অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে টানা বর্ষণে অন্তত ছয়জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ১৪ জুলাই সোমবার ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ওকারায়-৭২ মিলিমিটার। এছাড়া সাহিওয়াল ৬৬ মিলিমিটার, ডেরা গাজি খান ৫১ মিলিমিটার, মিয়ানওয়ালি ৩৮ মিলিমিটার, বাহাওয়ালপুর ৩৬ মিলিমিটার, কোট আড্ডু ৩৩ মিলিমিটার, গুজরানওয়ালা ৩০ মিলিমিটার, লেয়াহ ২৩ মিলিমিটার, এবং মুর্রিতে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি, আটক, শিয়ালকোট, ফয়সালাবাদ, টোবা টেক সিং, রাহিম ইয়ার খান, মুলতান, লোধরানেও বৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওকারার হাভেলি লাক্কা এলাকায় বজ্রাঘাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছে। জেলায় বৃষ্টিজনিত ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। বাহাওয়ালনগরে মিনচিনাবাদের একটি মাদ্রাসার ছাদ ধসে দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং ১২ জন আহত হন।
সাহিওয়ালের দুইটি গ্রামে ছাদ ধসে এক ব্যক্তি নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। কাসুরের নাটোওয়ালা গ্রামে ভারী বৃষ্টিতে ঘরের ছাদ ধসে একজন নারী নিহত এবং তার স্বামী ও ছেলে আহত হন। টোবা টেক সিংয়ে ছাদ ধসের ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) জানিয়েছে, পাঞ্জাবে তৃতীয় দফার বর্ষণ চলবে ১৪ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
এ সময় ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, মুর্রি, গালিয়াত, লাহোর, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, ডেরা গাজি খান, মুলতান, মিয়ানওয়ালি, বাহাওয়ালপুর, রাহিম ইয়ার খানসহ বেশিরভাগ জেলাতেই বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও অতিভারী বা চরম বর্ষণেরও আশঙ্কা রয়েছে।
পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক ইরফান আলী কাথিয়া জানান, বর্তমানে সিন্ধু নদীর টাউসা অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার বন্যা চলছে।
তবে চেনাব, রাভি, ঝেলাম ও শতলুজ নদীতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। রাজনপুরের পাহাড়ি ঝরণাগুলোর পানিপ্রবাহও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে।
তিনি বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকায় জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১১টার দিকে শপথ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। তিনি সংবিধান ‘সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা’ করার শপথ নিয়েছেন।
এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে কামান দাগা হয়েছে, আর বাজানো হয়েছে ‘হেইল টু দ্য চিফ’। পাশাপাশি ট্রাম্পকে তার পরিবার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে উদযাপন করতে দেখা গেছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের পর এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করলেন, যিনি একবার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। খুব শিগগিরই ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ভাষণ দেবেন।
শপথ গ্রহণের জন্য ট্রাম্পের প্রবেশ
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন অতিথিতে পূর্ণ ক্যাপিটল রোটান্ডা কক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। এই স্থানেই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার স্ত্রী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন।
তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট-বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা এ কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য অতিথিরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। সাবেক ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে শুধু মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও রোটাণ্ডায় তাদের আসন গ্রহণ করেছেন।
তার স্ত্রী, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন।
তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট-বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা এ কক্ষে প্রবেশ করলে অন্য অতিথিরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। সাবেক ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে শুধু মিশেল ওবামা অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও রোটাণ্ডায় তাদের আসন গ্রহণ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্স কংগ্রেসনাল মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশ নেবেন। এরপর সেনা সদস্যদের পর্যালোচনা করবেন ট্রাম্প। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর প্যারেড বা কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। শেষে মোটর শোভা যাত্রা নিয়ে হোয়াইট হাউসে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন বাইডেন
এদিকে ক্যাপিটলে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউসে এক চায়ের আমন্ত্রণে স্বাগত জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের উত্তর পোর্টিকোতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ওয়েলকাম হোম’ বলে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে সাংবাদিকরা চিৎকার করে প্রশ্ন করলেও কোনো প্রেসিডেন্টই উত্তর দেননি। আজ প্রথমবারের মতো এই জুটির দেখা হয়েছে।
এরই মধ্যে ইভাংকাসহ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যাবেন।
ট্রাম্পের আগমনের ঠিক আগে, বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হোয়াইট হাউসে তার শেষ দিনে আজ কেমন অনুভব করছেন। উত্তরে ‘ভালো’ বলে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
চায়ের বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। সেখানে কোনো সাংবাদিকের প্রবেশের অনুমতি নেই।
প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন ও অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের সঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী চায়ের বৈঠক শুরু হয়েছিল ১৮৩৭ সালে। তবে ২০২১ সালে সেই ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্প বাইডেনকে চায়ের আমন্ত্রণ করেননি। সে সময় ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন—এমন মিথ্যা দাবি অনবরত করে গেছেন ট্রাম্প।
কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এটা এখন বেশ স্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় তার ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ ও পদক্ষেপগুলোর মধ্যে কিছু স্বাক্ষর করতে চাইবেন। যে স্টেজে তিনি বক্তব্য দেবেন, সেই স্থানের এক পাশে ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, মঞ্চের অন্য পাশে একটি ডেস্ক, একটি অভিনব চেয়ার, একটি মাইক্রোফোন ও একটি বৃত্তাকার প্লেট রয়েছে। প্রেসিডেন্টের সিল বসানোর জন্য খুব সম্ভবত রাখা হয়েছে।
সেন্ট জন গির্জা
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া স্থানীয় সময় সোমবার সকালে সেন্ট জন গির্জায় পৌঁছন। এ সময় অভিষেকের দিনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে দেখা যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে পৌঁছন। এ ছাড়া নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও উষা ভ্যান্সও গির্জায় ছিলেন।
গির্জায় শপথের এ রীতি ঐতিহ্যবাহী। গির্জায় পরিষেবাটি ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’-এর উপস্থাপনা দিয়ে প্রায় ২৫ মিনিট পর শেষ হয়। এরপর শিগগিরই শপথ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথেড্রাল ছেড়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী অন্যান্য যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও মার্ক জাকারবার্গ। হোয়াইট হাউস পুল জানিয়েছে, অ্যামাজনের জেফ বেজোস ও লরেন সানচেজ, বরিস জনসন, সবাই একই সারিতে বসেছেন। ট্রাম্প, মেলানিয়া ও তাদের ছেলে ব্যারন সামনের সারিতে আসন গ্রহণ করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রুপা, সুন্দরী, স্মার্ট, ভদ্র সুমিষ্ট কণ্ঠের অধিকারীনি। তার স্বপ্ন ছিল বিমানবালা হবার, হয়েছেনও তাই। তিনি নিজেকে মানুষের সেবাই নিয়োজিত করেন। সুনামের সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে তার ওপর অনেক খারাপ মানুষের নজর পড়ে। যারা একজন ছিলো সে যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বসবাস করতো সেই ভবনের এক ঝাড়ুদার। যুবক বয়সের সে ঝাড়ুদারকে রূপা বিভিন্ন সময় নিজের কাজের জন্য ডাকতেন। কথামত কাজ করে দিতেন। আর এই সুযোগটা নিয়েছে সেই ঝাড়ুদার।
