চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর রোডে নান্দুরা অবস্থিত প্রভাতী ব্রিক্স। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গোকর্ণ হয়ে নবীনগর এর সঙ্গে মূল সংযোগ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত এবং আশে পাশে জনবসতী ও লক্ষ্য করা যায়।
জানা যায়, প্রভাতী ব্রিক্স এর নামে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র নিয়ে মালিক পক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ২০১৮ ইং সনে তাদের অনুমোদিত সকল কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তারপর থেকে মালিক পক্ষ কোন রকম সরকারি অনুমোদন বা ছাড়পত্র ছাড়াই আজ অবদী নির্বিঘ্নে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দেখা যায় ব্রিক্স ফিল্ডের পার্শ্বে একাধিক জনবসতী যেখানে ছোট ছোট বাচ্ছা ও মহিলা বৃদ্ধসহ অনেক পরিবার বসবাস করে। কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হলে পরিবেশের উপর সরকারি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ এবং জলজ পরিবেশের ক্ষতি ও জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। যা আশে পাশে অবস্থিত জনবসতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে এবং নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিআরডি প্রধান সড়ক এর নিকটবর্তী হওয়ায় ব্রিক্স ফিল্ডের যাতায়াতকৃত যানবাহন এর দ্বারায় সড়কটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ছাড়পত্র বা সরকারি অনুমোদনের ব্যাপারে প্রভাতী ব্রিক্স এর একজন পরিচালক আমলগীর হোসেনের সঙ্গে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের আগে অনুমোদন ছিল কিন্তু ২০১৮ইং সনের পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এখন কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করচেন অনুমোদন ছাড়া জানতে চাইলে তিনি অপর একজন পরিচালকের নাম এবং নাম্বার দিয়ে ওনার সাথে বিস্তারিত জানতে বলেন এবং পরবর্তী অপর একজন পরিচালক শাহিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ২০১৮ ইং সনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে পুণরায় ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলে তারা দেয়নী। তার প্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্ট একটি রিট করি তার প্রেক্ষিতে ব্যবসা পরিচালনা করিতেছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিবেচনায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ব্রিক্স ফিল্ডের পরিচালনার ছাড়পত্র না দিলে হাইকোর্ট রিট করে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় কিনা এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
২০১৯ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে একটি গেজেট পাস হয়। যার ৩নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, ২০১৩ সনের ৫৯নং আইনের ধারা ৪এর প্রতিস্থাপন উক্ত আইনের ধারা ৪এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা প্রতিস্থাপন হইবে। যথা:- ৪। লাইসেন্স ব্যতীত ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ:- আপাদত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি ইটভাটা স্থাপন ও প্রস্তুত করিতে পারিবে না। এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা নিবেন কী না?
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। আজ ২০ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কংকন কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জুয়েল (৩৫) তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি একটি কারখানায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনরা জানায়, সে অফিস থেকে দুপুরে বাসায় ফিরার পথে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় পৌছালে ঢাকাগামী একটি বাস তাকে চাপা দিলে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হলেও তার চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজকল্যাণের ব্রত নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে যাত্রা শুরু করেছে বাঘাউড়া প্রবাসী সমাজকল্যাণ সংগঠন। গ্রামটির সব প্রবাসীদের উদ্যোগে ও নিরলস পরিশ্রমের পর আত্মপ্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সংগঠনটি ও একটি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন গ্রামটির কৃতি সন্তান, শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন সরকার।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সেবার পাশাপাশি সংগঠনটি গ্রামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। গ্রামের জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্য পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের আশা, এই পাঠাগারটি শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ গড়ে তুলবে।
