অনলাইন ডেস্ক :
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। অর্থাৎ সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় নেই টাইগারদের। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, এবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না লিটন দাসের দল। মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সকলটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। চার বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস (১)। এতে করে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুইজনের ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়।
এ দিন ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এছাড়া, ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন-মুস্তাফিজদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। এতে কোনো রকমে একশ রান তুলে অলআউট হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফখর জামান। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এ ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই কীর্তি আর কারো নেই। মিরপুরে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সায়িম আইয়ুবকে ফেরান তাসকিন। ৪ বলে ৬ রান করেন সায়িম। পরের ওভারেই উইকেট নেন শেখ মেহেদি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান করেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। সালমান আলি আগাকে রীতিমতো বোকা বানান সাকিব। এই পেসারকে র্যাম্প স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন সালমান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যানে ধরা রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন হাসান নাওয়াজ। ডাক খেয়ে এই ব্যাটার ফেরায় ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাওয়াজও। রান আউটের শিকার হন এই ব্যাটার। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন ফখর। ব্যক্তিগত ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। তবে রান আউটের শিকার হয়ে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয় ১১০ রানে। ৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারায় তারা।
মিরপুরের আজকের উইকেটে যেন ফিরে এসেছিলেন পুরোনো মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ার আর কাটার পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানিদের। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। এ ছাড়া তাসকিন পান ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পান তানজিম সাকিব ও মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৯.৩ ওভারে ১১০/১০
বাংলাদেশ : ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসের গ্র্যান্ড ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দ. আফ্রিকা। টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন প্রথম সেশনের মধ্যে তিন উইকেট খোয়ালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের। ২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৪ রান যোগ হতে-ই হারায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৬৬ রান। পাঁচে নেমে ট্রিস্টান স্টাবস (৮) কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্টাম্প খুইয়েছেন মিচেল স্টার্কের বলে।
তবে সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার এইডেন মার্করাম এদিনও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে ১৩৬ রানে থেমেছেন তিনি। কাইল ভেরেইনকে (৪*) সাথে বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*)।
এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম কোনো আইসিসি শিরোপা জয় করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রীড়া জগতে জুজু কাটানোর বছরে শিরোপাখরা কাটাল ক্রিকেটের চোকার্সরা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটির দুই পেসার কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের আগুনে বোলিংয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। ব্যু ওয়েবস্টার (৭২) এবং স্টিভ স্মিথের (৬৬) জোড়া ফিফটির পরও তাদের ২১২ রানেই থামতে হয়।
রাবাদা ৫ এবং ইয়ানসেন ৩ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর দিয়ে রোলার কোস্টার চালিয়ে দেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের দিনের বেলায় দুঃস্বপ্ন দেখান তিনি। তার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৮ রানেই থামে বাভুমার দল।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও রাবাদার গতি আর সুইংয়ের সামনে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে অজি ব্যাটারদের। লেজের সারির ব্যাটার স্টার্কের হার না মানা ৫৮ এবং উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির ৪৩ রানের ইনিংস দুটিতে চড়ে ২০৭ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এতে শিরোপা জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান। শেষ পর্যন্ত মার্করামের সেঞ্চুরি এবং বাভুমার ফিফটিতে সহজেই সে লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। আর তাতে একবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া: 212 & 207
দক্ষিণ আফ্রিকা : 138 & 282/5
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠলো ফরচুন বরিশাল। ১৪৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৭.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম ইকবালের দল। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ৩ বলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। কাইল মায়ার্সের করা ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মারার পর দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফে। তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান মায়ার্স। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ আলীর শিকার হয়ে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হায়দার আলীও। ৭ রান করে ফেরেন ইবাদত হোসেনের বলে।
শুরুর সেই বিপর্যয়ের পর দ্রুতই হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চতুর্দশ ওভারে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে ইমন ফিরলে ভাঙে সে জুটি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন ইমন।
ইমনের বিদায়ের পর একাই লড়াই করেছেন শামীম। দলীয় ১৪৪ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ইবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার আগে ৪ ছক্কা ও ৯ চারে ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। চিটাগাং কিংসের হয়ে এদিন ৫ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। এর চারটি উইকেট নিয়েছেন ১৯তম ওভারে। দুই উইকেট পেয়েছেন কাইল মায়ার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন ও রিশাদ হোসেন।
জবাবে খেলতে নেমে ভালোভাবেই শুরু করে বরিশাল। দলীয় ৫৫ রানে তামিমের উইকেটের পতন হয়। তিনি ২৯ রানে আউট হন। পরে বাকি পথ ডেভিড মালানকে নিয়ে পারি দেন আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয়। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর মালান ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় ভারত। দু’বছর আগে যাদেরকে ৩-০ গোলে তারা হারিয়েছিল। এবার আবারও তাদের উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আজ (নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার ম্যাচে বাংলাদেশের ড্র প্রয়োজন ছিল সেমিফাইনাল খেলতে। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে সাবিনারা ৩-১ গোলের দাপুটে জয় আদায় করে নিয়েছেন। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। আজ মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য সেই প্রভাব পড়েনি। তিন গোলের দুটি তহুরা খাতুনের, আরেকটি আফিদা খন্দকারের। ভারতের গোলটি করেন অধিনায়ক বালা দেবী। ম্যাচের চারটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
এর আগে শুরুর একাদশে দুই পরিবর্তন করে মারিয়া মান্দা ও মাসুরা পারভীনকে সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ পিটার বাটলার। ১৫ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কর্নার ভারতীয় গোলরক্ষক ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারেননি। বল এসে পড়ে বাংলাদেশের আফিদার কাছে। ভারতীয় ডিফেন্ডাররা ব্লক করার আগেই তিনি শট নেন। ভারতীয় গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে গোললাইন অতিক্রম করে তার শটটি। এরপরই বাংলাদেশ গোল উৎসবে মাতে।
গোলের পর বাংলাদেশ আরও সুন্দর ফুটবল খেলা উপহার দেয়। অল্প সময়েই তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণায়। ২৮ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডারের ভুলে আরেকটি গোল পায় বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি ভারতীয় ডিফেন্ডার। তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড তহুরার গায়ে লেগে সেই বলটি জালে জড়ায়।
৪২ মিনিটে তৃতীয় দফায় ব্যবধান বাড়ায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র বল দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে বক্সের ওপর বল পান তহুরা খাতুন। জোরালো শটে গোল করেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে ভারত এক গোল পরিশোধ করে। ভারতের আক্রমণে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা গ্রিপ করতে পারেননি। গোলরক্ষকের হাত ফসকে যাওয়া বলে হেড দিয়ে জালে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক বালা দেবী।
বিরতির পর ভারত গোলের কয়েকটি সুযোগ পায়। প্রতিবারই বাধা হয়ে দাড়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। রুপ্নার পারফরম্যান্সে ভারত দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি। বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে স্বপ্না রাণী, সানজিদাকে নামান। অবশ্য বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে তেমন গোলের সুযোগ পায়নি। ফলে প্রথমার্ধের একই ব্যবধান নিয়েই দুই দল মাঠ ছাড়ে।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে কুপোকাত হলো ব্রাজিল। সেলেসাওদের ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিলো লিওনেল মেসির উত্তরসূরীরা। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার দলকে জয় এনে দেয়ার পথে জোড়া গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ক্লওদিও এচেভেরি। একটি করে গোল করেছেন ইয়ান সুবিয়াবরে, অগাস্টিন রুবের্তো ও সান্তিয়াগো হিদালগো। অপর গোলটি আত্মঘাতী।
ভেনেজুয়েলার মাটিতে ১০ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে নেমেছে দক্ষিণ আমিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে। যেখানে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ শনিবার মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
দুই দলের মধ্যে সমর্থকরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করলেও ম্যাচটা ছিল একপেশে। এস্তাদিও মিসায়েল দেলগাদোতে এদিন পাত্তাই পায়নি জুনিয়র সেলেসাওরা। পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় মেসির উত্তরসূরীরা। যার মধ্যে ৮টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে ৯টি শট নিয়ে মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ব্রাজিল।
ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ বলিভিয়ার বিপক্ষে আগামী ২৭ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায়। তার আড়াই ঘণ্টাপর কলম্বিয়ার মোকাবিলায় মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ ম্যাচ শুরুর ষষ্ঠ মিনিটেই গোল হজম করে সেলেসাওরা। ভ্যালেন্তিনো অ্যাকুনার থেকে বল পেয়ে ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ইয়ান। এক মিনিট না যেতেই প্রতিপক্ষকে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে দেন এচেভেরি।
লড়াইয়ে ফেরার বদলে উল্টো ১১তম মিনিটে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করে বসে ব্রাজিল। ইগোর সেরেতোর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০’তে। বিরতির আগে অবশ্য সেলেসাওদের আর দুঃখ বাড়ায়নি জুনিয়র আলবিসেলেস্তেরা।
বিরতির পর প্রতিপক্ষের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেন এচেভেরিরা। ৫২তম মিনিটে রুবের্তো, ৫৪তম মিনিটে এচেভেরি আর ৭৮তম মিনিটে শেষ গোলটি করেন হিদালগো।
অনলাইন ডেস্ক :
মুলতানে ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সোয়া দু’দিনেই নাকাল হলো শান মাসুদের দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলো ক্যারিবীয়রা। ক্যারিবীয়রা ৩৪ বছর দুই মাস পর জয় পেয়েছে পাকিস্তানে। সবশেষ জিতেছিল ১৯৯০ সালের নভেম্বরে। দ্বিতীয় দিন শেষেই হারের শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ১৭৮ রান, হাতে ৬ উইকেট। কিন্তু ব্যাটসম্যানের জন্য বধ্যভূমি হয়ে ওঠা মুলতান পিচে পুরো ১০ উইকেট নিয়েও এই রান প্রায় পাহাড়সম। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার পাকিস্তানের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানেরা সেই পাহাড় টপকাতে পারেনি। ২০ ওভারের মধ্যে ৫৭ রানে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ২৫৩ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে ১৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতেছে ১২০ রানে।
ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে দিনের প্রথম আট বলের মধ্যেই আউট হয়েছেন দুই অপরাজিত সৌদ শাকিল ও কাশিফ আলী। ১৩ রান করা শাকিল ক্যাচ দিয়েছেন কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে, নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আগেভাগে নামা কাশিফ জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে।
সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যে উইকেটে স্পিনাররা ইচ্ছামতো বল ‘নাচাতে’ পারেন, সে উইকেটে ব্যাটসম্যানের প্রতিরোধও আর কতক্ষণ! ৩৯ রানের জুটি ভেঙে দুজনকেই ফিরিয়েছেন ওয়ারিক্যান।
বাঁহাতি এ স্পিনার শেষ ব্যাটসম্যান সাজিদ খানকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ইনিংসে ৫ উইকেটও। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট আর ব্যাট হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪ রান করে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ওয়ারিক্যানই। আর দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৮৫ রান ও ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও ৩২ বছর বয়সী এই স্পিনার।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বশেষ এই সিরিজে বড়সড় একটি রেকর্ডই গড়েছেন স্পিনাররা। দুই টেস্ট মিলিয়ে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৬৯ উইকেট—যা এক সিরিজে সর্বোচ্চ। পেছনে পড়ে গেছে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ৬৭ উইকেট।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় অর্জন মুলতানের দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে। এবারের আগে পাকিস্তানে ২২ টেস্ট খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। যার সর্বশেষটি ১৯৯০ সালের ২৫ নভেম্বর ফয়সালাবাদে। কেমার রোচ ছাড়া এই দলের কারও তখন জন্মই হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬৩ ও ২৪৪ (ব্রাফেট ৫২, ইমলাখ ৩৫, জাঙ্গু ৩০; সাজিদ ৪/৭৬, নোমান ৪/৮০)।
পাকিস্তান: ১৫৪ ও ৪৪ ওভারে ১৩৩ (বাবর ৩১, রিজওয়ান ২৫, সালমান ১৫; ওয়ারিক্যান ৫/২৭, সিনক্লেয়ার ৩/৬১)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জোমেল ওয়ারিক্যান।
সিরিজ: দুই টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১–১ সমতা।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: জোমেল ওয়ারিক্যান।