চলারপথে রিপোর্ট :
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ৯ আগস্ট শনিবার ভোরে তার নিজ গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আজ দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য রতন মেম্বার মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ডেভিল হান্টের আওতায় ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খাড়েরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, কামরুজ্জামান রতন নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি রাতে বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিযাপন করতেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাকালীন সমাধি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যুগ-যুগান্তরে প্রজম্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে, মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দীর্ঘ ভারত সীমান্ত এলাকায় নয়মাসের দু:সাহসিক যুদ্ধের স্মৃতি ও ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার কসবা উপজেলাধীন যুদ্ধকালীন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল ‘কুল্লাপাথর সমাধিস্থল’ এবং ২নং সেক্টরের ঐতিহাসিক সালদানদী যুদ্ধের দু:সাহসিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নায়েক সুবেদার বেলায়েত হোসেন বীর উত্তম এবং শহীদ সুবেদার মইনুল হোসেন বীর উত্তম এর সমাধিস্থল পরিদর্শন করে, সমাধিস্থল সংস্কার ও সংরক্ষণে জেলা পরিষদ থেকে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের ঘোষণা প্রদান করেন।
এসময় জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য আ: আজিজ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কয়েক গ্রামের মানুষ।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
স্থানীয় যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ ও সুমন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখান বলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঈশাননগর সড়কে ঝাড়ু ও জুতা হাতে মিছিল করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষ দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয় না মর্মে আমি সারা এলাকায় মাইকিং করে দিয়েছি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই। এরপরও পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।