ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪ আগস্ট সোমবার বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে আশুগঞ্জ বন্দর এলাকার বিওসি ঘাট থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আনিসুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বিওসি ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের পক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা এবং আশুগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি আরো বলেন, আটক হওয়া আনিসুর রহমান বর্তমানে আশুগঞ্জ থানার হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন সৃষ্টি করেছিল বলেই তাদের নজিরবিহীন পতন হয়েছে। আমাদের বর্তমান দায়িত্ব হলো, সব ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার সাবেক বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফাইজুর রহমান, সাবেক বিএনপি নেতা ইব্রাহিম মোল্লা, মানিক চৌধুরী, হাজী আলাল শাহ, কবির সিকদার, শফিক ভূঁইয়া, আইয়ুব খান, হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সেলিম সিকদার, মজিবুর রহমান, ইব্রাহিম, এনামুল হক, কালাম সিকদার, আবুল খায়ের, আকবর, হাজী জয়নাল, রোমান মিয়া ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। তাই কোনো চক্রান্তে পা দেওয়া যাবে না। সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি একটি পরিবার। দলে পদ থাকুক আর নাই থাকুক পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে জাতি তা দেখতে পাবে। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দেশকে ভালবেসে দেশের মানুষের জন্য কাজ করলে জনগণ বারবার আমাদেরকে সেবার সুযোগ করে দেবে ইনশাআল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের একাধিক ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তে অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায় দুই প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের ১৪ নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদের ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) শূন্য আসনে ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনপরবর্তী বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৯৫নং যাত্রাপুর নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ১২৭নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ প্রচার হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এর মাধ্যমে পৃথক তদন্ত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন মতে প্রকাশিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের সার্বিক পর্যালোচনা মোতাবেক ৯৫নং যাত্রাপুর নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসার হোসেন মো. হাবিবুর রহমান, প্রভাষক (সমাজ বিজ্ঞান) আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ১২৭নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, সিনিয়র অফিসার, ইসলামী ব্যাংক, আশুগঞ্জ শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্ণিত অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ফলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে অসদাচরণের দায়ে প্রভাষক হোসেন মো. হাবিবুর রহমান ও ইসলামী ব্যাংক এর সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ কে নির্বাচন কমিশন ১৫ নভেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত আদেশ মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাত দিনের মধ্যে গৃহীত ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সড়কে গাছ ফেলে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতরা লাশের শরীরে আঘাত করেছে বলে জানা যায়।
আজ ২৩ মে শুক্রবার রাত ১টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতের হামলায় আহতরা হলেন- গাড়ির চালক মো. ফিরুজ মিয়া, গাড়ির মালিক মো. খলিল মিয়া, নিহতের স্বজন রাসেল মিয়া, ছালেক মিয়া, নাহিদ মিয়া, মো. আলমগীর মিয়া, মো. সালাউদ্দিন, আলেয়া বেগম ও আলী নেওয়াজ মিয়া। স্বজনদের চোখের সামনে মৃত ব্যক্তির ওপর আঘাতের এই দৃশ্য এলাকাজুড়ে সৃষ্টি করেছে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক।
স্থানীয়দের দাবি, এমন জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ আগে কখনো দেখেননি তারা। ভুক্তভোগীদের স্বজনদের ভাষ্যমতে, পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের ছবদর আলী নামে এক ব্যক্তি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মিরপুর আহসানিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারা যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে ফেরার পথে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায় আসলে সশস্ত্র ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে পথ রোধ করে গাড়ি আটক করেন। এরপর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করা হয়। মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে ৯টি মুঠোফোন ও নগদ অর্ধলাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ডাকাত দল।
ডাকাতদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ ও মালামাল না পাওয়ায় মরদেহের ওপরও হামলা করা হয় বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে পূর্বভাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর মিয়া। তিনি বলেন, ‘ডাকাতরা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে বলে দুঃখ নাই। কিন্তু আমার মৃত বাবার লাশের ওপর হামলা করেছে ডাকাতরা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম জানান, ডাকাতরা কী কী নিয়েছে তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। ওই এলাকাটিতে আগেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর রবিবার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী সরাঞ্জাম বিতরণ।
এসময় সরাইল উপজেলার ৮৪টি কেন্দ্র ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৪৮টি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১৩২টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। দুই উপজেলার উপজেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেন দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তারা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, সুষ্ঠু ও স্বতস্ফূর্তভাবে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া মৃত্যুবরণ করায় উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৮০ কেজি জিরা, ১২৬শত প্যাকেট ফুচকা, ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস মার্বেল, ৪ হাজার পিস মোবাইল ফোন ডিসপ্লেসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়।
৯ নভেম্বর শনিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার সদর উপজেলার মোঃ শাহ আলম (৪৩), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার মোঃ কাশেম (৫০) ও একই এলাকার রতন মিয়া (২৯)।
আজ ১০ নভেম্বর রবিবার পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপভ্যান সহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমান ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।