায়ও তালা দিছে।’ এক দমে কথাগুলো বলছিলেন হাবিবা আক্তার। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার আতুকুড়া গ্রামে। কিছুদিন আগেই এ গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী জাজু আক্তার (১০) হত্যায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয় শিউলি আক্তার নামের এক নারী। এর পর থেকেই হাবিবার বাড়িতে জিনের উপদ্রব আর নেই। তবে আতঙ্ক কাটেনি তাঁর মতো গ্রামের অন্য বাসিন্দাদের।
আতুকুড়া গ্রামটি পড়েছে ফান্দাউক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। আতুকুড়া গ্রামেরই শাহ আলম মিয়ার মেয়ে জাজু আক্তার পড়ত আতুকুড়া মাস্টার কিন্ডারগার্টেনে। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে হঠাৎ নিখোঁজ হয় শিশুটি। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পরও খোঁজ মেলেনি তার। আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে জাজুর নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়। দিন শেষে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে জাজুকে জিনে নিয়ে গেছে। ওই দিন সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের খালে পাওয়া যায় শিশুটির লাশ। তার পরিবারের লোকজনও বিশ্বাস করতে শুরু করেন, জিনই হয়তো হত্যা করেছে তাদের মেয়েকে। কিন্তু নাসিরনগর থানা পুলিশ এ কুসংস্কারে বিশ্বাস করেনি। তারা তদন্ত শুরু করে সেই রাতেই।
পুলিশের পরামর্শে পরদিন থানায় মামলা করেন জাজুর বাবা শাহ আলম মিয়া। তিন দিন পর পুলিশ প্রতিবেশী কাজী মিয়ার স্ত্রী শিউলি (২৫) ও তার শ্বশুর দুধ মিয়াকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চম্পক চক্রবর্তী আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ অক্টোবর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে জাজু হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। ৯ অক্টোবর বুধবার রাতে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জবানবন্দির সূত্র ধরে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শিউলি নিজেকে জিনের মা হিসেবে পরিচয় দেয়। দাবি করে, তার ওপর জিনের আসর আছে। কিন্তু জাজুর বাবা শাহ আলম এসব বিশ্বাস করতেন না। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে শিউলির বাড়িতে জিন নামানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়, পাঁচ মণ মিষ্টি ও পাঁচটি গরু দিলে এলাকার সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে এসব কুসংস্কারের প্রতিবাদ করেন শাহ আলম। এ কারণেই তাঁর মেয়ে জাজুকে শিউলির নেতৃত্বে হত্যা করা হয়।
গতকাল ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে জাজুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। তার বই-খাতা ও ব্যাগ পড়ে আছে ঘরে। মেয়ের মৃত্যুতে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে গেছেন মা জুনু বেগম। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ ভিজে যায়। আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘আমি বিচার চাই না, আমার ছোড মাইয়াডারে ফিরত চাই।’ জুনু-শাহ আলম দম্পতির বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামীর বাড়িতে থাকেন। আর দুই ছেলে রয়েছে। তারাও বোন হত্যার পর আতঙ্কিত। একই এলাকার মরহম আলী বলেন, ‘বক্তব্য দিলে আমার বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের মাইরা ফেলতে পারে। জাজুরে মারনের পর খাইরুল নামে আরেকটা ছোড ছেলেরে মারতে চাইছিল।’
আরেক ভুক্তভোগী বিলকিস বলেন, ‘আমার ঘরে তিনজন জিন সাদা কাপড় পইরা ৯টা তালা দিয়া গেছে। চাবি সঙ্গে নিয়া গেছে। আমরা জানালা দিয়া সব দেখছি। কিন্তু ভয়ে ঘর থাইকা বের হই নাই।’
জাজু হত্যা মামলার তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, জিনের ভয়ে দীর্ঘদিন গ্রামের অনেকে রাতে ঘর থেকে বের হতে পারেন না। এমনকি চক্রটি জিনের ভয় দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা এবং গবাদি পশু হাতিয়ে নিয়েছে। ওসি আব্দুল কাদের বলেন, কয়েক বছর ধরে আতুকুড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ বিকেলের পর ঘর থেকে বের হতেও পারতেন না। সন্ধ্যার পরপরই কারও ঘরের দরজায় তালা দেওয়া হতো। আবার কারও ঘরের দরজায় সাদা সুতা দিয়ে বাঁধা; কারও বাড়ির রান্না করার চুলা ভেঙে রাখত। এ ছাড়া কারও ঘরের টিনের চালায় ইট ছোড়া হতো।
এ পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, মূলত স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই শিউলির কিছু লোক এসব অপকর্ম করে আসছিল। এসব কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ করেন জাজুর বাবা শাহ আলম। এর জের ধরে তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মাসুক আল মারজান বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র জিন-ভূতের কল্পকাহিনি বানিয়ে তাবিজ ও পানি বিক্রি করে আসছে। এর ফলে মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। বিষয়টিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর মতে, এ থেকে মুক্তি পেতে হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে সুশিক্ষা পৌঁছে দিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা পরিষদ নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
আজ ২ মে বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ও স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রিজাউডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী কর্মশালায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্চন সমন্বয়কারী মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী।
প্রথমদিন প্রশিক্ষণে ১০৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৪০ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৪৩ জন পোলিং কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব, কর্তব্য সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি করণীয় সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ১০৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা,৭১২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ১৪২৬ জন পোলিং কর্মকর্তাদের দুই শিফটে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাসিরনগর উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ ১৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭শ ৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৩‘শ দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
৮ এপ্রিল সোমবার সকালে “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” নামে একটি সেবামূলক সংগঠনের উদ্যোগে গোকর্ণ সৈয়দ পাড়ার লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফের বাড়ি প্রাঙ্গণে এসব ঈদ সমাগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো পোলার চাল, সরু ভাতের চাল, চিনি, তেল, পিয়াঁজ, আলু, লবন, সেমাই ও দুধ। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ভূপাল দত্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন। এসময় সাবেক উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ও “গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” এর সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সৈয়দ আশরাফ আনোয়ার টিটু, সৈয়দ জাজ্ঞা বীরসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
“গোকর্ণ হিতৈষী সংঘ” এর সভাপতি সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল জানান, এলাকার কৃতি সন্তান লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ, ডা: গৌতম পদ সৌম, ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামাল, মিসেস সৈয়দা নাসিম, সৈয়দ আলী রেজাসহ আরো অনেকের সহযোগিতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও ৩‘শ পরিবারের মাঝে হিতৈষী সংঘের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ভূবন আব্দুল্লাহ নগর সংলগ্ন বড়ধলিয়া হযরত শাহ্; সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর মাজার পরিচালনা আংশিক নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর মাজার পরিচালনা কমিটি গঠনকল্পে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে উপজেলা চেয়ারম্যান রুমা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, মাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফারুকুজ্জামান ফারুক, পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আক্তার মিয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মো: রুবেল মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীসহ হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আক্তার মিয়াকে সভাপতি, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াকে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ সেলিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আশিকুর রহমান সুমন ও মো: মন্টু মিয়া, আমির হোসেন মোল্লাকে সহ-কোষাধ্যক্ষ করে আংশিক শাহ্; সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) মাজার পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
সভায় মাজারের পরিচালনা পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং গঠণতন্ত্র তৈরিসহ সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।