চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার এলাকায় অবাধে চলছে মাটি কাটার ধুম। গত দু’সপ্তাহ ধরে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এই মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটার সুমন খানসহ ওই চক্রটি আইন না মেনেই নদীর তীরবর্তী মাটিসহ পাশে থাকা ধরখার-উজানিসার সেতুর পিলারের গা ঘেঁষে মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে যে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল তোরে আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী একটি চক্রটি সিন্ডিকেট করে খাল খননের নামে প্রতারণার মাধ্যমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাটি কেটে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে অন্তত ৩০ ফুটেরও বেশি গভীর করে মাটি কেটে তা বিক্রি করছে পার্শ্ববর্তী জেলার কোম্পানিগঞ্জের একটি ব্রিকস ফিল্ডে। তারা নদীর পাড় ও সরকারি জায়গার পাশিপাশি আশপাশ এলাকার ব্যক্তি মালিকানা জায়গার মাটিও নির্বিচারে কেটে বড় বড় গভীর গর্তের সৃষ্টি করেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, সুমন নামে এক ঠিকাদার গত দু’সপ্তাহ ধরে আমার মালিকানা জায়গা ও ব্রিজের আশপাশের সরকারি খালি জায়গায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাতে দিন মাটি কাটছে। মাটি গভীরতা করে কাটার ফলে ব্রিজের পিলার যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। দ্রুত অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে আমি প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হাবিব মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, একটি চক্র সিন্ডিকেট করে এক প্রভাবশালীর নেতার ছত্রছাত্রায় মাটি কাটছে। আমরা কয়েকবার বাঁধাও দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও পুনরায় আবার মাটি কাটছে। এ ছাড়া কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি যা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এর নীচের অংশে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেতুর পিলার ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে সেতুটি এখন হুমকির মুখে পড়বে। মাটি সরিয়ে নেওয়া হলে যে কোনো সময় ব্রিজটি বসে যেতে পারে। সেতুটি রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, তিতাস খনন প্রকল্প চললেও যে জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে সেখানে এখনো তিতাস খনন কাজ শুরু হয়নি। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজুয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার সুমন খান বলেন, আমি অন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে সাব কন্টাক্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্কওডার পেয়ে এই কাজ করছি। তবে কারো ব্যক্তির জায়গার মাটি আমি কাটিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মোহন মিয়া (২৬) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের তারাগন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মোহন মিয়া ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মোহন মিয়ার স্ত্রী প্রবাসে যান। প্রতিদিনই তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে কথা হতো। গত রাতে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান মোহন মিয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে টিনের ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মোহন মিয়া ঝুলে আছেন। স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে দ্রুত এসে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে মোহনের স্ত্রী সৌদি আরব গেছে। সন্ধ্যার দিকে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে শুনেছি। তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল কিনা বলতে পারছি না। তার একটা সন্তান রয়েছে। এভাবে সে মরে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারছি না।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকা পরে কারাভোগ শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরে এসেছে। আজ ১৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশী নাগরিকরা। দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৮/৯ মাস কারাভোগ করেছেন তারা।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকৃতরা হলেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো: ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো: আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মোঃ আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ রুহুল আমিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ , আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মোঃ শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ বলেন, বাংলাদেশী নাগরিক ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। পরে আমরা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানাই পাঠাই। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবশনের ব্যবস্থা করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ জুলাই সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পুরাতন কাচারি সড়ক মোড়ে পৌর মার্কেটের সামনে নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ও গণপূর্ত অধিদফতর, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ জেড এম আরিফ হোসেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি হাফেজুর রহমান মোল্লা (কচি), জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোবারক হোসেন আকন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বায়েজিদুর রহমান সিয়ামসহ জুলাই আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাগ্য বদলের আশায় ১৭ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফায়েজ মিয়া। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। এবার দেশে এসে কোরবানির ঈদ করার কথা ছিল। এরই মধ্যে গত ১৪ মে কর্মস্থল সৌদি আরবের দাম্মামে হঠাৎ স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বুক ভরা আশা নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেওয়া ফায়েজ বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই কিন্তু জীবিত নয় কফিনবন্দি হয়ে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২১ দিনের মাথায় আজ ৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তার মরদেহ নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার তারাগনে আসলে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দেন আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশী।
বাদ আছর আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিনগর বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মাঠে বাদ আসর জানাযা শেষে সাতপুকুরপাড়ে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে, ভোরে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর সড়ক পথে নিহতের মরদেহ লাশবাহী একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নিহতের মরদেহ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শুরু হয় শোকের মাতম। পরিবার-পরিজন আর স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহতের মরদেহ এক নজর দেখেতে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার শত শত লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করেন। ফায়েজ আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ গত প্রায় ৫ বছর আগে দেশে আসেন। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল। গত ১৪ মে স্ট্রোক করে মায়াভরা এ পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে যান।
চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন বলেন, ফায়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল। দেশে থাকতে কাজ ছাড়া কিছুই বুঝতো না। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে অনেক কষ্ট করে বিদেশে যায়। এরপর এই পরিবারটা ভালই চলছিল। হঠাৎ করে এভাবে সে মারা যাবে তা কখনো ভাবতে পারছি না। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসেছে। বাদ আসর জানাযা নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মাওলানা হাফেজ নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ফায়েজ খুব ভালো একজন মানুষ ছিল। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় হওয়ার। এভাবে চলে যাবে তা কখনো ভাবতে পারিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের (৩৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের রাধানগর এলাকায় রানীর দিঘি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে রাধানগর রানীর দিঘিতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ সোহেল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ায় পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।