চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মাত্র ১৩৫ (সাড়ে ৪ মাস) দিনে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে ১০ বছরের শিশু ফজলে রাব্বুল। এ উপলক্ষে আজ ২৬ জুলাই শনিবার দুপুরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর চকবাজার হজরত শাহজালাল (রহ.) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল ও এতিমখানা এবং হজরত ফাতেমাতুজ জাহরা (রা.) সুন্নীয়া মহিলা মাদরাসার উদ্যোগে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, মা বাবার স্বপ্ন ছিল মোহাম্মদ ফজলে রাব্বুলকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। সেই লক্ষ্যে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া ও পারভীন বেগম দম্পতি তাদের ১০ বছর বয়সী সন্তান ফজলে রাব্বুলকে ভর্তি করেন স্থানীয় শ্রীঘর চকবাজার হজরত শাহজালাল (রহ.) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল মাদরাসায়। হিফজ বিভাগে ভর্তি হয়ে মাত্র ১৩৫ দিনে ৩০ পারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন মোহাম্মদ ফজলে রাব্বুল। তার এমন কৃতিত্বে খুশি তার সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
হাফেজ হওয়া ফজলে রাব্বুল বলেন, আমার শিক্ষকদের সঠিক দিক নির্দেশনা ও স্নেহ ভালােবাসায় অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হতে পেরেছি আমি। আমি একজন বড় আলেম হতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ভূবন আবদুল্লাহ নগর সংলগ্ন বড়ধলিয়া হযরত শাহ্ সূফী আবদুল্লাহ শাহ্(রহ.) এর নব-গঠিত মাজার পরিচালনা কমিটির পরামর্শ ও মতবিনিমিয় সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাজার প্রাঙ্গণে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোঃ নিয়ামত উল্লাহ নিয়ামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার মিয়া, কমিটির উপদেষ্টা প্রভাষক মাঈনুদ্দিন ভূইয়া শান্তু, কমিটির উপদেষ্টা সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া, কমিটির সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান, আলাউদ্দিন, আমিনুর রহমান ইয়ামিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিল্লাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ দূর্বাজ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান সুমন, সহ-কোষাধ্যক্ষ অলি মেম্বার, আমির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরানুল বারী মঞ্জু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান চকদার, মুহিবুর রহমান(মুরাদ), আবদুস ছালাম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান রিপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক জুনায়েদ রহমান,আহসান হাবিব (শতদল), রুকন উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক শাহজাহানসহ মাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্(রহ.)এর কমিটির নেতৃবৃন্দসহ আশেকান জাকেরান ও ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মো. আমিনুল ইসলাম :
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। আমরা এ ইবাদত কতটুকু ঠিকভাবে করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারছি তা ভেবে দেখার বিষয়। কিংবা কীভাবে ইবাদত করলে আমরা তাঁর প্রিয় বান্দা হয়ে পরকালে তাঁর নৈকট্য লাভ করতে পারব তা আমাদের সবার জানা উচিত। সুরা মায়েদার ৪২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন।’সুরা হুজুরার ৫৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দেবে এবং সুবিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন।’ সুতরাং যারা দুনিয়ার বুকে বিচার করেন তারা যেন অবশ্যই সুবিচার করেন। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন।
সুরা বাকারার ৩ ও ৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যারা গায়েবের ওপর ইমান আনে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং তিনি যা কিছু দান করেছেন তার থেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় করে এবং তাদের রবের কাছ থেকে পাওয়া হেদায়েতের ওপর রয়েছে এরাই হচ্ছেন সফলকাম।’ সুতরাং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো নামাজ আদায়, জাকাত আদায়, গায়েবের ওপর ইমান আনা এবং সর্বোপরিভাবে আল্লাহ-প্রদত্ত আদেশ-নিষেধ মেনে জীবন পরিচালিত করা। ধৈর্যশীলরাও আল্লাহর প্রিয় বান্দা।
আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার বিশ্বাসী বান্দারা! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়ায় সত্য কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী তাদের পুরস্কার প্রায় অগণিত।’ সুরা জুমার আয়াত ১০। যারা তওবাকারী ও গুনাহ করার পর আল্লাহর স্মরণে লজ্জিত হন এবং ক্ষমা চান তারাও আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দা। এদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যখন কোনো অশ্লীল কাজ করে বসে কিংবা এর দ্বারা নিজেদের ওপর নিজেরা জুলুম করে ফেলে এবং সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের গুনাহর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আসলে আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে তাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারে?’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ১৩৫।