জানা যায়, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ভারতীয় বিমানবালাকে গলাকেটে হত্যা করে তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে কাজ করা এক ঝাড়ুদার যুবক। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই তাকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। এর আগে গত রোববার মুম্বাইয়ের শহরতলীর আন্ধেরিতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাট থেকে রুপাল ওগ্রে নামের ওই বিমানবালার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, নিহত বিমানবালা রুপাল ওগ্রে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের বাসিন্দা এবং এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি পাওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি মুম্বাই চলে যান। সেখানে তার বোন ও তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
সম্প্রতি তার বোন এবং প্রেমিক— দু’জনেই মুম্বাইয়ের বাইরে যান। আর এরপর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এই ঘটনায় সন্দেভাজন হিসেবে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম বিক্রম অটওয়াল এবং তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঝাড়ুদার হিসাবে কাজ করতেন।
ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ২৪ বছর বয়সী এয়ার হোস্টেস রুপাল ওগ্রেকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৪০ বছর বয়সী এই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আন্ধেরির স্থানীয় আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় পেশায় ঝাড়ুদার বিক্রম স্বীকার করেন, তিনি রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগীর বাধায় তিনি ব্যর্থ হন এবং একপর্যায়ে গলাকেটে হত্যা করেন।
শুনানি শেষে আদালত আসামিকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, অনেকবার ফোন করেও রুপালের কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধুদের খোঁজ নিতে বলেছিলেন তারা। বন্ধুরা এসে ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে তালাবন্ধ দেখতে পেয়ে খবর দেয় পুলিশে। পরে পুলিশ এসে গত রোববার রাত ১১টার দিকে ভেতরে প্রবেশ করলে ফ্ল্যাটের বাথরুমের কাছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
এরপরই সন্দেভাজন হিসেবে বিক্রমকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত এই ব্যক্তি একটি পরিচ্ছন্নতা সংস্থার হয়ে কাজ করেন এবং গ্রেপ্তারের পরপরই তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন। যদিও অপরাধ স্বীকার করার আগেই গ্রেপ্তার করার সময় তার কাপড়ে রক্তের দাগ খুঁজে পায় পুলিশ।
বেশ কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর বিক্রম অটওয়াল স্বীকার করে, হত্যাকাণ্ডের দুই দিন আগে গত শুক্রবার রুপাল ওগ্রের সঙ্গে তার ‘ঝগড়া’ হয়েছিল। মূলত পরিচ্ছন্নতার কাজ সঠিকভাবে না করার জন্য তাকে ‘বকাঝকা’ করেছিলেন রুপাল। আর এটিই অভিযুক্তকে ক্ষুব্ধ করে।
ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার ঊদ্ধৃতি দিয়ে ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ‘বিমানবালা রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধারালো বস্তু নিয়ে ওই নারীর ফ্ল্যাটে যায় বিক্রম। ভিকটিমকে ধর্ষণের জন্য সে প্রথমে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়, কিন্তু ওই নারী নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করায় ব্যর্থ হয় সে। নিজেকে বাঁচাতে ওই নারী অভিযুক্তকে ধাক্কা দেয়, হাত দিয়ে আঘাত করে এবং লাথিও মারে। অভিযুক্তের সারা শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে, এতে সেখানে ধস্তাধস্তির প্রমাণ পাওয়া যায়।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘একপর্যায়ে ওই নারী ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা দিয়ে বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে অভিযুক্ত বিক্রম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুক্তভোগীকে গলাকেটে হত্যা করেন।’
অবশ্য পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, বিক্রমের মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের ধারণা, রুপালকে আক্রমণ করার পর তিনি হয়তো প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। আর তাতেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন বিক্রম।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলে শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার ভোরে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত ৮জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে শুধু উত্তর ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
নিহতরা আরব ইসরাইলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি অধ্যুষিত।
অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সি এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানায়,মধ্য ইসরাইলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। অপরদিকে, রেহেবোতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ইরানের এ হামলার আগে ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাবাহিনী। এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইসরাইলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
বৃষ্টিতে যেমন ছাতা লাগে, তেমনই খুব রোদেও ছাতা লাগে।পৃথিবীর গায়ে বেশি রোদ লাগছে।যার থেকে বাড়ছে গরম।যাতে রোদ না লাগে সেজন্য এবার মহাকাশে বিজ্ঞানীরা ছাতা লাগাচ্ছেন।এভাবে পৃথিবীর গায়ে রোদ পড়া বাড়তে থাকলে গোটা বিশ্বটা তেতে উঠতে বেশি দেরি হবেনা। তাই পৃথিবীর গায়ে এভাবে রোদ পড়া আটকাতে হবে এই অভিনব পথে হাটছেন বিজ্ঞানীরা।
রোদ তো সূর্যের আলো। তাই সূর্যের আলোকেই ঢাকতে হবে। যাতে পৃথিবীতে উত্তাপ কম এসে পড়ে। সেজন্য সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে ছাতা লাগাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
উষ্ণায়নের ধাক্কা সামাল দিতে বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের ছাতা দিয়ে মাথা ঢাকার পথে হাঁটলেন। সূর্যের রশ্মিকে যদি ছাতার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর গায়ে এসে পড়তে হয় তাহলে তার উত্তাপ ও তেজ অনেকটাই নিঃস্পৃহ হয়ে যাবে। তাতে পৃথিবী রক্ষা পাবে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি-র এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ইসভান জাপুদি এই অভিনব উপায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। যা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের মনে ধরেছে। তাই এই পথেই এগোতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য অবশ্য যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন তা পৃথিবী থেকে ওভাবে পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ তার ওজন অনেক হবে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক হাল্কা উপাদানের ঢাকা মহাকাশে পাঠানো হবে। যা দড়ির মত বাঁধা থাকবে। আর তার কাউন্টার ওয়েটের কাজটা করে দেবে অন্য গ্রহাণু।
পুরো ডিজাইন নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে যে অভিনব ভাবনা জাপুদি উপহার দিলেন তা যদি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় তাহলে উষ্ণায়নের চিন্তা অনেকটা কমবে। এখানে বলা প্রয়োজন যে আগেও এমন ছাতা নিয়ে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা এতটাই ভারী হচ্ছিল যে তা মহাকাশে পাঠানোর উপায় ছিলনা। জাপুদি তাই অনেক হাল্কা ও নবতম প্রযুক্তি ব্যবহারের হদিশ দিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় আটক সর্বশেষ জীবিত মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য সমঝোতার অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার এই জিম্মিকে মুক্তি দেয়গাজার শাসক গোষ্ঠীটি। ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডার গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্ত থেকে হামাসের হাতে আটক হন। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি অভিজাত ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।তাকে সোমবার গাজায় আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ৫৮০ দিন আটকাবস্থায় কাটানোর পর ইসরায়েল সীমান্তে নিজের পরিবারের কাছে ফিরেছেন তিনি। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন। তিনি আলেক্সান্ডারের মুক্তিকে ‘বিরাট খবর’ বলে বর্ণনা করেছেন। সূত্র : সিএনএন
আরব টিভি নেটওয়ার্কের ফুটেজে গতকাল রেডক্রসের গাড়িবহর দেখা গেছে। কর্মকর্তারা গাড়িতে করে ২১ বছর বয়সী আলেক্সান্ডারকে নিয়ে যান ইসরায়েল সীমান্তে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী আইডিএফ রেডক্রসের কাছে আলেক্সান্ডারকে হন্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণ ইসরায়েল সীমান্তের একটি ঘাঁটিতে রেডক্রসের গাড়ি থেকে আইডিএফ আলেক্সান্ডারকে গ্রহণ করে।
তার মুক্তির জন্য কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইসরায়েল দুপুর থেকে তাকে হস্তান্তরের জন্য যুদ্ধ স্থগিত রেখেছিল। আলেকজান্ডারকে মুক্তির সময় বেসামরিক পোশাকে দেখা যায়, মুখোশ পরা যোদ্ধারা তাকে রেড ক্রসের একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে ইসরায়েল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তার পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় ছিলেন। সূত্র : আল-জাজিরা।