চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলার আসামি মোঃ রুবেল মিয়া ওরফে কসাই রুবেল (৪২) ও তার সহযোগী সোহেল মিয়া (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে পৌর এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানা সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন থানায় ২৩টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ডাকাতি, চুরি, মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলা।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ রাহাত উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ ১১ আগষ্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হালিম, প্রাক্তন ছাত্র শাকিব হাসান, অন্তর জালালী, সানী আহমেদ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ জুম্মন আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষক রাহাত উদ্দিন একজন আদর্শ শিক্ষক ও সমাজসেবক ছিলেন।
তিনি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সন্তানের মত করে দেখতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের বিপদে আপদে সবার আগে এগিয়ে আসতেন। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও অত্র ইউনিয়নবাসী একজন অভিভাবক হারালো। আগামীতে কোন শিক্ষক, সুশীল সমাজ কিংবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে যেকোন ধরনের আক্রমণ রূপসদীবাসী শক্ত হাতে দমন করবে। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, নিহত ওই শিক্ষকের মরদেহ গত ৮ আগস্ট কুমিল্লা হোমনা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। টানা ৩৮ বছর ধরে এই আসনে নৌকার মাঝি তিনি। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যিনি টানা ৩৮ বছর ধরে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম ১৯৮৬ সাল প্রথম নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মনোনীত হন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘদিন।
তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগ মানে ক্যাপ্টেন তাজুল। তার বিকল্প এখনো বাঞ্ছারামপুরে নেই। তার নেতৃত্বে বাঞ্ছারামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, আমি বাঞ্ছারামপুরের মানুষের জন্য কাজ করি। আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান। মানুষের সুখ-দুঃখ বুঝি। বাঞ্ছারামপুরে যা উন্নয়ন দরকার সেটা আমি করার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে টিনশেড ঘরে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শান্তিপুর গ্রামের ওয়ালেক মিয়ার ছেলে আলামিন (২৬) ও তারই চাচাতো ভাই হেলু মিয়ার ছেলে টুকু মিয়া (২৫)।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বাড়ির সঙ্গে পুকুর পাড়ে পরিত্যক্ত একটি টিনশেড ঘরে প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন টুকু মিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করতে চাচাতো ভাই আলামিন এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে বলেন, বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে আলামিন ও টুকু নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তার মুড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম (২১)। তিনি ওই এলাকার নসু মিয়া ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। তার মালিকানাধীন সাদা রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাস রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। এই মাইক্রোবাসটি তিনি গাঁজা বিক্রির কাজে ব্যবহার করতেন।প্রতিদিন তিনি বিজয়নগর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে ঘুরে গাঁজা বিক্রি করতেন। অবশেষে ২৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার দর্গারামপুর সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গাড়ি ও গাঁজাসহ আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মো. হাসান উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সাদা রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি চালালে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাওয়া যায়। পরে মাদকসহ ১০ লাখ টাকা দামের গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা ও একটি নোয়া মাইক্রোবাসসহ সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ বিকেলে পৌরসভার দুর্গারামপুর সেতু এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।