চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে আনুমানিক ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাই মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ ২ জুলাই বুধবার ভোরে ফেনীস্থ ৪ বিজিবির টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কাটুন ও কয়েকটি গরু ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবির সদস্যরা মালামাল ও গরুগুলো জব্দ করে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত এসব পণ্য ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এগুলো কাস্টমস-এ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মোশাররফ হোসেন জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাঁওতালসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে সাঁওতাল যুব নারী-পুরুষদের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের ভুতগাড়ী মিশনে দিনব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় জনউদ্যোগ যুব ফোরামের ৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে।
মতবিনিময় সভায় সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার, অ্যাপস ডাউনলোড ও ব্যবহার, অনলাইনে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইনকানুন, নীতিমালা সম্পর্কে এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দফতরের সেবা গ্রহণে যুবদের অভ্যস্থ হয়ে উঠার আলোচনা করা হয়।
এ সময় সমাজকর্মী রেবেকা কিস্কুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সত্য রনজন সাহা, অবলম্বনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মাহাবুব মুকুল, রেবেকা মুর্মু, মিখাইল, মারিয়া মুর্মুসহ সাঁওতাল যুব নারী-পুরুষরা আলোচনায় অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জুন মাসের শেষ ভাগে শুরু হবে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা। এ জন্য দেশের আটটি শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ) অনুযায়ী ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ২৬ জুন শুরু হয়ে ১০ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে।
এবার ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোয় সকালের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং বিকেলের পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এইচএসসি পরীক্ষার ২০২৫ সালের সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৫ সালের এইচএসসির কোন পরীক্ষা কোন দিন
সকালের পরীক্ষা
(সময়: সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত)
# ২৬ জুন: বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র
# ২৯ জুন: বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র
# ১ জুলাই: ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র
# ৩ জুলাই: ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র
# ৭ জুলাই: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আবশ্যিক)
# ১০ জুলাই: পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র/যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্র
# ১৩ জুলাই: পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র/যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্র
# ১৫ জুলাই: ভূগোল (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র
# ১৭ জুলাই: ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র
# ২০ জুলাই: রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র (মানবিক শাখা)/ইতিহাস প্রথম পত্র/গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র/উত্পাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র
# ২২ জুলাই: রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা)/ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র/গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র/উত্পাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র
# ২৪ জুলাই: অর্থনীতি প্রথম পত্র/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম পত্র
# ২৭ জুলাই: অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ঐচ্ছিক–১/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ঐচ্ছিক–২/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ঐচ্ছিক–৩
# ২৮ জুলাই: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র
# ৩০ জুলাই: পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয় পত্র
# ৩১ জুলাই: মনোবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/মৃত্তিকাবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/নাট্যকলা প্রথম পত্র
# ৩ আগস্ট: মনোবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/মৃত্তিকাবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/নাট্যকলা দ্বিতীয় পত্র
# ৪ আগস্ট: উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র/ইসলাম শিক্ষা প্রথম পত্র
# ৬ আগস্ট: উচ্চতর গণিত দ্বিতীয় পত্র/ইসলাম শিক্ষা দ্বিতীয় পত্র
# ৭ আগস্ট: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা প্রথম পত্র/শিশু বিকাশ প্রথম পত্র
# ১০ আগস্ট: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র/শিশু বিকাশ দ্বিতীয় পত্র
বিকেলের পরীক্ষা (সময়: বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত)