ইতোমধ্যে এই সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামের কবরস্থানের দেয়ালে টাইলসকরণ করা হয়েছে। এছাড়া, দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। একটি গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. শাহীন সরকার তার বক্তব্যে বলেন, শুরু থেকেই গ্রামের মাদরাসা ও কবরস্থানের বিভিন্ন কাজে তাদের অনেক ভূমিকা আছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আগামীতে আরও ভালো ভালো কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি। যারা প্রবাসে থেকে গ্রামের উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের জন্য আমরা দোয়া করব ও যেকোনো সময়ে যেকোনো সহযোগিতায় আমরা তাদের পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা গ্রামবাসী গ্রামের উন্নয়নে কাজ করছি, পাশাপাশি তারা প্রায় দুই শতাধিক যুবক মিলে গ্রামের উন্নয়নে অবদান রাখছে। আমরা সব গ্রামবাসী তাদের এই মহৎ উদ্যোগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
সংগঠনের কর্মপরিকল্পনা ও পাঠাগার স্থাপনের বিষয়ে সংগঠনটির কুয়েত প্রবাসী সদস্য মো. নাহিদ মিয়া মোবাইলফোনে বলেন, শিক্ষা থেকে শুরু করে সমাজের সব উন্নয়নমূলক কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু করা। এখানে গরিব মানুষকে সহায়তার পাশাপাশি গরিব শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের সহায়তা করা হবে। সবাইকে বইমুখি করতে আমাদের পাঠাগারে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সবাই উপকৃত হবে বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংগঠনের আরও একটি উদ্দেশ্য আছে, সেটি হলো একতা। গ্রামের সবাই বিশেষ করে সব প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করতে আমাদের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা। এখানে সবাই ব্যক্তিগত স্বার্থ বাদ দিয়ে সবার জন্য কাজ করবে। তাই সংগঠনে আমরা কাউকে কোনো পদ-পদবি দিচ্ছি না। এখানে সবাই সমান।
অনুষ্ঠানে সুহেল মেম্বারের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম মোল্লার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত দেবনাথ, শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল হক সাহেব, মো. বাছির মিয়া, শহীদ মিয়া, কালন সর্দার, ডা. রুকুনুজ্জামানসহ আরও অনেকে। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি আবুল হাসেম কাসেমী সাহেব।
অনলাইন ডেস্ক :
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। তবে একটি মহল সরকারের উন্নয়ন কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।’
আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণে যে কাজগুলো আমরা করেছি, তার শুভ ফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, সেটাকে স্বীকার করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা কাজকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়, হ্যাঁ তাতে কী করতে পারবে, জনগণের কাছ থেকে তো আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাদের শক্তি নিয়েই আমি চলি। সেখানে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে জনগণের মাঝে যে, আমি তাদের জন্য কাজ করি। কাজেই ওই আস্থা বিশ্বাসটাই হচ্ছে আমার একমাত্র সম্বল। আর এই সম্বল নিয়েই আমি চলি, এজন্য আমি কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ আমার দেশবাসী আমার পাশে আছে, আমি কাউকে পরোয়া করি না।’
‘হ্যাঁ আমি জানি, আমার বাবার সঙ্গেও একই জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে; সংবিধান দেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো সেক্টর নেই যার ভিত্তিটা তিনি তৈরি করে দেননি। তারপরও তার সমালোচনা, তার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা, অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যখন পারেনি তখন তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে তো হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি তো বেঁচেই গেছি, সেটাও আমার জনগণ এবং দলের লোকেরা সবসময় আমাকে ঘিরে রেখেছে। নিজেরা জীবন দিয়ে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমি এখন জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাচ্ছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রকেট বিজ্ঞানী ড. জাহিদুল হাসান মুশফিকুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ড. জাহিদুল রহমান নামেই সর্বাধিক পরিচিত এই খ্যাতনামা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে রকেট ডিজাইন ও উন্নয়নে দীর্ঘ তিন দশক ধরে নিয়োজিত ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার সাইনাই হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ড. জাহিদুল রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন এবং টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে অগ্রসর গবেষণায় নিয়োজিত হন।
নাসার খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে পৃথিবীর সীমানা ভেদ করে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে মহাযাত্রা, জানা ও জানানোর প্রচেষ্টায় গবেষণা এবং অগ্রসরে ড. জাহিদুল রহমানের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি নাসার উদ্যোগে মঙ্গল গ্রহ অভিযানে রোভারের ডিজাইন ও নির্মাণে নিয়োজিত দক্ষ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি।