চলারপথে রিপোর্ট :
বিয়াল্লিশহর এলাকায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে রনি ঢালী (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৮ মার্চ শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশহর মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকার মানিক ঢালীর ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাজু (১৭) পলাতক রয়েছে।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রনি এবং রাজু দুইজনের বাড়ি ভাদুঘরে। রনির সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে রাজুর কথা কাটাকাটি হয়। তবে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি- তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এর জেরে শনিবার রাতে বিয়াল্লিশহর এলাকায় রনিকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে রাজু। পরে স্থানীয়রা রনিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই রাজু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারে সাজা ভোগের পর দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রচেষ্টায় এসব বাংলাদেশিকে আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে দেশে ফেরত আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২-বিজিবি’ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাকের উল্লাহ (২৮), এখলাছ মিয়া (২৬), শফি আলম (২৫), পারভেজ (২৪), মিজানুর রহমান (১৮), মোবারক মিয়া (২৪), মো. মহিউদ্দীন (২২), ছালামত উল্লাহ (১৭), মং থিন (৪২), গিয়াস উদ্দিন (২২), রাকিবুল হাসান রাকিব (২২), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও মোবারক উদ্দিন (১৮)।
উখিয়া উপজেলার মো. শাহেদ(১৮), মো. তারেক (১৮) ও মো. সাবের। বান্দরবান সদরের সিন থোয়ে মং মারমা (৩২), থুইচিং প্রু (২৩), লামা উপজেলার থার তুন হ্লা (৩৬)। রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ইয়ং ছা থুই মারমা(২৬), থান হ্লা সিন/সোয়ে সিন ওরফে ইউসিচিং মারমা (৩০), বেতবুনিয়া উপজেলার ইউ তান ওয়ারা ওরফে স্যার থুই ইউ (৩৪), টেকনাফ উপজেলার মো. ইরফান (২২), মো. ইলিয়াছ(১৯), মো. জহির আহমেদ (৩১), মো. আবদুল আজিজ (২১), মো. তৈয়ব (৩২), আব্দুর সিদ্দিক (২৭) ও রুবেল(২০)।
মঙ্গলবার টেকনাফ জেটিঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান, বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক এবং ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে Maungdaw POE (Point of Entrz/Exit) নামক স্থানে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এবং ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ এর অধিনায়ক মায়ানমার এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যার্যে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার এর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়াও উভয় দেশের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উত্তরোত্তর উন্নতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি দল মতামত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় আটককৃত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমারের কারাগারে আটক ছিল। কারাভোগ শেষে সেই ২৯ জনকে কূটনৈতিক যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার লক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার ফলে মায়ানমার কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুলিশের নিকট পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হন্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাটখিলে মুঠোফোনে কথা বলার সময় বিষাক্ত সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত নূপুর কর্মকার (৩৩) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর এলাকার কর্মকার বাড়ির কুন্তল কর্মকারের ছেলে। সে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। এদিকে চাটখিল, হাতিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা সাপে কামড়ের অ্যান্টিভেনম না থাকায় জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এ নিয়ে চরাঞ্চলসহ ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশার ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজের বাড়ির উঠানে মুঠোফোনে এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিল নূপুর। ওই সময় তাকে একটি বিষাক্ত সাপে পায়ে কামড় দেয়। পরে বিষয়টি তার বড় ভাই তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম না থাকায় জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানেও সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অ্যান্টিভেনম না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, রোগীর অবস্থা দেখে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে রেফার্ড করা হয়। নোয়াখালী জেলাতে বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার জানান, চাটখিলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম ছিল না। তবে রোগীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়নি। এখানে কোন সংকট ছিল না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চাটখিলসহ বিভিন্ন উপজেলায় অ্যান্টিভেনম পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংবাদ প্রকাশের জেরে দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম। তার এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন : প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার সম্পাদক এইচএম সিরাজ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও মীর মোহাম্মদ শাহীন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলানিউজের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
পাশাপাশি সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারে কাছে দাবি জানান জেলার সাংবাদিক নেতারা।
এদিকে নাদিম হত্যার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হবেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী নাদিম বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
১৪ জুন বুধবার রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ১০ জুন শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ নাজিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলী আজম, নাসিরনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নির্মল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।