যারা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে ভালোবাসে তারাও দুনিয়ার বুকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিচিত। সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তাহলে আমার (নবীর) কথা মেনে চল, আল্লাহতায়ালাও তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তিনি তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ আয়াত ৩১। সুবহানাল্লাহ! এ আয়াতটি কত মর্যাদাপূর্ণ।
আল্লাহর রসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে যে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া ও গুনাহ থেকে মাফ পাওয়া যায় এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে। তাকওয়া অবলম্বনকারী ও মুত্তাকি হওয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি।
সুরা বাকারায় বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের মুখমন্ডলগুলো পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ফেরাও এতে কোনো নেকি নিহিত নেই, বরং বড় সত্য কাজ বা নেকির কাজ হচ্ছে ইমান আনবে আল্লাহর ওপর, কিয়ামত দিবসের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং নবী-রসুলদের ওপর। আর সম্পদের ওপর তার ভালোবাসা থাকার পরও তা ব্যয় করবে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মীয়স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির ভিক্ষুক ও বন্দিদশা থেকে মুক্ত করার কাজে। আর যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং যারা প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করে এবং অভাবে রোগে শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণ করে। এরাই হচ্ছে প্রকৃত সত্যাশ্রয়ী ও তাকওয়া অবলম্ব^নকারী মানুষ।’ আয়াত ১৭৭।
– লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে তিনি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরার সামনে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যের আহতের ঘটনায় হওয়া ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। একরামুজ্জামানের সাথে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার আনিছুর রহমান ও আইনজীবী বিপ্লব কুমার চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলী আদালত) বিস্ফোরক আইনের ধারার মামলায় হাজিরা দেন। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০জন আইনজীবী শুনানীতে অংশ নেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের পক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরো অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) রকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এই মুহুর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এই আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সৈয়দ একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, একরামুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নিতেই উপজেলার তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমদ বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মোঃ বকুল মিয়া নামে একজন সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় একমাত্র ছেলে ফাহাদ হাসান মাহমুদুলকে আটক করা হয়েছে। পরে ছেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আটক ফাহাদ হাসান মাহমুদুল হত্যার শিকার আলম মিয়ার একমাত্র ছেলে। দেড় বছর আগে বিয়ে করা মাহমুদুল বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের মুন্সি পাড়ায় নিজঘর থেকে আলম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আলম মিয়া ওই ইউনিয়নের ওয়াহেদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। এ ঘটনায় আলম মিয়ার ছেলে আটককৃত মাহমুদুল বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তের দ্বায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়, প্রায় দুই বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আলম মিয়া লাখাই উপজেলার মানপুর গ্রামের আমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেওয়া নিয়ে দাম্পত্য জীবনে বিরোধ তৈরি হয় আলম ও আমেনার মধ্যে। এ নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকায় আমেনা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে অন্যকিছু দেখতে পায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার আটক করা হয় নিহতের একমাত্র ছেলে মাহমুদুলকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হয়। নিহতের বড় মেয়ে রাফা বলেন, আমাদের কথা বলে নিষেধ করেছে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, মূলত বাবার সম্পত্তির জন্যই মাহমুদুল এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বেলাল বলেন, মামলা তদন্তধীন রয়েছে। আলম মিয়ার ছেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পাইপটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলেক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার সকালে নাজির মিয়া তার নাসিরনগর সদরের বাসভবনে এসব ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন। শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, জেলা কৃষকলীগের সদস্য এম.এ কাসেম, হাজী সামছু মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোঃ আরমান মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার সদর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হবে।