# ১৫ জুলাই: উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/আরবি প্রথম পত্র/পালি প্রথম পত্র
# ১৭ জুলাই: উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/আরবি দ্বিতীয় পত্র/পালি দ্বিতীয় পত্র
# ২৮ জুলাই: খাদ্য ও পুষ্টি প্রথম পত্র
# ৩০ জুলাই: খাদ্য ও পুষ্টি দ্বিতীয় পত্র
# ৩১ জুলাই: পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/ব্যবহারিক শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ প্রথম পত্র
# ৩ আগস্ট: পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ব্যবহারিক শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ দ্বিতীয় পত্র
# ৪ আগস্ট: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান প্রথম পত্র/সংস্কৃত প্রথম পত্র/লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র
# ৬ আগস্ট: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র/সংস্কৃত দ্বিতীয় পত্র/লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র
# ৭ আগস্ট: সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র/সমাজকর্ম প্রথম পত্র/ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র
# ১০ আগস্ট: সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র/সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র/ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পরিদর্শক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুর ১২ টায় তাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নিকট ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে গত রোববার রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত এ কে ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত। ১৯৭১ সালের এ রাতেই বাংলার বুকে নেমে এসেছিল মৃত্যুর ঘনতমসা। পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের একটি ঘটেছিল আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমিতে।
রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হিংস্র হায়েনার মতো বর্বর শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরীহ-নিরস্ত্র স্বাধীনতাকামী বাঙালি জনগণের ওপর। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ণ সামরিক সম্ভার নিয়ে রাত ১০টার পর সারা দেশে পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা শুরু করে তারা।
সামরিক ভাষায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত ছিল পাক-হানাদারদের এ হত্যা-অভিযান। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ এড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বাঙালি হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের পথেই এগিয়েছিল। অত্যাচার, উৎপীড়ন, পাশবিকতা, নৃশংসতা আর হিংস্রতার কালো থাবায় বিভীষিকা ছড়িয়ে দিয়েছিল পুরো ঢাকা শহরে।
বর্বর হত্যাযজ্ঞের এ দিনটি ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে। কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার সেই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বর্বরোচিত হামলায় বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে দেখেছিল উন্মত্ত পাক বাহিনীর গণহত্যাকাণ্ড। মধ্যযুগীয় কায়দায় হানাদাররা রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ঢাকা শহরে চালায় হত্যাযজ্ঞ, করে অগ্নিসংযোগ। এই রাতেই গ্রেফতার করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। ২৫ মার্চের কালরাতের বেদনাদায়ক ঘটনা সমগ্র জাতিকে শিহরিত করে। নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি চালিয়ে হত্যা করে সেদিন মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি। ভয়াবহ সেই কালরাতের হত্যাযজ্ঞ বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জোগায়।
প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের এই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরাসরি এয়ারপোর্ট চলে যান। রাত পৌনে ৮টায় তিনি গোপনে বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন নিরপরাধ বাঙালির ওপর কাপুরুষোচিত সশস্ত্র হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে। পাক হানাদার বাহিনী জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে জল্লাদের মতো বাংলার নিরপরাধ জনগণের ওপর মেশিনগান, মর্টার আর ট্যাংক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।
রাত ১টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২তম বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টারে আক্রমণ চালায়। কেন্দ্রীয় কোয়ার্টারে ১৮ জন বাঙালি গার্ড থাকলেও তারা পালটা আক্রমণের সুযোগ পাননি। পিলখানা আক্রমণের পাশাপাশি রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারী বাজারসহ ঢাকাজুড়েই শুরু হয় প্রচণ্ড আক্রমণ। বিভিন্ন এলাকাতে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ করে চলে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী।
