চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় জুলাই-আগস্ট শহীদদের স্মরণে এবং তাদের আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ ১৯ জুলাই শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে শহীদ জোবায়ের ওমর খানের স্মরণে একাডেমিক ভবনের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করা হয়।
বৃক্ষরোপণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম। তিনি জানান, শহীদদের স্মৃতিকে ধারণ করতে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁর নামে একটি করে গাছ রোপণ করা হচ্ছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তসলিম মিয়া, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. জায়েদ হোসেন, উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. বাছির আহাম্মদ, কসবা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের স্বপন ও সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি সবুজ খান জয় প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় একটি জমির বিদ্যুতের খুঁটির পাশে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এ সময় মাটির নিচ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বের হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-কুটি চৌমুহনী সড়কের বিশারাবাড়ী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়।
উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আজহায় ওই গ্রামে জবাইকৃত প্রায় শতাধিক পশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে এলাকাবাসী ওই চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলেন।
ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পুঁতে রাখা পশুর চামড়া পচে বায়োগ্যাস সৃষ্টি হয়ে বুদবুদ আকারে উদগীরণ হতে থাকে। কোনো কারণে আগুনের সংস্পর্শে আসায় এই ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোরবানীর পশুর চামড়া পচে গ্যাস সৃষ্টি হওয়ায় বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কসবা প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত। তাই এ বিষয়ে সালদা ও বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আগুনের ঘটনা পশুর চামড়া পচে নাকি প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে হয়েছে তা যাচাই বাছাই করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবার গ্যাস কসবায় চাই, শ্লোগানে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শতশত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবাবাসী আগে গ্যাস পাবে। তারপর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্স থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে বিপুল পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবি তাদের।
এসময় তারা দাবি করেন, ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবি এই গ্যাস কুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারণ জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবি যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবি হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের আওতায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। আজ ২৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার আমরুল খালের ব্রিজ থেকে রঙ্গিলা ঘাট হয়ে বাঙালি নদীর বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ৩২টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জালগুলো আমরুল খালের ব্রিজ এলাকায় জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদ হাসান। এসময় থানার এসআই রাসেল আহমেদ, স্থানীয় পুলিশ সদস্য, উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণ সহায়তা করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদ হাসান বলেন, নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই অভিযান চালিয়ে এসব জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে সাধারণ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে প্রতারণা করার দায়ে একটি চাতাল কলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল মোড়কীকরণ, অস্বাভাবিক চালের মজুদ এবং মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন খাদ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার একাধিক চাতাল কলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অবস্থিত সেবা রাইস মিল নামক প্রতিষ্ঠানে অস্বাভাবিক চালের মজুদের পাশাপাশি বিআর-২৮ চালের বস্তায় মিনিকেট লিখে পাটের বদলে প্লাস্টিক বস্তায় মোড়কজাত করতে দেখা যায়। এছাড়া মিলগেট মূল্য তালিকা সম্বলিত সীল না থাকা এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করার বিষয়টিও ধরা পড়ে। এসব অসঙ্গতি ধরা পড়ার পর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সরকারের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভীর নেতৃত্বে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রামিম পাঠান, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সেক্রেটারি শাহীন আলম, ছাত্র প্রতিনিধি সিয়াম আফ্রিদিসহ আশুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার প্রেমিক রাকিব (২৩)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে রাকিব। আদালতে রাকিব জানায় বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলায় সে দুষ্টুকে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত রাকিব কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া (কলেজপাড়া) এলাকার মোঃ নাছির মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
নিহত সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাবের আলীর সন্তান। সে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গত সোমবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কসবা থেকে ঘাতক রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে রাকিব বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে রাকিব জানায়, দুষ্টু আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের অজান্তা হিজরাকে গুরু মানতেন। সেই সুবাধে দুষ্টু কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
আনুমানিক ৭/৮ মাস আগে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর রাকিবের পরিচয় হয়। ইজিবাইক চালানোর সূত্র ধরে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর সাথে রাকিবের পরিচয় হয়। রাকিব দুষ্টুকে নিয়ে তার ইজিবাইক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া-আসা করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর ভাড়া বাসায় আসা যাওয়া করতো।
গত ঈদ-উল আযহার পরদিন ৩০ জুন রাতে দুষ্টু রাকিবকে ফোন দেয়। ফোন পেয়ে রাকিব দুষ্টুর বাসায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর দুষ্টু রাকিবকে জানায় সে দিনাজপুর নিজ বাসায় চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করে। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর বাসা থেকে চলে আসলে দুষ্টুও রাকিবের পেছন পেছন আসে। পরে দুষ্টু গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় গেলে রাকিব একটি গাছের ঢাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে রাকিব একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারো দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুষ্টুকে রেখে রাকিব পালিয়ে যায় ও দুষ্টুর গুরু অজন্তার মাকে ফোন দিয়ে জানায় দুষ্টুর লাশ গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে। পরে সে ফোন বন্ধ করে দেয়।