অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না। তফসিল ঘোষণার প্রায় দুই মাস আগে ভোটের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে জনগণকে সেই বিশ্বাসে ফেরানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন। পাশাপাশি নির্বাচনে এআইও একটা চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি। আজ ৯ আগস্ট শনিবার সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতিকে ড. ইউনূসের দেওয়া ওয়াদার কারণে আমরাও খুব প্রেসারে পড়ে গেছি, সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা করছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভোটের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। গণ অভ্যুত্থান তথা বিপ্লবের পর পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। তাই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করতে পারব। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। এছাড়াও বিগত সময়ে যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, তাদের যথাসম্ভববাদ দিয়ে নতুন লোক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার কথাও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বিকেলে তিনি রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় মিলনায়তনে বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দুলাল তালুকদার।
চলারপথে ডেস্ক :
হাওর অঞ্চলের প্রত্যেকটি সড়ক উড়াল সড়ক হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হাওর অঞ্চলের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য উড়াল সড়ক করা হবে। হাওরে উড়াল সড়কের প্রকল্প ইতোমধ্যেই একনেকে অনুমোদন দিয়েছি।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করেছি।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামেই শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর’ এই স্লোগানে আমরা কাজ করছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, জমির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারির সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। একজন কৃষক এখন মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে হাওর উপজেলা মিঠামইনে পৌঁছান সরকারপ্রধান। সেখানে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর তিনি বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কারা অধিদপ্তরের আট জেলারকে বদলি করা হয়েছে। আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়েছে।
বদলি কর্মকর্তারা হলেন- নীলফমারি জেলা কারাগারের জেলার মো. তারিকুল ইসলামকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বদলি করা হয়েছে। রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আনোয়ার হোসেনকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার, সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আবু নুর মো. রেজাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্টি-১ এর জেলার মো. তরিকুল ইসলামকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ বাধাঘাটা, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ বাধাঘাটার জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেনকে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার -১ এর ভারপ্রাপ্ত জেলার সর্বোত্তম দেওয়ানকে গাজীপুর জেলা কারাগার, গাজীপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. মোশফিকুর রহমানকে জয়পুরহাট জেলা কারাগার ও জয়পুরহাট জেলা কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তারকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এ বদলি করা হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে কার্যকর হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কবে কখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে, সেটা আমি বলব না। এটা জেলকোডে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এ মাসের মধ্যেই রায় কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রায় কার্যকরের জন্য ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। জল্লাদদের নিয়ে কয়েক দিন ধরে মহড়াও চলছে। একই মঞ্চে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এ মঞ্চে একসঙ্গে একাধিক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ আছে। মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটি কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
২০০৮ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের বরখাস্ত হওয়া সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে মিয়া মহিউদ্দিন একই বিভাগের অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়।
আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনরাও দণ্ড কমাতে একের পর এক আইনগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। সবশেষ গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের করা একটি রিট খারিজ হয়ে যায়। এখন আসামিদের দণ্ড কার্যকরে আইনগত বাধা নেই।
রায় কার্যকর করার আগে মঙ্গলবার দুই আসামির পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ‘শেষ সাক্ষাৎ’ করার সুযোগ দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। দুই আসামির স্বজনরাই তাদের সঙ্গে দেখা করেন। স্বজনরা এভাবে সাক্ষাৎ করার পর থেকেই দণ্ডপ্রাপ্তরা মুষড়ে পড়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দলের তল্বিবাহক হয়ে, কোনো দলের এজেন্ডা ও তাদের অন্যায্য-অন্যায় আবদার বাস্তবায়নে অপেশাদার আচরণ না করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজশাহীতে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় অনুষ্ঠিত ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র সব নাগরিকের, কোনো দলের নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়, কোনো সম্প্রদায়ের নয়। বাংলাদেশ পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, যারা সুনির্দিষ্ট আইন মেনে চলেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে। তারা কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায্য ও অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না। আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে আপনারা এই শপথে বলীয়ান হবেন।’
এই ব্যাচে মোট ৬৬ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন, যাদের অন্তত চার মাস আগে সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার কথা ছিলো। নানা জটিলতায় সেটি আটকে যায়। অবশেষে বিভিন্ন অভিযোগে এ ব্যাচের ৬ শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার অব্যহতি পান। বাকি তিনজনের সিদ্ধান্ত এখনও দোদুল্যমান। কুচকাওয়াজে বাকি ৫৭ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার অংশ নিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাপনী কুচকাওয়াজে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।