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে ট্যাংক, সঙ্গে সেনা বোঝাই লরি। ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল), জগন্নাথ হলে মধ্যযুগীয় কায়দায় চলে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতা। শহিদ হন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয়জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।
হানাদাররা চলার পথে রাস্তার দুই পাশে গুলি ছুড়ে মেরে ফেলে অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিকেল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলার পর গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অজস্র মানুষকে। রাজারবাগে পুলিশের বাঙালি সদস্যরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাদের সামান্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই। ট্যাংক আর ভারী মেশিনগানের মুখে এ প্রতিরোধ বেশিক্ষক্ষণ টেকেনি। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুরো সদর দপ্তর।
২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। গোপন ওয়্যারলেস বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ছাত্র-জনতা-পুলিশ-ইপিআর শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি ঘোষণা করছি আজ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বস্তরের নাগরিকদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন, যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবিলা করুন। এই হয়তো আপনাদের প্রতি আমার শেষ বাণী হতে পারে। আপনারা শেষ শত্রুটি দেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যান।’
এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট ভবনে ভুট্টো-ইয়াহিয়া এবং ইয়াহিয়া ও পিপলস পার্টির উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যাগের খবর সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে ছিল। রাত ৯টার পর বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট অখণ্ড পাকিস্তানের সমাপ্তি টানতে চলেছেন।
পিলখানায় ইপিআর ব্যারাক ও অন্যান্য স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার লিখিত বাণী ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে মেসেজ আকারে পাঠানো হয়। এ বার্তা চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দপ্তরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম উপকূলে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজও এ বার্তা গ্রহণ করে। চট্টগামে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী সাইক্লোস্টাইল করে রাতেই শহরবাসীর মধ্যে বিলির ব্যবস্থা করেন। রাত ১টায় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের অদূরে শুক্রাবাদে ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। এখানে প্রতিরোধ ব্যুহ ভেঙে হানাদাররা রাত দেড়টায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে আসে। হানাদার বাহিনী এলাপাতাড়ি গুলি চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রবেশ করে। বঙ্গবন্ধুকে রাত দেড়টায় তার বাসভবন থেকে বন্দি করে শেরেবাংলা নগরের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে সেনানিবাসে স্থানান্তর করা হয়। সকাল পর্যন্ত আদমজী কলেজের একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুকে আটক রাখা হয়।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের রাতে ১ মিনিট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। অন্ধকারে থাকবে দেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগীতায় মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করে।
দিনটি উপলক্ষে আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমিটি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড শ্রদ্ধাভারে শস্মরণ করবে বলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানায়।
পাক-হানাদার বাহিনী ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালো রাতে যখন ঢাকার বুকে হত্যাযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই রাতেই ৩-৪৫ মিনিটে প্রেরীত স্বাধীনতার ঘোষনার টেলিগ্রাম ম্যাসেজ ঝিনাইগাতী ভি এইচ এফ ওয়্যারলেস অফিসে এসে পৌঁছে।
ম্যাসেজ পেয়েই ওয়্যারলেস মাস্টার জামান সাহেব তার অফিসের পিয়ন পাঠিয়ে শেষ রাতের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ফকির আ: মান্নানের বাসায় সংবাদ দেন।স্বাধীনতার ঘোষনার সংবাদ পেয়ে পরদিন ভোরেই অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ সকালে ছাত্র নেতা ফকির আ: মান্নান, হারুনুর রশিদ মাষ্টার, বাবু অনন্ত কুমার রায়, সেকান্দর আলী ফকির সহ অনেকেই ওয়্যারলেস অফিসে এসে পৌছান।
ইংরেজীতে লেখা টেলিগ্রাম ম্যাসেজটি পেয়েই নেতৃবৃন্দ তৎক্ষনাৎ তা শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের কাছে প্রেরন করেন। ২৬ মার্চ সকাল থেকেই বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো ঢাকার সর্বশেষ সংবাদ কি তা জানার জন্যে শেরপুর শহরে মানুষ সমবেত হতে থাকে।
ঝিনাইগাতী ওয়্যারলেসে পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ হাতে পেয়েই তা বাংলায় অনুবাদ করে শেরপুর নিউ মার্কেট মোড়ে জনতার স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশে পাঠ করে শুনানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষনার শ্রবণ করে সমবেত জনতা মুর্হুমুর্হু শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে শেরপুরের আকাশ বাতাস। ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ সর্বজনাব এডভোকেট আব্দুল হালিম সাবেক এমপি, মুহসিন আলী মাস্টার ও ছাত্র নেতা আমজাদ আলী ঝিনাইগাতী এসে পৌছেন।
ঝিনাইগাতীর নেতৃবৃন্দ তাদের অভ্যর্থনা জানান। ছাত্রনেতা ফকির আব্দুল মান্নানকে সঙ্গে নিয়ে তারা নকশি ইপিআর ক্যাম্পে যান। নকশি ক্যাম্পের সুবেদার হাকিম নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
দেশকে শত্রু মুক্ত করা সহ পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে শুরু হলো প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়। ট্রেনিং শেষে এসব স্বেচ্ছাসেবক সহ মুজিব বাহিনী ও ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে সুবেদার হাকিম মধুপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
পরে তা পিছু হটে পুরাতন ব্র্হ্মপুত্র নদের চরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৬ এপ্রিল সুবেদার হাকিম এর খোলা জীপ এসে দাঁড়ায় ঝিনাইগাতী আমতলায়। সুবেদার হাকিম জনতাকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানিয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝিনাইগাতী শত্রু মুক্ত ছিল। ২৭ এপ্রিল পাক বাহিনীরা বহর নিয়ে গোলা বর্ষন করতে করতে পৌছায় ঝিনাইগাতী বাজারে।
ঝিনাইগাতী প্রবেশ করেই আওয়ামী লীগ অফিস আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ী বহর নিয়ে রাংটিয়া পাহাড় পর্যন্ত গিয়ে আবার পিছনে ফিরে এসে ঐদিন বিকালেই কোয়ারীরোডে পাক বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। পরে ঝিনাইগাতীর এক মাইল দক্ষিণে আহম্মদ নগর হাই স্কুলে তাদের সেক্টর হেড কোর্য়াটার স্থাপন করে। যা মুক্তিযোদ্ধাদের ১১নং সেক্টরের বিপরীতে পাক বাহিনীর ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তরে একমাত্র সেক্টর হেড কোর্য়াটার যার দায়িত্বে ছিলেন মেজর রিয়াজ।
এছাড়া পাক বাহিনী শালচূড়া, নকশি, হলদীগ্রাম, তাওয়াকোচা, মোল্লাপাড়ায় ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৬ বৈশাখ জগৎপুর গ্রামে হানা দিয়ে গ্রামটি পুড়িয়ে দেয় এবং পাক বাহিনী ৪১ জন গ্রাম বাসীকে গুলি করে হত্যা করে। ৫ জুলাই কাটাখালি ব্রীজ ধ্বংস করে মুক্তিযোদ্ধারা রাংঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেয়। দালালদের খবরে পাক বাহিনী রাংঙ্গামাটি গ্রামে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে। শুধু রাংঙ্গামাটি বিলের দিক খোলা ছিল।
সম্মুখ যুদ্ধে কমান্ডার নাজমুল আহসান শহীদ হন। তাঁর লাশ আনতে গিয়ে আলী হুসেন ও মোফাজ্জল শহীদ হন। পরদিন রাঙ্গামাটি গ্রামে হানা দিয়ে পাক বাহিনী ৯জন গ্রাম বাসীকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ২৩ আগষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাওয়াকুচা ক্যাম্প দখল করে এবং মুক্ত তাওয়াকুচায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলণ করে। তাওয়াকুচা যুদ্ধে ৪ জন পাক সৈন্য ও ৭ জন রাজাকার নিহত হলে পাক বাহিনী ক্যাম্প ছেড়ে দিয়ে পিছু হটে আসে। ৩ আগষ্ট নকশি ক্যাম্প আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা।
আগের দিন ২ আগষ্ট বিকেলে মেজর জিয়া নকশি ক্যাম্প আক্রমনের জন্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতিয়ারের অবস্থান গুলো পরিদর্শন করেন। ওই দিনের যুদ্ধে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও নিখোজ হন। যুদ্ধে পাক বাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য নিহত হয়।
২৭ নভেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করে ৮টি রাইফেল সহ ৮ জন রাজাকারকে ধরে নিয়ে যায়।
২৮ নভেম্বর পাক বাহিনী ঝিনাইগাতী হানা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সিদ্দিকের ছোট ভাই ওমর (১১) ও মুক্তিযোদ্ধা মকবুলের পুত্র খালেক (১০), পাক বাহিনীর দালালদের খবরে ৮ জনকে আহম্মদ নগর ক্যাম্পের বধ্যভূমিতে ধরে নিয়ে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরে তাদের এক গর্তে মাটি চাপা দিয়ে পুতে রাখে।
৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় শালচূড়া ক্যাম্পের পাক বাহিনী কামালপুর দুর্গের পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে পিছু হটে এবং আহম্মদ নগর হেড কোর্য়ারটারের সৈনিকদের সাথে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুরে আশ্রয় নেয়।
এভাবে রাতের আঁধারে বিনা যুদ্ধে ঝিনাইগাতী শত্রু মুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতীতে স্বাধীন বাংলার অহংকারের পতাকা উড়ায় এবং মুক্তদিবস ঘোষণা করা হয়।